বাইক চুরি কাণ্ডে বড় সাফল্য বীরভূম পুলিশের, উদ্ধার ১৪টি বাইক

লাল্টু : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোটরবাইক যেমন অপরিহার্য বাহনে পরিণত হয়েছে ঠিক তেমনি এই মোটরবাইক চুরির ঘটনাও ঘটে চলেছে অনবরত। আর এই চুরির একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগও দায়ের হয়। তবে এই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার বড় সাফল্য মিললো বীরভূম জেলা পুলিশের।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে গত শনিবার থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ১৪টি চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করা হলো। এসকল উদ্ধার হওয়া বাইকের মূল্য আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা। এই সকল বাইক চুরির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে জেলা পুলিশের তরফ থেকে।

বাইক চুরি কাণ্ডে রবিবার বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী দুবরাজপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, “বাইক চুরির ঘটনায় আমাদের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ আসে। সেই সকল অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করি। এর মধ্যে আমরা খবর পাই শামীম সেখ নামে এক ব্যক্তি একটি চুরি যাওয়া বাইক নিয়ে আসছেন বিক্রি করতে। সেই মত আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সকল বাইকগুলি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনার সাথে বড় চক্র জড়িয়ে রয়েছে। পুলিশ আগামী দিনে তদন্ত করে তা বের করার প্রচেষ্টা চালাবে।”

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই সকল বাইকগুলি বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করার জন্য দেওয়া হয়েছিল। যাদের বিক্রি করতে দেওয়া হয়েছিল তাদের বলা হয়েছিল, বিক্রি করে দিন পরে ঠিক কাগজপত্র করে দেওয়া হবে। কিন্তু তা হয়নি। বাইকগুলি কন্ডিশনের উপর ভিত্তি করে বিক্রি করা হচ্ছিল। পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই ঘটনার সাথে আন্তঃরাজ্য যোগাযোগ রয়েছে কিনা।

বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠী আরও জানিয়েছেন, “যেসকল চুরি যাওয়া বাইকগুলি আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি, সেগুলির অভিযোগের ভিত্তিতে তার আসল মালিককে খুঁজে বের করে তাদের হাতে বাইকগুলি তুলে দেওয়া হবে।”