পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টের ATM কার্ডের সুবিধা – অসুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতবর্ষে প্রায় দেড় লক্ষ পোস্ট অফিসের শাখা রয়েছে। এই সকল পোস্ট অফিসের শাখায় রয়েছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও। দেশের বহু মানুষ পোস্ট অফিসকে সঞ্চয়ের সবথেকে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবেও মনে করেন। তাই তারা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ রাখতে ভরসা করেন পোস্ট অফিসেই। এছাড়াও পোস্ট অফিসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে খরচ খুবই কম। মাত্র ১০০ টাকাতেই খোলা যায় সেভিংস অ্যাকাউন্ট। পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায় বার্ষিক ৪ শতাংশ সুদ।

তবে ১০০ টাকাতে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা গেলেও চেক অথবা ডেবিট কার্ড বা এটিএম কার্ড সুবিধা নিতে গেলে অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ মিনিমাম ব্যালেন্সের নিয়ম মানা বাধ্যতামূলক। তবে এই এটিএম অথবা ডেবিট কার্ডে রয়েছে বিশেষ কয়েকটি সুবিধা যা অন্যান্য ব্যাঙ্কের তুলনায় আকর্ষণীয়, পাশাপাশি ব্যবহারের ক্ষেত্রে রয়েছে নিয়মাবলী।

পোস্ট অফিসের দেওয়া এটিএম কার্ডের শর্ত

১) পোস্ট অফিসের এটিএম কার্ডে গ্রাহকরা দৈনিক সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা তুলতে পারেন।

২) গ্রাহক তার এটিএম কার্ড দিয়ে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ফ্রি-তে টাকা তুলতে পারেন। তারপর অন্যান্য ব্যাঙ্কের মতই চার্জ কাটা হয়।

৩) পোস্ট অফিসের এটিএম কার্ডে একবারে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট বহন করার যে খরচ তার তুলনায় অনেক বেশি সুবিধা।

৪) পোস্ট অফিসের এটিএমে দিনে ৫ টি লেনদেন ফ্রি থাকে।

৫) পোস্ট অফিসের ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা তুললে মাসে ৩ টি লেনদেন ফ্রি হয়।

৬) কোনও গ্রাহক কোনও মাসে ৩ বারের বেশি অন্য এটিএম থেকে টাকা তুললে ২০ টাকা করে কাটা হয়। সঙ্গে কাটা হয় আলাদা করে জিএসটি চার্জ।

৭) পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার সময় চেকবুক চাইলে রাখতে পারেন আবার নাও রাখতে পারেন। ঠিক তেমনই এটিএম কার্ড চাইলে রাখতে পারেন আবার নাও রাখতে পারেন।

৮) পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট কেউ চাইলে এক ডাকঘর থেকে অন্য ডাকঘরে পরিবর্তন করতে পারেন।

মাসে মাসে লাগবে না খরচ, বিনামূল্যে TV-তে ১০০ চ্যানেল

নিজস্ব প্রতিবেদন : এবছরের শুরুতেই কেবল টিভি দেখার ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম চালু হয়ে। ট্রাই জানিয়ে দেয়, দর্শকরা যে চ্যানেল দেখবেন, শুধু তার জন্যই দাম মেটাবেন। তবে এই নতুন নিয়মে টিভি দেখার মাসিক খরচ শহরতলিতে অনেকে কমিয়ে ফেললেও মফস্বল এলাকায় খরচ অনেক বেড়ে যায়। ফলে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই বিনোদনে কাটছাট শুরু করেন।

আর সে কথা মাথায় রেখেই কোনোরকম খরচ না করেই একেবারে বিনা পয়সায় টিভি দেখার যে সুযোগ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশ জুড়ে চালু রয়েছে ফ্রি ডিশ নামে একটি পরিষেবা। যেখানে গ্রাহকরা যাতে আরও বেশি সংখ্যক চ্যানেল নিখরচায় দেখতে পারেন, তার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সেই ফ্রি সার্ভিসে ১ লা ডিসেম্বর থেকে যোগ হতে চলেছে আরও আটটি চ্যানেল।

প্রসার ভারতীর আওতায় থাকা এই ফ্রি সার্ভিস পেতে হলে গ্রাহকদের শুধু মাত্র সেট টপ বক্স এবং অ্যান্টেনা বসানোর খরচ করতে হবে। মাসে মাসে টাকা খরচের দরকার নেই। ফ্রি ডিশ টিভিতে আজ থেকে যুক্ত হচ্ছে একটি হিন্দি সিনেমার চ্যানেল, দু’টি হিন্দি গানের চ্যানেল, দু’টি হিন্দি খবরের চ্যানেল, ভোজপুরি, মারাঠি ও পাঞ্জাবি চ্যানেল। মোটের উপর বিনামূল্যেই প্রায় ১০০টি চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন দর্শকরা।

২০০৪ সালে এই ফ্রি ডিশ পরিষেবা চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে সেসময় ছিল মাত্র ৩৩টি চ্যানেল। বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রায় ১০৪। আগামীদিনে সেই সংখ্যাকে ২৫০ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে প্রসার ভারতী। এছাড়াও এই পরিষেবায় ৪০টি রেডিও চ্যানেল সম্প্রচার হয়। বর্তমানে এই বিনামূল্যের ডিশ পরিষেবায় দর্শকরা শুধুমাত্র এসডি চ্যানেল দেখতে পান, আগামীদিনে এটিকে এইচডি করার উদ্যোগও শুরু হয়েছে। আর দিনের পর দিন এই ফ্রি ডিশ পরিষেবায় চ্যানেলের সংখ্যা বাড়তে থাকার ফলে কেবল ও ডিটিএইচ ব্যবসায়ীদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

