‘ভোটের রেজাল্ট বেরোতেই মা’কে মনে পড়ে গেল’, রাজীব বন্দোপাধ্যায় প্রসঙ্গে অনুপম হাজরা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘জামাই আদর করে রাখা হয়েছিল, পাপ যত তাড়াতাড়ি বিদায় হয় ততই ভালো’, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) তৃণমূলে (TMC) প্রত্যাবর্তনে প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন। এরপর রবিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হল ত্রিপুরায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার এহেন কটাক্ষ।

অনুপম হাজরা এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলেন, “জামাই আদর করে এতদিন রাখা হয়েছিল। Z ক্যাটাগরীর সিকিউরিটি দিয়ে রাখা হয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে তাকে এইভাবে জামাই আদর করে রাখাটা ভুল হয়েছিল। কারণ তাকে জামাই আদর করতে গিয়ে বিজেপির নিচের তলার কর্মীরা বিরক্ত, মনোক্ষুন্ন হয়েছিলেন। উনি যে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করবেন তা আগেই টের পাওয়া গিয়েছিল।”

অনুপম হাজরা এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে আরও বলেন, “এই আদর-যত্নটা না করলেই পারতো। কারণ উনি যে যাবেন সেটা টের পাওয়া গিয়েছিল দুসরা মে অর্থাৎ ভোটের রেজাল্ট যেদিন বের হয় তার ২৪ ঘন্টা না কাটতেই তার মায়ের কথা মনে পড়ে যায়। এর আগেও আমরা দেখেছি যখন তিনি বিধানসভা থেকে বের হন তখন তিনি কান্নাকাটি করে বের হন। পরে হয়তো কান্নাকাটি করেছেন কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এন্ট্রিটা হচ্ছিল না। তার জন্য ত্রিপুরায় গিয়ে তাকে এন্ট্রি নিতে হলো।”

পাশাপাশি অনুপম হাজরা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তার কথায়, “দল হেরে গেল তাই সঙ্গে সঙ্গে ডিগবাজি মারতে হবে, এটা মানুষ হিসাবে খুব একটা ভালো বার্তা দেয় না। এটা কোন একজন রাজনৈতিক নেতার কাছেও খুব একটা আশা করা যায় না। তবে এটা একদিক থেকে ভালো হলো। এতদিন ঝুলে ছিল। পাপ যত তাড়াতাড়ি বিদায় হয় ততই ভালো।”

অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার এহেন মন্তব্যের পর বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অনুপম হাজরাকে একহাত নিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, “ও তো এই দল থেকে ওই দলে গিয়েছিল। তাহলে ও তো একটা আপদ।”