নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই দলবদলের হিড়িক মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। শাসকদল থেকে একাধিক বিধায়ক, মন্ত্রী এবং নেতারা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন। আর এমত অবস্থায় তৃণমূল শিবিরও মুখিয়ে গেরুয়া শিবিরকে মোক্ষম জবাব দিতে। দিন কয়েক আগেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁকে দলে টেনে সেই মোক্ষম জবাব দিতে দেখা যায় তৃণমূলকে। আর এবারও মুকুল রায়ের ঘরে থাকা বসিয়ে পুনরাবৃত্তি ঘটালো তৃণমূল।
বুধবার তৃণমূল থাবা বসালো বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের ঘরে। দলে ঘরওয়াপসি হল মুকুল রায়ের শ্যালক সৃজন রায়ের। তৃণমূল ভবনে মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। আর দলে যোগ দিয়েই সৃজন রায় বলেন, “বাংলায় সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। কোন বড় নেতাদের কথা বলতে পারবো না।”
অন্যদিকে সৃজন রায়ের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, “রায় শব্দটা এখানে বেশ বাহাদুরবাহী। কারণ উনি হচ্ছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের শ্যালক। উনি ২০১১, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের বিধানসভায় খুব অ্যাক্টিভ ছিলেন তৃণমূলে। কিন্তু পরে ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। আর এদিন উনি দলে ফিরে এলেন।”
প্রসঙ্গত, এই সৃজন রায়ের নামে পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে। রেল বোর্ডে জায়গা করে দেওয়ার নাম করে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা রয়েছে। আর এই মামলায় দিল্লি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১০ মাস জেলবন্দি ছিলেন। আর সেই সৃজন রায়কেই দলে ফিরিয়ে নিলো তৃণমূল। যার পরে এই যোগদান নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।