অন্যান্যদের পথেই হাঁটলো Vodafone ; ১ লা ডিসেম্বরে বাড়লো না খরচ

নিজস্ব প্রতিবেদন : এই মুহুর্তে ভারতীয় বাজারে ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রে সব থেকে ক্ষতির সম্মুখীন ভোডাফোন আইডিয়া সংস্থা। কয়েক হাজার কোটি টাকার বকেয়া নিয়ে ভুগছে তারা। হাজার কোটি টাকার বকেয়া রয়েছে এয়ারটেলেরও। এদিকে অন্যান্য টেলিকম সংস্থা থেকে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক পকেটে পুরেও চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ভারতের সবথেকে বড় ৪জি সংস্থা রিলায়েন্স জিও লাগু করেছিল অন্য নেটওয়ার্কে কল করার জন্য প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা। অন্য নেটওয়ার্কে আলাদা করে কল চার্জ ঘোষণার পরই বহু গ্রাহক রিলায়েন্স জিও থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। চলে যায় এয়ারটেল, ভোডাফোন অথবা আইডিয়ার মত নেটওয়ার্কে। কিছুটা হলেও স্বস্তির মুখ দেখে এই সংস্থাগুলি। তবে আবার নভেম্বর মাসে খবর আসে এবার এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়ার মত সমস্ত সংস্থাও নাকি আবার ১লা ডিসেম্বর থেকে বাড়াতে চলেছে মোবাইলের খরচ। ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচতে এই পদক্ষেপ।

সর্বভারতীয় নানান সংবাদপত্রে শোনা যায়, টেলিকম সংস্থাগুলিকে দিনের পর লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে ১লা ডিসেম্বর থেকে একজোটে সবাই তাদের ট্যারিফ রেট পরিবর্তন করতে চলেছে। এই পরিবর্তনে বাড়তে চলেছে ট্যারিফের দাম। তবে কত হবে ট্যারিফের দাম বা কত বাড়ানো হবে তা নিয়ে কোথাও পরিষ্কার ভাবে কিছু জানানো হয়নি। টেলিকম সংস্থাগুলিও পরিষ্কার করে কিছু প্রকাশ করেনি। যাতে করে কি হতে চলেছে ১লা ডিসেম্বর থেকে ট্যারিফ তা নিয়ে সকলের মধ্যেই ছিল সন্দেহ।

ভোডাফোন যে ভারতে ব্যবসায় লোকসানের মুখ দেখছে তা নিয়ে মুখ খোলেন স্বয়ং ভোডাফোন সিও নিক রিড। টেলিকম সংস্থাটির চিফ এগ্‌জ়িকিউটিভ নিক রিড জানান, ভারতে দীর্ঘ দিন ধরে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে তাঁদের ব্যবসা। তাঁর কথা অনুযায়ী, “নিয়মে অসহযোগিতা, চড়া কর এবং সর্বোপরি সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। ফলে বিপুল আর্থিক বোঝা চাপছে।”

কিন্তু তারপরেও ১লা ডিসেম্বর থেকে দেখা গেল তারাও অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলির মতোই ট্যারিফ রেট না বাড়ানোর পথেই হাঁটল। ভোডাফোনের পদস্থ কর্মীচারীদের সূত্রে জানা যায়, এখনই তারা ট্যারিফের দাম বাড়ানোর পথে হাঁটছে না। তবে আগামী ৩রা ডিসেম্বর কল রেট বা ট্যারিফ রেট বাড়াতে পারে ভোডাফোন বলে সূত্রের খবর।

Jio গ্রাহকদের জন্য সুখবর ; ১ লা ডিসেম্বর থেকে বাড়ছে না খরচ

নিজস্ব প্রতিবেদন : অন্যান্য টেলিকম সংস্থা থেকে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক পকেটে পুরেও চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ভারতের সবথেকে বড় ৪জি সংস্থা রিলায়েন্স জিও লাগু করেছিল অন্য নেটওয়ার্কে কল করার জন্য প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা। অন্য নেটওয়ার্কে আলাদা করে কল চার্জ ঘোষণার পরই বহু গ্রাহক রিলায়েন্স জিও থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। চলে যায় এয়ারটেল, ভোডাফোন অথবা আইডিয়ার মত নেটওয়ার্কে। কিন্তু পরে আবার নভেম্বর মাসে খবর আসে এবার এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়ার মত সমস্ত সংস্থাই নাকি আবার ১লা ডিসেম্বর থেকে বাড়াতে চলেছে মোবাইলের খরচ। ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচতে এই পদক্ষেপ।

