কবে হবে CAA কার্যকর, ঠাকুরনগরের স্পষ্ট বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : CAA কার্যকর কবে হবে এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মতুয়াদের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে প্রশ্ন। এমনকি কেন্দ্রের তরফ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ না পাওয়ায় অসন্তোষ জমা হচ্ছিল তাদের মধ্যে। যার পরেই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ঠাকুরনগর সফর ঘিরে CAA নিয়ে কি বার্তা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন রাজনৈতিক মহল।

Advertisements

Advertisements

রাজনৈতিক মহলের আশা মতই শুক্রবার ঠাকুরনগরের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জানিয়ে দিলেন, “দেশে টিকাকরণ শেষ হলেই কার্যকর করা হবে CAA। শুরু করে দেওয়া হবে নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ।” এর পাশাপাশি তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি আপনারা ভারতের নাগরিক হিসেবে সবকা সাথ, সবকা বিকাশে সামিল হবেন।”

Advertisements

এর পাশাপাশি এই সভা মঞ্চ থেকেই তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানান, “মমতা দিদি বলেছিলেন CAA কার্যকর হতে দেবো না। কিন্তু আমরা সেই লোক যারা যা বলি তাই করে ছাড়ি। আজ আমি এই পবিত্র ভূমিতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি। দেশে করোনা টিকাকরণ শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই নাগরিকত্ব প্রদান করার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।”

অন্যদিকে মতুয়াদের CAA দ্রুত কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি অমিত শাহ সংখ্যালঘুদের সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যেও বার্তা দেন। তিনি বলেন, “CAA নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে এই আইনের ফলে মুসলমানদের নাগরিকত্ব চলে যাবে। কিন্তু এই আইন কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। এই আইন কার্যকর হওয়ার সাথে কারোর নাগরিকত্ব চলে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।”

অমিত শাহ এদিন CAA নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি আরও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান মতুয়াদের সামনে। তিনি ঘোষণা করেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী শরণার্থী সমাজ তৈরি করা হবে। পেনশনের ব্যবস্থা করা হবে মতুয়াদের দলপতিদের। গুরুচাঁদ হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরের উন্নত পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। ক্ষমতায় এলে এক সপ্তাহের মধ্যে ঠাকুরনগর রেলস্টেশনের নাম শ্রীধাম ঠাকুরনগর রেল স্টেশন করে দেওয়া হবে।”

[aaroporuntag]
বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের CAA সম্পর্কিত এই ঘোষণা বেশ তাৎপর্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাংলার প্রায় ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে মতুয়া ভোট বেশ ফ্যাক্টর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে CAA কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই মতুয়াদের সমর্থন জোগাড় করেছিল গেরুয়া শিবির।

Advertisements