‘তৃণমূলের দালালি করছেন জেলা সভাপতি’, বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ বীরভূমে

হিমাদ্রি মণ্ডল : দিন কয়েক আগেই বীরভূম জেলায় মন্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষনা হয়েছে। ৪৯ জন মন্ডল সভাপতির নাম ঘোষনা হয়েছে। তারপরই বুধবার সিউড়িতে বীরভূম জেলা সভাপতি নির্বাচন হয়। এরপরই শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কোথাও সোশ্যাল মিডিয়ার শুরু হয় মিম, কোথাও আবার বিক্ষোভ।

আজ এই ক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন দলের একাংশ। দলীয় কর্মীদেরই অভিযোগ, নিজের অনুগামীদের পদ দেওয়া হয়েছে। দলের সংবিধান মেনে মন্ডল সভাপতি নির্বাচন হয়নি। তৃণমূলের দালালি করছেন শ্যামাপদ মন্ডল। এমনই দাবি করে সিউড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করলো বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি সহ শখানেক দলীয় কর্মী। তারা বিজেপির পার্টি অফিসেও বিক্ষোভ দেখায়।

বিজেপি কর্মী জয়ন্ত আচার্যের অভিযোগ, “জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল নিজের সংবিধান মানছেন না। তিনি তৃণমূলের দালালী করছেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করে আসছে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। সদ্য অন্যান্য দল থেকে আসা কর্মীদের পদে বসানো হয়েছে।”

মুরারই ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি কর্মী দেবাশীষ রায়ের সরাসরি অভিযোগ, “বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল টাকা পয়সা নিয়ে অগণতান্ত্রিকভাবে মন্ডল সভাপতি নিয়োগ করেছেন। কাদের মন্ডল সভাপতি নিয়োগ করেছেন? যারা এক মাস, দুমাস, তিন মাস প্রথমবার তিনদিন আগে দলে এসেছেন তাদের।”

সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি পবন বাগদীর অভিযোগ, “যে পদ্ধতিতে মন্ডল সভাপতি নির্বাচন করার কথা ছিল সেই পদ্ধতি মানা হয়নি। ভোট দেওয়া খাম না খুলেই নিজেদের খামখেয়ালিপনায় বেছে নেওয়া হয়েছে মন্ডল সভাপতিদের। তাই আজ আমাদের বিক্ষোভ মিছিল।”

বিক্ষোভের বিষয়ে বীরভূমের বর্তমান বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলকে আমরা ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, “আমি এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছি। ঘটনার কথা জানতে পেরেছি। তবে এখন কিছু বলতে পারব না। আগে আমি দলীয় কর্মীদের সাথে কথা বলি, তাদের ক্ষোভের কারন জানি।”