সর্বভারতীয় নানান সংবাদপত্রে শোনা যায়, নিজেদের সংস্থাগুলিকে দিনের পর লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে ১লা ডিসেম্বর থেকে এয়ারটেল, ভোডাফোন ও আইডিয়া তাদের ট্যারিফ রেট পরিবর্তন করতে চলেছে। এই পরিবর্তনে বাড়তে চলেছে ট্যারিফের দাম। তবে কত হবে ট্যারিফের দাম বা কত বাড়ানো হবে তা নিয়ে কোথাও পরিষ্কার ভাবে কিছু জানানো হয়নি। টেলিকম সংস্থাগুলিও পরিষ্কার করে কিছু প্রকাশ করেনি। যাতে করে মোবাইল খরচ নিয়ে একপ্রকার অন্ধকারের দিকে ছুটছিলেন গ্রাহকরা।

তবে ১লা ডিসেম্বর থেকে দেখা গেল এয়ারটেল ট্যারিফ রেট বাড়ানোর পথে এক্ষুনি হাঁটল না, ঠিক তেমনই জিও-ও নতুন করে বাড়ালো না তাদের ট্যারিফ রেট। অক্টোবর মাস থেকে হওয়া নিয়মই বজায় থাকলো ১লা ডিসেম্বর। ১লা ডিসেম্বরের কয়েকদিন আগে থেকেই এই দুই সংস্থার পদস্থ কর্মীচারীদের সূত্রে জানা যায়, এখনই তারা ট্যারিফের দাম বাড়ানোর পথে হাঁটছে না।

সেই মতোই জিও গ্রাহকদের জন্য এলো সুখবর। সংস্থার সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ১ লা ডিসেম্বর থেকে তাদের কোনো প্রকার ট্যারিফের পরিবর্তন করা হলো না। জিও অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া নিয়মই বজায় রেখেছে আজও। যদিও এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি বা স্পষ্ট করে বলা হয়নি কতদিন তারা ট্যারিফ রেট অপরিবর্তিত রেখে গ্রাহকদের পরিষেবা দিয়ে যাবে।

ডকুমেন্ট ছাড়াই এই পদ্ধতিতে করা যাবে Aadhaar Card

নিজস্ব প্রতিবেদন : সামাজিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে আধার কার্ড ভারতীয়দের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্যান কার্ড করার ক্ষেত্রে, ইনকাম ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অথবা কোন সামাজিক প্রকল্পে ভর্তুকি পেতে হলে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আধার কার্ড বাঞ্ছনীয়।

আর আধার কার্ড তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হয় যথোপযুক্ত ডকুমেন্ট বা নথির। যেমন ভোটার আইডি কার্ড, প্যান কার্ড, জন্ম তারিখের প্রমানপত্র, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, পাসবুক অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। যাইহোক এই সমস্ত ডকুমেন্ট বা নথি যদি আপনার কাছে না থাকে তাহলেও আপনি নতুন আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। UIDAI এর তরফ থেকে এমনই উপায় আনা হয়েছে।

UIDAI এর এনরোলমেন্ট ফর্ম অনুযায়ী এই সমস্ত উপযুক্ত ডকুমেন্ট ছাড়াও দুটি পদ্ধতি রয়েছে নতুন আধার কার্ড আবেদন করার জন্য, যদি আবেদনকারীর কাছে নিজের ঠিকানার প্রমাণপত্র বা পরিচয়পত্র না থাকে। প্রথম পদ্ধতি হলো, পরিবারের প্রধান সদস্যের সাহায্য নিয়ে এবং দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো কোনো একজন সাক্ষাৎকারকের সাহায্য নিয়ে।

প্রথম পদ্ধতি : যদি পরিবারের কোনও সদস্যের যথোপযুক্ত পরিচয়পত্র না থাকে, তাহলে সে আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারে পরিবারের প্রধান সদস্যের ডকুমেন্টস দিয়ে। সেক্ষেত্রে প্রথমে ওই সদস্যকে পরিবারের প্রধান সদস্যের ডকুমেন্টস এনরোলমেন্টে দিতে হবে। পরিবারের প্রধান সদস্যকে এক্ষেত্রে অবশ্যই তাঁর আসল পরিচয়পত্র ও ঠিকানাপত্র রাখতে হবে। সঙ্গে যে আবেদন করছেন তাঁকে সহ দুজনকেই সশরীরে হাজির থাকতে হবে। পাশাপাশি পরিবারের প্রধানের সঙ্গে নতুন আধার আবেদনকারী ব্যক্তির কী সম্পর্ক তাঁর প্রমাণ পত্র রাখতে হবে। যেগুলি ডকুমেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা যাবে – পিডিএস কার্ড, জব কার্ড, মেডিকেল কার্ড, পেনশন কার্ড, আর্মি ক্যান্টিন কার্ড, পাসপোর্ট, জন্ম প্রমাণ পত্র, রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের অন্যান্য পরিচয় পত্র, বিয়ের পরিচয় পত্র, পোস্ট অফিসের নানান ডকুমেন্টস, সরকারি হাসপাতালে শিশুর জন্মের সময়কার ডিসচার্জ কার্ড, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান বা বিধায়কের স্ট্যাম্প প্যাডে উভয়ের সম্পর্কের প্রমাণপত্র।

দ্বিতীয় পদ্ধতি : একজন ব্যক্তির আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমেও অন্য এক ব্যক্তি ডকুমেন্ট ছাড়াই আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। যে জন্য প্রয়োজন, যিনি সাক্ষাৎ করাচ্ছেন তার আগে থেকেই আধার কার্ড থাকা। যদি সাক্ষাৎকারক মনে করেন কোন ব্যক্তির ডকুমেন্ট নেই অথচ তার আধার কার্ড হওয়া উচিত, তাহলে এই পদ্ধতিতে আধার কার্ডের আবেদন করা যেতে পারে।

