হারিয়ে যাওয়া মাটি শক্ত করতে মরিয়া অনুব্রত, চলছে যোগদান পর্ব

অমরনাথ দত্ত : তৃণমূল কংগ্রেসের মতে তিনি লৌহমানব, তিনি বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বীরভূমের একাধিক পঞ্চায়েত দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি।

কিন্তু লোকসভা ভোটের পর মাটি হারাতে শুরু করে তৃণমূল, রাজ্যের পাশাপাশি জেলাজুড়ে ফুটতে থাকে পদ্মফুল। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাত আসন বিশিষ্ট বিধানসভার তিনটি ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। যদিও লোকসভা আসনের হিসাবে দুটি আসনের দুটিতেই জিততে সমর্থ হয় তৃণমূল।

আর এরপর থেকেই মরিয়া হয়ে দল ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন নেতা-কর্মীকে দলে ফেরাতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। সামনে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে একটু একটু করে এগোতে চাইছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। কখনো ১০০০, কখনো ৫০০, এদিন ৪০০ জন। এভাবেই বিরোধীদের কাছ থেকে নিজের দলে লোক টানতে শুরু করেছে তৃণমূল।

যদিও বিরোধীদের মতে তৃণমূল না করলে পুলিশ মিথ্যা কেস দিচ্ছে। যারা তৃণমূলে যোগদান করছে সকলেই ভোট দেবে বিজেপিকে, থাকছে তৃণমূলের হয়ে। উল্টোদিকে বিরোধীদের কথায় কান দিতে নারাজ তৃণমূল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোলপুরের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে প্রায় ৪০০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন। শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত রূপপুর অঞ্চলের সুরুল গ্রামের তৃণমূল নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে এদিন তারা অনুব্রত মন্ডলের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা গ্রহণ করেন।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, যোগদানকারীরা প্রত্যেকেই আগে বিজেপিতে ছিলেন। কিন্তু এখন তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মমতা ব্যানার্জির হাতকে শক্ত করতে তৃণমূলে এলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের যোগদান পর্ব আগামী দিনে আরও হবে।