পদ খুইয়ে ক্ষিপ্ত রাহুল সিনহা, জানালেন নিজের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদন : বছর ঘুরতেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগে বাংলার কথা মাথায় রেখে বিজেপি বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতাকে স্থান দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সদ্য প্রকাশিত কমিটিতে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির স্থান পেলেন গত লোকসভা ভোটে বঙ্গে বিজেপি অন্যতম সাফল্যের কারিগর মুকুল রায়। আর এর পাশাপাশি সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা অনুপম হাজরা পেলেন সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদ। তবে এর পরেই বঙ্গ বিজেপিতে দেখা গেল আদি নব্য দ্বন্দ্ব।

অনুপম হাজরাকে কেন্দ্রীয় কমিটির যে পদে আনা হয়েছে সেই জায়গায় আগে ছিলেন বিজেপির আরেক আদি নেতা রাহুল সিনহা। আর রাহুল সিনহা এই পদ খুইয়ে বেজায় ক্ষিপ্ত। পদ খোয়ানোর পর তিনি এতটাই মেজাজ হারিয়েছেন যে সরাসরি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন তার নতুন সিদ্ধান্তের কথা।

বাংলায় বিজেপির জন্ম লগ্ন থেকে রয়েছেন রাহুল সিনহা। তিনি একসময় ছিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তবে ধীরে ধীরে বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের আধিপত্য বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি আদি এই পোড়খাওয়া রাজনৈতিক নেতাকে কোণঠাসা হতে হয়। দিলীপ ঘোষ দ্বিতীয়বার রাজ্য সভাপতি হয়ে জুন মাসে নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করেন। আর সেই কমিটিতে স্থান পাননি রাহুল সিনহা। তবে রাজ্য কমিটিতে স্থান না পেলেও রাহুল সিনহাকে স্থান দেওয়া হয়েছিল সর্বভারতীয় কমিটিতে। তিনি সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদে আসীন ছিলেন। অবশেষে সেই পদও কেড়ে নেওয়া হলো তার থেকে।

আর এর পরেই বিজেপি নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই পোড়খাওয়া নেতা। পাশাপাশি তিনি তাঁর নতুন সিদ্ধান্তে জল্পনা জুগিয়ে বলেছেন, “৪০ বছর ধরে বিজেপির সেবা এবং বিজেপির একজন সৈনিক হিসাবে কাজ করে এসেছি। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপির সেবা করবার পুরস্কার এটাই যে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসছে তাই আমাকে সরতে হবে। এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না। আমি এর বাইরে আর কিচ্ছু বলবো না। পার্টি যে পুরস্কার দিল সেই পুরস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে আর আমি কিছু বলতে চাই না। আমি যা বলার ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে বলবো এবং আমার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করবো।”

আর এই বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার এমন মন্তব্যের পর বঙ্গ বিজেপিতে কি এবার ভাঙ্গন শুরু হবে? সেই প্রশ্নই ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।