ডকুমেন্ট ছাড়া দুটি পদ্ধতিতে আধার কার্ডের আবেদনের আগে মনে রাখার অবশ্যই প্রয়োজন, সাক্ষাৎকারক হোক অথবা পরিবারের প্রধান সদস্যের সাহায্য নিয়ে নতুন আধারের আবেদন হোক, দুটি ক্ষেত্রেই আবেদনকারী এবং মাধ্যম ব্যক্তিকে সশরীরে এনরোলমেন্ট সেন্টারে উপস্থিত থাকতে হবে।

দুর্ঘটনা রুখবে বর্ধমানের ক্ষুদে এই বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদন : অনুপ্রেরণা যার কাছে শ্রদ্ধেয় এপিজে আবদুল কালাম, তার মধ্যে যে বিশেষ কিছু করার ক্ষমতা থাকবে তা একপ্রকার ধরে নেওয়া যায়। আর এমনই এক বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে চলেছে আমাদের রাজ্যের ক্ষুদে এক বিজ্ঞানী, যে রাজধানী শহর কলকাতার বাসিন্দা না হয়েও সামান্য জেলার ছোট্ট একটা শহরতলীর বাসিন্দা হয়েও তার কাজের মাধ্যমে এবং উদ্ভাবনী শক্তির সাহায্যে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

আবেগ আর প্রযুক্তির মিশেলে এক অভিনব ডিভাইস বা যন্ত্র আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিগন্তিকা বসু। তার এই আবিষ্কার ইতিমধ্যেই রাজ্যস্তরে বিজ্ঞান মেলায় সম্মানিত হয়েছে। পাশাপাশি তার আবিষ্কার সংক্রান্ত গবেষণাপত্র পাঠের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আহমেদাবাদ) তাকে আমন্ত্রণও জানিয়েছে। তার কথা অনুযায়ী, তার এই নতুন আবিষ্কার যন্ত্র মোটরবাইক বা গাড়িতে ব্যবহার করলে চালকের গাড়িচালনার গতিবিধির পর্যবেক্ষণ করবে। তারপর সেটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন আবেগপ্রবণ কথার মাধ্যমে চালককে নিয়ন্ত্রণ করবে ও সতর্ক করবে। আর এই ডিভাইসের খরচ মাত্র ৫০০ টাকা।

দিগন্তিকার আবিষ্কার করা এই নতুন ডিভাইসটির নাম হলো ‘টেকনোলজি উইথ ইমোশন বেসড অ্যান্টিকলিশন ডিভাইস ফর ভেহিক্যালস’। এই ডিভাইসের আরও কতকগুলি গুণাগুণ রয়েছে। যেমন, এই ডিভাইসের ব্যবহারে গাড়ির বা বাইকের বায়ুদূষণও কম হবে।

বর্ধমানের মেমারির রসিকলাল বালিকা বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনার পর সে এখন মেমারির ভি.এম. ইনস্টিটিউশন (ইউনিট ২)-এর একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বাবা সুদীপ্ত বসু ও মা শুভ্রা বসু। বিজ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ এবং নতুন কোন কিছু করার ইচ্ছা তার মধ্যে প্রথম প্রকাশ পায় তৃতীয় শ্রেণিতে। যখন সে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করার জন্য এক মডেল তৈরি করে বড়দের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। সে “২০১৭ এপিজে আবদুল কালাম ইগনাইট” পুরস্কার জিতেছিল তার উদ্ভাবনী শক্তিকে এবং বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে। ২০১৮ ‘এপিজে আবদুল কালাম ইগনাইট’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে সে।

এর আগেও তার রয়েছে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। আলোর প্রতিফলনকে কাজে লাগিয়ে সে একটি এমন চশমা আবিষ্কার করেছিল, যার সাহায্যে চারপাশের ৩১৫ ডিগ্রী দেখা যায় ঘাড়ের বা মস্তিষ্কের কোনরকম নড়াচড়া ছাড়াই। এছাড়াও রয়েছে সহজে গাছে ওঠার জন্য উদ্ভাবন করেছিল এক নতুন ধরনের জুতোর যার সাহায্যে বাঘ বা অন্য কোন হিংস্র পশুর আক্রমণ হলে সহজেই গাছে বা উঁচু স্থানে উঠতে পারবে মানুষ।

ড্রিল করার সময় মেশিন ঘূর্ণনের ফলে যে ধুলোবালি নির্গত হয় তার ফলে শ্বাসকষ্ট বা ফুসফুস জনিত রোগের সৃষ্টি হতে পারে আর। তাই এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী অবন্তিকা বানিয়ে ফেলেছে ডাস্ট কালেক্টর যা ডাস্ট কালেক্টর অ্যাটাচমেন্ট ফর ড্রিল মেশিন নামের এক প্রকল্পভিত্তিক কাজ করার সময় সে বানিয়েছিল। যা ড্রিল করা মেশিনের সঙ্গে লাগানো যেতে পারে, আর তা লাগানো থাকলে ড্রিল করার সময়ও সেই ধুলোবালি বাইরে আর উড়বে না, তা ডাস্ট কালেক্টরে গিয়ে জমা হবে। মাত্র ২৫০ টাকা খরচ করে ড্রিল মেশিনের সঙ্গে এই অ্যাটাচমেন্ট লাগানো যায় সহজেই। এছাড়াও অস্থি জনিত সমস্যা থেকে তৈরি হওয়া রোগ স্পন্ডেলাইসিস সংক্রান্ত এক স্মার্ট বেল্ট ‘স্মার্ট সার্ভিকেল কলার বেলট’ তারই আবিষ্কার।

