বীরভূম বিজেপি জেলা সভাপতিকে শোকজ কমিশনের, নেপথ্যে ‘এনকাউন্টার’ মন্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক আগে নানুরের তৃণমূল নেতা সেখ আলমের ‘৩০% শতাংশ সংখ্যালঘু একত্রিত হলে পাকিস্তান তৈরি হতে পারে’ মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। আর এর পাল্টা দিতে গিয়ে বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা নানুরে রোড শো থেকে বলেন, ‘যারা ভারতে থেকে পাকিস্তান তৈরি করার কথা বলবে তাদের ২ তারিখের পর এনকাউন্টার করা হবে।’

এর পরেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়। আর ধ্রুব সাহার এই এনকাউন্টার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন তাকে শোকজ করলো। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ধ্রুব সাহাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যদিও কমিশনের এই শোকজের পরিপ্রেক্ষিতে ধ্রুব সাহা কবে কখন উত্তর দেবেন তা এখনো জানা যায়নি।

নানুরের তৃণমূল নেতা শেখ আলম বাসাপাড়ায় তৃণমূলের একটি সভা থেকে বলেছিলেন, “আমরা ৩০% সংখ্যালঘু। আর বাকি ৭০% ভোট নিয়ে ওরা গদিতে বসার চেষ্টা করছে। ওদের লজ্জা লাগা উচিত। আমরা যদি ৩০% লোক একদিকে হয়ে যায় তাহলে চার-চারটে পাকিস্তান তৈরি হতে পারে।” এই মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র বিতর্ক তৈরি হলে নির্বাচন কমিশন শেখ আলমকে শোকজ করে। সেই শোকজের উত্তরে শেখ আলম ক্ষমা চেয়ে নেন।

তবে রবিবার নতুন করে এই বিতর্ক পুনরায় উস্কে যায় যখন নানুরে রোড শো চলাকালীন ধ্রুব সাহা বলেন, “তৃণমূলের শাসন ব্যবস্থায় পাকিস্তান তৈরি করার কথা বলা যায়। বিজেপি সরকার এলে যারা ভারতের খেয়ে, ভারতে থেকে ভারত ভাগের কথা বলবে, পাকিস্তান তৈরি করার কথা বলবে, মিনি পাকিস্তান তৈরীর কথা বলবে, ডন পত্রিকার সাংবাদিককে ডেকে দেখাবে ‘দেখুন কত সুন্দর মিনি পাকিস্তান তৈরি করেছি’, তাদের এনকাউন্টার করা হবে।”

[aaroporuntag]
ধ্রুব সাহার এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হলেও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিতে এই মন্তব্যকে সমর্থনই করেছেন। তবে এই মন্তব্যের পরেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন। নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এহেন মন্তব্যের জন্য ধ্রুব সাহাকে শোকজ করলো।