‘একটা দুটো হয়, বস্তা বস্তা নয়’, চালের বস্তা সেলাইয়ের তত্ত্ব খারিজ বিজেপির

হিমাদ্রি মণ্ডল : করোনা ভাইরাসের আবহে লকডাউন চলাকালীন বীরভূমের রাজনীতি এখন চালের বস্তায়। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্র নিম্নমানের চাল পাঠাচ্ছে, সেই চাল ফেরত দেওয়া হয়েছে। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, কেন্দ্রে পাঠানো চাল উৎকৃষ্ট মানের। তৃণমূল নেতারা সেই চাল বদলে দিচ্ছেন।

আর এই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ মঙ্গলবার আরও জোরদার হয় যখন এক দুবরাজপুরের বালিজুরি গ্রামের এক তৃণমূল নেতা দুবরাজপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রর বাড়ি থেকে গাড়িতে করে চাল নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন এক বিজেপি কর্মী সেই গাড়ি আটকে দেখেন বস্তায় রয়েছে এফসিআইয়ের লোগো। তারপরে অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতারা এফসিআইয়ের চাল চুরি করে নিজেদের বাড়িতে তুলেছেন। আর পরে সেই চাল পাড়ায় পাড়ায় তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে নাম কামানোর জন্য বিলি করছেন।

যদিও এই ঘটনার পর দুবরাজপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র জানান, “জেলা থেকে বেশ কয়েক বস্তা চাল পাঠানো হয়েছে এলাকায় বিলি করার জন্য। সেই সকল চালের অনেকগুলি বস্তা ফাটা ছিল। তাই আমরা রেশন দোকানে থেকে বস্তা কিনে সেই চাল আবার বস্তাবন্দি করে বিলি করছি। আমরা দেখি নাই বস্তার উপর কার লোগো লাগানো আছে।”

এরপর বুধবার ফের বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল ওই তৃণমূল নেতার তত্ত্বকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আমরাও চাল দিচ্ছি। মিল থেকে চাল কিনে নিয়ে এসে বিলি করছি। কিন্তু এক লরি চালের গাড়িতে দু-একটা বস্তা ফাটা থাকতে পারে। তা বলে এত এত বস্তা ফাটা হয় না। আর যদিও বা সেলাই ফেটে থাকে তাহলে যে মেশিনে সেলাই করা হয় সেই মেশিন কারোর বাড়িতে নেই। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি সেই মেশিন বীরভূম জেলায় কারোর বাড়িতে নেই। সেলাই মেশিন একমাত্র মিলে রয়েছে। তাহলে সেই সেলাই দেখা গেল বস্তাতে! সবকিছু ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”

প্রসঙ্গত এদিন বীরভূম জেলার বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডলের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা বীরভূম জেলা শাসকের কাছে আসেন এই চাল নিয়ে যেন সরকারিভাবে তদন্ত করা হয় তার জন্য অভিযোগ জানাতে।আর অভিযোগ জানাতে এসেই বস্তা ফাটার যে তথ্য দিয়েছিল তৃণমূল খারিজ করে দেয় বিজেপি।