ভারতে মোবাইল খরচ সবথেকে কম, বলছে সমীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের টেলিকম বাজারের ব্যবসা করা সংস্থাগুলি যেমন জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া, বিএসএনএল নভেম্বর মাসে ঘোষণা করে তাদের ব্যবসায়িক মন্দা থেকে সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে ট্যারিফ রেট বাড়ানোর কথা। এই নতুন ট্যারিফ রেট সংস্থাগুলি আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে জারি করতে পারে বলেও ঘোষণা করেছে। যদিও জিও আগেই অক্টোবর মাসে তাদের গ্রাহকদের উপর IUC চার্জ বসায়। যার পরেই আলোড়ন শুরু হয় দেশজুড়ে। প্রশ্ন উঠতে থাকে, যে সংস্থা আজীবনকাল একটি রিচার্জেই সমস্ত পরিষেবা ফ্রিতে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল তারাই কিনা বেঁকে বসলো, অন্য নেটওয়ার্কে কল করার চার্জ ঘোষণা করে!

অন্যদিকে এই ট্যারিফ রেট বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই দাবি করেছেন ভারতের বহু গ্রাহক সমস্যায় পড়বেন। আবার অনেকেই দাবি করেছেন, টেলিকম সংস্থাগুলি ট্যারিফ রেট বাড়ালে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তাদের উন্নতি হবে। সে যাই হোক ট্যারিফ রেট বাড়ার পর আগামী দিনে ভারতের ডেটা এবং কলের জন্য গ্রাহকদের পকেট থেকে কত বেশি টাকা খসছে তা বলবে আগামী দিনই। কিন্তু বর্তমানে ভারত ছাড়া অন্যান্য দেশের ডেটা ও কলের জন্য কত খরচ হয় গ্রাহকদের জানেন?

এনিয়ে দিন কয়েক আগে ইকনোমিকস টাইমস সর্বভারতীয় সংবাদ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। যে প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে ভারতীয়দের প্রতি জিবি ডেটা পিছু খরচ হয় মাত্র ১৮ টাকা ৫০ পয়সা বা তার ধারে পাশে। আর অন্যান্য ভারতের প্রতিবেশী দেশ অথবা পশ্চিমী দেশগুলিতে এর খরচ আকাশছোঁয়া। Cable.co.uk নামে একটি ওয়েবসাইট যা নিয়ে সমীক্ষা করেছিল। যে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ভারতে ১ জিবি ডেটার জন্য মাত্র ১৮ টাকা ৫০ পয়সার ধারে কাছে পড়লেও অন্যান্য দেশের গড় খরচ প্রায় ৬০০ টাকা।

জিম্বাবুয়ে – জিম্বাবুয়েতে ডেটার খরচ সবথেকে বেশি। এখানে ১ জিবি ডেটা পিছু খরচ পরে প্রায় USD ৭৫.২০।

আফ্রিকা – আফ্রিকার সুদান, কংগোর মতো দেশে এক জিবি ডেটার খরচ পড়ে প্রায় ৫০ USD।

চীন – চীনে গড়পড়তা ১ জিবি ডেটার খরচ পরে আমেরিকান ডলার অনুযায়ী ৯.৮৯।

শ্রীলঙ্কা – শ্রীলঙ্কাতে ভারতের টেলিকম সংস্থার এয়ারটেল ব্যবসা করলেও সেখানে ডেটার খরচ অনেক বেশি। সেখানে প্রায় ১ জিবি ডেটা খরচ করে গড়ে ভারতীয় মুদ্রায় ৬০ টাকার কাছাকাছি। শ্রীলঙ্কার গ্রাহকরা এয়ারটেলে ৯৮ টাকার প্ল্যানে আনলিমিটেড কলের সুযোগ পায়। এর সাথে তাদেরকে ১,০০০ এসএমএস ও ১০০এমবি ডেটা দেওয়া হয়। আবার ১১৯ টাকায় ১৪ দিনের জন্য ১.৬৫ জিবি ডেটা যায়।

বাংলাদেশ – বাংলাদেশি ১ জিবি ডেটার জন্য গ্রাহকদের খরচ করতে হয় ভারতীয় মুদ্রায় গড়ে ৭০ টাকার কাছাকাছি।

পাকিস্তান – পাকিস্তানে গ্রাহকদের ১ জিবি ডেটার জন্য গড়ে খরচ করতে হয় ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩০ টাকার এদিক ওদিক।

