সরকারি হোক বা বেসরকারি চাকরি আর স্থায়ী নয়, আসছে নয়া বিল

নিজস্ব প্রতিবেদন : স্থায়ী চাকরি বলে আর কিছু থাকবে না। সরকারি হোক অথবা বেসরকারি, সবক্ষেত্রেই স্থায়ী চাকরি করার স্বপ্ন উঠে যেতে পারে। শ্রম বিধিতে বড়সড় বদল আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার শীতকালীন অধিবেশনে বলে বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘লেবার কোড অন ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রিলেশনস ২০১৯’ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জানা গিয়েছে, নতুন শ্রম বিধিতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে জোড় দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সংস্থাগুলি যেকোনো সময়সীমার জন্য যেন চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করতে পারে তার দিকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে এর ফলে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি স্থায়ী চাকরি তুলে দেওয়ার পথে হাঁটবে।

কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন ৪৪ টি শ্রম ও বিধির পরিবর্তে নতুন ৪ টি শ্রমবিধি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও ট্রেড ইউনিয়ন অ্যাক্ট ১৯২৬, ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অ্যাক্ট ১৯৪৬ ও ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ডিসপুট অ্যাক্ট পরিবর্তন করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা রয়েছে কেন্দ্র সরকারের। নতুন এই সময় বৃদ্ধির একটি খসড়াও তৈরি করেছে কেন্দ্র সরকার। শ্রমিক সংগঠনগুলির তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও এই বিল সংসদে পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার শীতকালীন অধিবেশনে।

এই বিলের উদ্দেশ্য হল, স্থায়ী চাকরির পরিবর্তে চুক্তির মাধ্যমে নিয়োগ করা। যে চুক্তি ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত হতে পারে। এতদিন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হত ঠিকাদারের মাধ্যমে। কিন্তু এবার তা সরাসরি হবে। তবে তিন মাস বা ছমাসের জন্য নিয়োগ হলেও সামাজিক সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি সহজেই ছাঁটাইয়ের সুবিধা রয়েছে এই নতুন বিলে।

কেন্দ্র সরকারের নতুন বিলের বিরোধিতা করেছে দেশের প্রায় সবকটি শ্রমিক সংগঠন। এই নতুন বিধি সংসদে পাস হলে তারা দেশজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। যদিও নতুন শ্রম বিধিকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্প সংগঠন সিআইআই।