সন্ত্রাস রুখতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে চলেছে বীরভূম জেলা বিজেপি

হিমাদ্রি মণ্ডল : বিশ্বকর্মা পুজোর মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে ইলামবাজারের কয়েরা গ্রামে দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকরা লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লো। ঘটনায় আহত দুই বিজেপি কর্মী, যাদের একজনকে বোলপুর সুপার স্পেশালিটিতে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

ইলামবাজার থানার কয়েড়া গ্রামে বিজেপি এক সমর্থককের সাইকেলের দোকানে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে গান বাজিয়ে আনন্দ করার মুহূর্তে বেশকিছু তৃণমূল সমর্থক ওই বিজেপি সমর্থকের সাইকেলের দোকানে চড়াও হয়। তারপর দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় লড়াই। তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপি সমর্থকদের মারধর করার। ঘটনায় লকাই হেমব্রম নামে এক বিজেপি সমর্থক গুরুতর আহত অবস্থায় বোলপুর সুপার স্পেশালিটিতে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির অভিযোগ, “আমরা বিজেপি করি বলেই আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। লাঠিসোটা দিয়ে মারধরের পাশাপাশি এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। তিন চারটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।” যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করে জানাই, নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেছে বিজেপি সমর্থকরা।

এরপর আজ ওই গ্রামে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল গ্রাম পরিদর্শনে যায়। সেখানে গিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি জানান জেলায় একের পর এক সন্ত্রাস রুখতে আমরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবো।

শ্যামাপদ মন্ডল জানান, “গতরাতে হামলার সময় হামলাকারীরা দেবু বাগদি এবং শীতলের বাড়ি ভাঙচুর করে। ঘটনায় আহত হয় দুই বিজেপি কর্মী, যাদের মধ্যে একজন বোলপুর সুপারস্পেশালিটিতে ভর্তি রয়েছেন। বীরভূম জেলায় তৃণমূল এবং বীরভূম পুলিশ একত্রিত হয়ে যে অন্যায় অত্যাচার করছে বিজেপি কর্মীদের উপর তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবো, রাজ্যপালের সামনে বীরভূমের সমস্ত পরিস্থিতি তুলে ধরবো।”