Airtel গ্রাহকদের জন্য সুখবর ; ১ লা ডিসেম্বর থেকে বাড়ছে না খরচ

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ভারতের সবথেকে বড় ৪জি সংস্থা রিলায়েন্স জিও লাগু করেছিল অন্য নেটওয়ার্কে কল করার জন্য প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা। অন্য নেটওয়ার্কে আলাদা করে কল চার্জ ঘোষণার পরই বহু গ্রাহক রিলায়েন্স জিও থেকে মুখ ঘুরিয়ে চলে যায় এয়ারটেল, ভোডাফোন অথবা আইডিয়ার মত নেটওয়ার্কে। কিন্তু পরে আবার নভেম্বর মাসে খবর আসে এবার এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়ার মত সমস্ত সংস্থাই ১লা ডিসেম্বর থেকে বাড়াতে চলেছে মোবাইলের খরচ।

সর্বভারতীয় নানান সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, ১লা ডিসেম্বর থেকে এয়ারটেল, ভোডাফোন ও আইডিয়া তাদের ট্যারিফ রেট পরিবর্তন করতে চলেছে। এই পরিবর্তনে বাড়তে চলেছে ট্যারিফের দাম। তবে কিভাবে বা কত ট্যারিফের দাম বাড়ানো হবে তা নিয়ে কোথাও পরিষ্কার ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

তবে ১লা ডিসেম্বরের দুদিন আগেই এয়ারটেল গ্রাহকদের জন্য সুখবর। সংস্থার সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ১ লা ডিসেম্বর থেকে তাদের কোনো প্রকার ট্যারিফের পরিবর্তন করা হচ্ছে না। এয়ারটেল আনলিমিটেড পরিষেবা দিবে আগের মত ট্যারিফ প্ল্যানেই। যদিও এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। এছাড়াও কতদিন তারা ট্যারিফ রেট অপরিবর্তিত রেখে গ্রাহকদের পরিষেবা দিয়ে যাবে তাও স্পষ্ট করে জানায় নি।

SBI গ্রাহকদের জন্য সুখবর, ATM কার্ড হারালে ঘুরতে হবে না হন্যে হয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের সবথেকে বড় ব্যাঙ্ক এসবিআই তাদের গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এলো এক দুর্দান্ত পরিষেবা। আর এই পরিষেবা দেশের কোটি কোটি গ্রাহকদের কাছে বড়ই সুখবর। এই পরিষেবার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক গ্রাহকরা এবার তাদের মোবাইলেই এটিএম এবং ডেবিট কার্ড সম্পর্কিত সমস্ত পরিষেবা অতি সহজেই গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা, যেগুলির জন্য গ্রাহকদের আর হন্যে হয়ে এখান থেকে ওখানে ঘুরতে হবে না।

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া গ্রাহকদের সুবিধার জন্য নিয়ে এসেছে একটি মোবাইল অ্যাপ, যার নাম ‘YONO LITE SBI’ ও ‘YONO SBI’. এই দুটি অ্যাপের পরিষেবা একই রকম। স্মার্টফোনের ধারণক্ষমতা হিসেবে গ্রাহকরা যেকোন একটি ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপে আপনি ব্যাঙ্কিং সমস্ত রকম পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন নিমেষে। এমনকি এটিএম ডেবিট কার্ড হারিয়ে গেলেও কোথাও ফোন অথবা ব্যাঙ্কে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এখান থেকেই ব্লক এবং নতুন কার্ডের অনুরোধ জানাতে পারবেন।

এছাড়াও এই অ্যাপে আপনি অতি সহজে কোনরকম কাগজ ছাড়াই লোন, ইন্সুরেন্স পেতে পারেন মাত্র এক ক্লিকেই। অবশ্য সেগুলোর ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাঙ্ক থেকে অফার পেতে হবে।

এসবিআই ক্রেডিট কার্ড নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যাঙ্কের তরফ থেকে আরও একটি অ্যাপ ‘SBI CARD’ লঞ্চ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি আপনার এসবিআই ক্রেডিট কার্ডের সমস্ত রকম পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

এই অ্যাপের মাধ্যমে পরিষেবা গ্রহণ করতে আপনাকে অবশ্যই ব্যাঙ্কের সাথে একটি মোবাইল নাম্বার রেজিস্টার করে রাখতে হবে। পরিষেবা গ্রহণের জন্য অ্যাপটি ইন্সটল করার পর আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, যে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আপনার কাছে যাবতীয় ওটিপি অথবা অন্যান্য তথ্য আসবে ব্যাঙ্কের সাথে রেজিস্টার থাকা মোবাইল নাম্বারেই। এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যবহার আরও বেশি সুরক্ষিত বলে জানিয়েছেন ব্যাঙ্কের পদস্থ কর্মচারীরা।

নতুন mAadhar অ্যাপের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদন : আধার কার্ড বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসাবে পরিগণিত। শুধু নথি নয়, এই আধার কার্ড জায়গা নিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্রের। এছাড়াও ভর্তুকি বা সামাজিক সুবিধা পেতে হলে তো আবার আধার কার্ড আবশ্যক। আধার সংযুক্তিকরণ না থাকলে গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তুকি, রেশনে ভর্তুকির পাওয়া যাবে না জানিয়েও দিয়ে কেন্দ্র। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সামাজিক সুবিধা রয়েছে যেখানে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক।

আধার কার্ডের বেশ কতকগুলি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে UIDAI নিয়ে এসেছে মোবাইল অ্যাপ। আর এখন এই অ্যাপেই করা যাবে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

