নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজয়া দশমীতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানের একই পরিবারের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সহ তিনজনকে। দিনের আলোয় হত্যা করা এই তিনজন হলেন স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল ও তাঁর ৮ বছরের ছেলে বন্ধুঅঙ্গন পালকে। বিউটি মণ্ডল অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বন্ধুপ্রকাশ পাল একজন সক্রিয় আরএসএস কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছে আরএসএস।
আর এই ঘটনার পরেই বিজেপি প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গ তুলে। বাংলার বুদ্ধিজীবীমহলকে নিশানা করে রাজ্যের আরও কয়েকটি হত্যার ঘটনায় বিজেপি তাদের পশ্চিমবঙ্গের ফেসবুক পেজে প্রশ্ন তুলেছে, “অষ্টমী থেকে দ্বাদশী ৪ দিনে খুন ৮ জন বাংলার সাধারণ মানুষ। সারা দেশের বুদ্ধিজীবী মহল আজ কেন এত নিশ্চুপ? কোথায় তারা আজ?”
এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতির প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জবাবদিহি চেয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, জিয়াগঞ্জের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে চাইছে বিজেপি।
জিয়াগঞ্জের ঘটনাকে প্রসঙ্গ করে বিজেপি নেতারা একের পর এক প্রশ্ন করেছেন বাংলার বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়ে, রাজ্যের প্রশাসনিক পরিস্থিতি নিয়ে। তাদের প্রশ্ন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা কী অবস্থায় আছে, তা আমরা জানি। একজন প্রাথমিক শিক্ষককে নৃশংসভাবে খুন হচ্ছে অথচ মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভাল নিয়ে ব্যস্ত। ওনাকে জবাব দিতে হবে।”
এছাড়াও বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ প্রশ্ন তুলেছেন, “বাংলার সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীরা কাশ্মীরে কী ঘটছে, দিল্লির জেএনইউ-তে কী ঘটছে, তা নিয়ে বড় বড় করে লিখছেন। ওনাদের যত চিন্তা ভারতের অন্যান্য জায়গা নিয়ে। বাংলা নিয়ে চুপ কেন? কেন খোঁজ রাখছেন না? প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছিলেন। খুব ভালো কথা। কিন্তু বাংলা কি সেই সমাজ সচেতনতার বাইরে? আমার প্রশ্ন অপর্ণা সেনকে, বাংলায় কেন প্রাণ দেবে একজন শিক্ষক? কেন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী প্রাণ দেবেন? আমরা সেই সুশীল সমাজকে চাই না, যাঁরা পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এই সকল সুশীল সমাজের লজ্জা হওয়া উচিত। ইনাদের মুখোশের পিছনের মুখ চিনে ফেলেছেন সাধারণ মানুষ।”