পুষ্পা স্টাইলে পেটির তলায় ছিল ৬১৫ কেজি নিষিদ্ধ জিনিস, পুলিশ হাত সব ফাঁস

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুষ্পা দ্য রাইজ সিনেমায় দেখা গিয়েছে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কিভাবে চোরাই লাল চন্দন কাঠ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাচার করা হয়। সেই সিনেমার মতোই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নিষিদ্ধ অথবা অবৈধ জিনিসপত্র প্রচার হচ্ছে। ঠিক সেই রকমই সিনেমা স্টাইলে ৬১৫ কেজি নিষিদ্ধ জিনিস পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন চারজন।

পেটির নিচে লুকিয়ে একটি মাল বোঝাই গাড়িতে ৬১৫ কেজি গাঁজা পাচার করা হচ্ছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসের নাকা চেকিং এবং বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ৬১৫ কেজি গাঁজা সহ চারজনকে ধরতে সক্ষম হয়। বৃহস্পতিবার এইভাবে হাতেনাতে পাচারকারীদের ধরা হয় ময়ূরেশ্বর ও সাঁইথিয়ার মাঝে থাকা চারতলা মোড়ে।

বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে তাদের হাতেনাতে ধরার জন্য স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়। সেই স্পেশাল টিমের হাতেই ৬১৫ কেজি গাঁজা সহ চারজনকে ধরে ফেলা হয়। এর আগে জেলায় এত পরিমাণ গাঁজা কোথাও উদ্ধার হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

মালদা, মুর্শিদাবাদ হয়ে বীরভূমের উপর দিয়ে গাঁজা পাচারকারীরা দুর্গাপুর যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ঝাড়খন্ড, বিহারের মতো রাজ্যে তা পাচার করা হতো বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে দেখছে আর কে কে যুক্ত রয়েছেন এবং তাদের দ্রুত ধরে ফেলা সম্ভব হবে বলেও জানানো হয়েছে।

বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ যে সকল ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় তারা দুজন পাঞ্জাবের বাসিন্দা। তারা হলেন চন্দন দ্বীপ সিং, গুরুবিন্দর সিং। অন্যদিকে বাকি দুজনের মধ্যে একজন আসামের বাসিন্দা আশিকুল ইসলাম এবং অন্যজন বীরভূমের তাজিমুদ্দিন। এই তাজিমুদ্দিন বীরভূম থেকে এই ধরনের নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য পারাপারের ক্ষেত্রে স্কট হিসেবে কাজ করতেন।