UIDAI গ্রাহকদের সুবিধার জন্য আগেই mAadhaar নামে এই মোবাইল অ্যাপটি নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সেসময় এই অ্যাপ একেবারেই জনপ্রিয়তা পায়নি। কারন তাতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতো না, যার জন্যই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সেকারনেই সম্প্রতি UIDAI এই অ্যাপের পুরাতন ভার্সনটি সরিয়ে দিয়ে সেই জায়গায় নিয়ে এসেছে নতুন ভার্সন। আর এই নতুন ভার্সনে পাওয়া যাবে আধারের নানান পরিষেবা। দেখে নেওয়া যাক নতুন ভার্সনের এই অ্যাপের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা।

১) নতুন এই mAadhaar অ্যাপটি বহুভাষিক। মেনু, বোতাম লেবেল ও ফর্ম ইত্যাদি ১৩ টি ভাষাতে উপলব্ধ। ১২ টি ভারতীয় ভাষা ও ১ টি ইংরেজি। ১২টি ভারতীয় ভাষা হলো হিন্দি, উর্দু, তেলুগু, তামিল, মালায়ালাম, কান্নাডা, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, মারাঠি, ওড়িয়া, অসমিয়া এবং বাংলা।

২) এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যক্তিগত আধার পরিষেবাগুলি পেতে হলে আপনার নিজের আধার প্রোফাইল mAadhaar অ্যাপটিতে সংযুক্ত করতে হবে। তবে, আধার না থাকা কোনও বাসিন্দা তাদের স্মার্টফোনে অ্যাপটি ইনস্টল করতে পারবেন।

৩) এই অ্যাপ ব্যবহারকারীরা mAadhaar -এর মাধ্যমে বেশ কয়েকটি পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন। mAadhaar অ্যাপে প্রধান পরিষেবা হলো ‘ড্যাশবোর্ড’, ‘Request Status Services’, ও ‘My Aadhaar’-এর মতো পরিষেবাগুলি উপলভ্য করতে পারবেন।

৪) mAadhaar অ্যাপে গ্রাহকরা আধার কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন, রিপ্রিন্ট করতে পারবেন, ঠিকানা আপডেট করতে পারবেন, অফলাইনে ই কেওয়াইসি ডাউনলোড করতে পারবেন, কিউআর কোড স্ক্যান করতে পারবেন, আধার যাচাই করতে পারবেন, ইমেল যাচাই করতে পারবেন, ইউআইডি / ইআইডি পুনরুদ্ধার করতে পারবেন, ঠিকানা বৈধতা পত্রের জন্য অনুরোধ করতে পারবেন। গ্রাহকরা তাদের দেওয়া বিভিন্ন অনলাইন অনুরোধের বর্তমান পরিস্থিতি যাচাই করতে পারবেন।

৫) mAadhaar অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের আধার বা আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক লক বা আনলক করতে পারবেন।

৬) mAadhaar অ্যাপে ‘My Aadhaar’ বিভাগ ব্যক্তিগতকৃত বিভাগ, যেখানে আধার কার্ডধারীদের আধার পরিষেবাগুলি পেতে একবার আধার নাম্বার দিয়ে দেওয়ার পর নতুন করে আর আধার নম্বর প্রবেশ করতে হবে না।

৭) mAadhaar অ্যাপে মাল্টি প্রোফাইল পরিষেবা রয়েছে। যেখানের আধার গ্রাহকরা একই মোবাইল নম্বরে থাকা ৩ টি পর্যন্ত প্রোফাইল সংযুক্ত করতে পারবেন।

৮) mAadhaar অ্যাপ ব্যবহারকারীরা নিকটতম এনরোলমেন্ট সেন্টার খুঁজে পেতে পারেন সহজেই।

৯) ব্যবহারকারীদের অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে যে mAadhaar অফলাইনে কাজ করে না। ইউআইডিএআই থেকে ডেটা ডাউনলোড করার জন্য ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হওয়া দরকার।

১০) mAadhaar অ্যাপের একটি মূল বৈশিষ্ট্য হল, এটি আধার কার্ড ব্যবহারকারীদের নিরাপদ এবং কাগজবিহীন।

বছরের শেষেই সূর্যগ্রহণ, ভারতের কোন কোন জায়গায় দেখতে পাবেন?

নিজস্ব প্রতিবেদন : এ বছরের একেবারে শেষপ্রান্তে গোটা ভারতবর্ষে দেখতে পাবে সূর্য গ্রহণ। আগামী ২৬ শে ডিসেম্বর এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ভারতজুড়ে। এই অসামান্য মহাকাশীয় ঘটনাটি ভারত থেকে দেখতে পাওয়া যাবে বলে উৎসাহীদের জন্য সুখবর। এছাড়াও সৌদি আরব, সুমাত্রা ও বোর্নিও থেকেও দেখা যাবে এই সূর্যগ্রহণ।

জানা গিয়েছে, এই সূর্যগ্রহণ পূর্ণগ্রাস নয়, এটি বলয়াকার। এই বলয়াকার সূর্যগ্রহণ ‘আগুনের বলয়’ বা ‘ আগুনের আংটি ‘ নামে অভিহিত। ভারতের কেরালার চেরুভাথুর থেকে এই সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে ভাল ভাবে দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভারতের অন্যান্য অংশ থেকেও এই গ্রহণ দেখা যাবে।

