বিজেপি সাংসদ লকেটের দল ছাড়া নিয়ে চরম জল্পনা, ম্যারাথন বৈঠকে নাড্ডা

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশামতো আসন সংখ্যা টানতে না পাড়ার পরেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে কলহ। নিজেদের এই অন্তর কলহের কারণে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কথা ছেড়ে দিলেও একাধিক বিধায়ক সহ সাংসদদের গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে নাম লেখাতে দেখা যাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরে।

সম্প্রতি গত সপ্তাহে সকলকে চমকে দিয়ে হঠাৎ আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় নাম লেখান তৃণমূলে। তার এই নাম লেখানোর পরেই বঙ্গ রাজনীতিতে আরও এক বিজেপি সাংসদের দলবদল নিয়ে শুরু হয়েছে চরম জল্পনা। আর তিনি হলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ তথা জনপ্রিয় নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি। লকেট চ্যাটার্জির দল ছাড়া এই জল্পনার মাঝেই তার সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করলেন জেপি নাড্ডা।

জানা গিয়েছে, বিজেপিতে লকেটের গুরুত্ব বুঝে গত মঙ্গলবার দিল্লিতে জেপি নাড্ডার বাসভবনে এই ম্যারাথন বৈঠক হয়। যদিও এই বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু কি ছিল তা সম্পর্কে কিছু জানাননি হুগলির এই সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন এই বৈঠকের বিষয়বস্তু ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।

বৈঠক প্রসঙ্গে লকেট চ্যাটার্জি দাবি করেছেন, তাকে উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনে সহ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। সেখানে দুদিন সফর করার পর তিনি সোমবার দিল্লি ফিরেছেন। তারপর জেপি নাড্ডার সঙ্গে উত্তরাখণ্ড নিয়ে আলোচনায় বসেন। জাতীয় রাজনীতিতে দেওয়া দায়িত্ব যাতে সঠিকভাবে পালন করতে পারেন সেই জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।

তবে লকেট চ্যাটার্জি এমনটা দাবি করলেও দিন কয়েক ধরেই তাকে নিয়ে যে জল্পনা চলছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াকিবহাল মহল এমনটা মানতে নারাজ। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন, উত্তরাখণ্ডে নিয়ে আলোচনা হলেও যে জল্পনা তৈরি হয়েছে লকেট চ্যাটার্জিকে ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে তা নিয়েও আলোচনা হয়।

তবে আবার এই প্রসঙ্গে লকেট চ্যাটার্জি দাবি করেছেন, যে গুজব রটেছে বাংলায় তা জানতেনই না নাড্ডাজি। বরং তিনি তাকে সেই কথা বলেছেন। সেই কথা শুনে নাড্ডাজি অবাক হয়ে যান।

যদিও লকেট চ্যাটার্জির দল ছাড়া নিয়েছে জল্পনা তৈরি হয়েছে সেই জল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দিন কয়েক আগেই একটি টুইট করেন। যে টুইটে তিনি পরিষ্কার করে দেন, দল ছাড়া নিয়ে অথবা অন্য দলে যোগদান করা নিয়ে যা উঠছে তা সম্পূর্ণ গুজব।

তিনি টুইটে লেখেন, “আমি সাধারণত ভুয়ো খবরে কান দিই না। কিন্তু এবার গুরুত্ব দিতে বাধ্য হলাম। প্রথমে বলে রাখি, আয়ারাম গয়ারামের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাস করি না। ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে কিছু সংবাদমাধ্যম। এতে সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে।”

তবে সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে প্রতিনিয়ত যে সকল ঘটনা ঘটে চলেছে তাতে কোথাও কাউকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। কে কোথায় কখন কিভাবে নিজেদের দল বদলে নিচ্ছেন তাও এক প্রকার বুঝে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না সাধারণ মানুষদের।