১৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন খুব দ্রুত ১৬৫০০ শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে। যার পরেই ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রাথমিক টেটে সফল এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া এবার ঘোলা জলে পা দিলো। মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্থগিত হয়ে গেল এই সকল শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া।

নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৬ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর রাতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব ১৫২৮৪ জনের একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করেন। আর বাকিদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়। আর এই মেধা তালিকা প্রকাশের পর ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীকে দেওয়া হয়েছে নিয়োগপত্র। তবে এরপরেও আইনি জটে অথৈ জলে এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ।

এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা রয়েছে এবং বেআইনিভাবে নিয়োগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে এমন অভিযোগ তোলে কলকাতা হাইকোর্টে ৬টি মামলা রুজু করা হয়। মামলা হয় গত বৃহস্পতিবার। মামলাকারীদের আইনজীবীরা বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের কাছে আবেদন করেন। আর সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার মহামান্য বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। ৪ সপ্তাহ পর এই মামলার ফের শুনানি হবে।

মামলাকারীদের এক আইনজীবী জানিয়েছেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে অস্বচ্ছতা রয়েছে এবং বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে তার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। এসকল প্রমাণের মধ্যে বেশ কিছু প্রমাণ ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংক্রান্ত আরও প্রমাণ আমরা আদালতের কাছে তুলে দেব।”

[aaroporuntag]
চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম রয়েছে পরীক্ষার্থীদের টেট, ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বর, নাম, রোল নম্বর সহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করার কথা পর্ষদের। কিন্তু এক্ষেত্রে মেধাতালিকা প্রকাশ না করে যারা সফল হয়েছেন তারাই কেবলমাত্র ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের রোল নম্বর দিয়ে তা দেখতে পাচ্ছেন। এই বিষয়টিকে নজরে এনেছেন মামলাকারীদের একাংশ।