বিজেপি সাংসদদের উপর হামলার প্রতিবাদে পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও

হিমাদ্রি মন্ডল : রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা আক্রান্ত হচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়েছে, এই সকল নানান অভিযোগ টেনে সোমবার জেলায় জেলায় এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে নামে রাজ্য বিজেপি।

সাংসদ অর্জুন সিং-এর উপর হামলায় ইতিমধ্যেই উত্তাল ব্যারাকপুর। বিজেপি ব্যারাকপুরে আজ ১২ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট পালন করে। ধর্মঘটের প্রভাব সকাল থেকেই রাস্তাঘাট শুনশান, বাস, লরি, টোটো, অটো বন্ধ, অন্যদিকে দফায় দফায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আর অন্যদিকে দুপুর গড়াতেই আগাম কর্মসূচি অনুযায়ী জেলায় জেলায় শুরু হয় পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও।

বীরভূম বিজেপির তরফ থেকে সোমবার দুপুরে জেলার বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল এবং প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মন্ডলের নেতৃত্বে সিউড়িতে ঘেরাও করা হয় পুলিশ সুপারের অফিস। পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও করে বিজেপি নেতারা আক্রমণ করতে শুরু করেন পুলিশ প্রশাসনকে।

প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মন্ডল পুলিশকে আক্রমণ করে বলেন, “জেলাশাসকের বাংলোয় বোম মারার ঘটনায় আমাদের এসপি, ডিএসপি, ডিএনটিদের মুখে যে কালি লেগেছে সেগুলি সাদা কাপড় আর সাবান দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে।”

বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল পুলিশকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, “বিজেপি কর্মীদের বারবার মিথ্যা কেসে ফাঁসিয়ে জেলে পুড়বেন, এটা মামার বাড়ি নয়। ৬০ বছর পর্যন্ত আপনার এই ক্ষমতা আছে, ৬০ বছর পরও বাংলায় থাকতে হবে। ২০২১ সালে আমরা ক্ষমতায় এসে কত বড় অফিসার আমরা না দেখে ছাড়বো না।”

এছাড়াও আজ তিনি পুলিশকে হুমকি দিয়ে বলেন, “আমরা আমাদের দলীয় কর্মীদের সুরক্ষার জন্য লড়াই করছি, আর পুলিশ তৃণমূলের দালালী করছে। আর একতরফাভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর মিথ্যা কেস দেওয়া বন্ধ না হলে বীরভূম জেলায় আগুন জ্বলবে।”

প্রসঙ্গত, বিজেপির এই কর্মসূচিতে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন জেলার প্রাক্তন সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ও। এই কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ও ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় পুলিশ সুপার অফিস চত্ত্বর।