কেমন আছেন কর্মীরা! সংশোধনাগারে দেখতে এসে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতির

হিমাদ্রি মন্ডল : নানুরের হাট সেরান্ডি এলাকার তিনটি বুথে গত লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে থাকে বিজেপি। এই কারণেই ওই এলাকার বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমন করেছে তৃণমূল, প্রাণ হারালেন শঙ্করী বাগদী নামে মহিলা, সিউড়িতে এসে এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী।

মঙ্গলবার সিউড়িতে আসেন বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। তারা এদিন যান সিউড়ির জেলা সংশোধনাগারে। সেখানে জেলবন্দী রয়েছেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহসভাপতি ধ্রুব সাহা ও বিজেপির জেলা সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়।

ঘটনার সূত্রপাত, নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের স্বরূপ গড়াইয়ের মৃত্যুর পর দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সিউড়িতে ধর্ণায় বসে বিজেপি। ১৪ই সেপ্টেম্বর ধর্ণা তুলতে গিয়ে দলের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল শহ বেশ কয়েকজন নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রতিবাদে পথ অবরোধে সামিল হয় বিজেপি। শেষ পর্যন্ত রাতে ছাড়া পান নেতারা। সিউড়ি থেকে নলহাটি বাড়ি ফিরেই গ্রেপ্তার হন ধ্রুব সাহা। পরে আবার গ্রেপ্তার করা হয় অতনু চট্টোপাধ্যায়কে। তারপর বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় জড়িয়ে দিয়ে জেলবন্দী করে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিশ্বপ্রিয় বাবু।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া বিজেপি নেতা সামাদ সেখকে বিভিন্ন থানায় ঘোরানো হচ্ছে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে পুলিশি সন্ত্রাস চলছে। জায়গায় জায়গায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বিজেপি নেতা কর্মীদের। তিনি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, বুলেট নয়, ব্যালটের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেবে সাধারণ মানুষ।

তবে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী গ্রেপ্তার হওয়া ধ্রুব সাহা এবং অতনু চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে এসপি অফিসের সামনে আন্দোলনকে টেনে নিয়ে আনলেও পুলিশ আগেই জানিয়েছিল তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার পিছনে ধর্ণা মঞ্চের কোনো সম্পর্ক নেই।