সূর্য কখন একটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় ঘটনা। চাঁদ যখন নিজের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে আসে, তখন পৃথিবীর উপর একটি চাঁদের ছায়া পড়ে। সূর্যগ্রহণ আংশিক বা পূর্ণগ্রহণ দু রকমেরই হয়।

১০০ টাকার নিচে BSNL-এর আকর্ষণীয় আনলিমিটেড ও রেট কাটার Recharge প্ল্যান

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় টেলিকম বাজারে টেলিকম সংস্থাগুলির মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিটি সংস্থায় গ্রাহকদের জন্য বাজারে নিয়ে এসেছে বেশ কতকগুলি আকর্ষণীয় রিচার্জ প্ল্যান। কিন্তু বর্তমানে সকলেই দিনের পর দিন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় তাদের প্ল্যানগুলির রেট বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে। আর ঠিক সেসময় বিএসএনএল তাদের গ্রাহকদের জন্য স্বল্পমূল্যে নিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি ট্যারিফ প্লান, যেগুলি রয়েছে ১০০ টাকার নিচেই। এই প্ল্যানগুলির বেশ কয়েকটিতে আপনি আনলিমিটেড কলের সাথে ডেটাও পাচ্ছেন। তা ছাড়াও রয়েছে কলরেট কমানোর প্ল্যান।

৯ টাকা : বিএসএনএলের মাত্র ৯ টাকায় রয়েছে দুটি আলাদা আলাদা প্ল্যান। একটি হলো ‘ছোটা রেট কাটার’, যেটিতে আপনি ৩০ দিনের জন্য বিএসএনএল থেকে বিএসএনএল ১৫ পয়সা এবং অন্যান্য মোবাইলে ৩৫ পয়সা রেটে কল করার সুযোগ পাবেন।

৯ টাকার দ্বিতীয় ভাউচারটি হলো ‘ফ্রিডম ছোটা ৯’, যেটিতে আপনি একদিনের জন্য আনলিমিটেড কলের সাথে ১০০ এমবি ইন্টারনেট ও ১০০ টি এসএমএসের সুবিধা পাবেন।

১৯ টাকা : এই ছোট রিচার্জে আপনি ৩০ দিনের জন্য যে কোন নেটওয়ার্কে ২০ পয়সা করে কল করার সুযোগ পাবেন। উল্লেখ্য এই রিচার্জটিতে অনেক সার্কেলে ৯০ দিন পর্যন্ত ভ্যালিডিটি দিচ্ছে।

২২ টাকা : ২২ টাকার রিচার্জে আপনি ৯০ দিনের জন্য যে কোন নেটওয়ার্কে ৩০ পয়সা করে কল করার সুযোগ পাবেন।

২৯ টাকা : ২৯ টাকার রিচার্জে আপনি ৭ দিনের জন্য আনলিমিটেড কলের সুবিধা পাচ্ছেন, পাশাপাশি পারছেন ১ জিবি ইন্টারনেট ও ১০০ টি এসএমএস।

৪৭ টাকা : ৪৭ টাকায় আপনি ৯ দিনের জন্য আনলিমিটেড কলের সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি পাবেন ১ জিবি ইন্টারনেট।

৬১ টাকা : বিএসএনএলের ৬১ টাকার প্ল্যানে আনলিমিটেড ভয়েস কলিংয়ের সাথে ২ জিবি ডেটা দেয়। এছাড়াও এই প্ল্যানে মোট ৫০০ এসএমএস পাওয়া যায়। প্ল্যানটির ভ্যালিডিটি ১৫ দিন।

৮৯ টাকা : ৮৯ টাকার প্ল্যানেরও ভ্যালিডিটি ১৫ দিন। তবে এখানে মোট ১০ জিবি ইন্টারনেট ডেটা দেওয়া হবে। এর সাথে আনলিমিটেড ভয়েস কল ও ৫০০ এসএমএসের সুবিধা আছে।

৯৮ টাকা : এই রিচার্জে আপনি পাবেন ২৪ দিনের ভ্যালিডিটি, যাতে রয়েছে প্রতিদিন ২ জিবি করে ইন্টারনেটের সুবিধা।

৯৯ টাকা : বিএসএনএলের এই প্ল্যানের ভ্যালিডিটি ২৪ দিন। যদিও অন্যান্য প্ল্যানের মতো এখানে ডেটা ও এসএমএসের সুবিধা পাওয়া যাবে না। তবে আনলিমিটেড ভয়েস কলিংয়ের সুবিধার পাশাপাশি কলারটোনের ফায়দা ওঠানো যাবে।

Online-এ রেল টিকিট বুকিং আরও সহজ করলো IRCTC

নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে এসেছে বেশ কিছু বদল। যার ফলে ট্রেনের টিকিট বুকিং করা আরও সহজ হয়ে পড়েছে। অনলাইনে এবার থেকে কোনরকম দুর্ভোগ ছাড়াই বুকিং করা যাবে রেল টিকিট।

আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটের নতুন যে বদল নিয়ে আসা হয়েছে তাতে করে ওয়েবসাইটের গোড়াতেই ট্রেন টিকিট সার্চ বলে একটি অপশন পাওয়া যাবে। আর এর ফলে এখন থেকে লগইন না করেও নির্দিষ্ট রুটের ট্রেনের টিকিট খুঁজে নেওয়া যাবে।

নতুন পদ্ধতিতে অনলাইনে টিকিট বুকিং করার জন্য irctc.co.in ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরে ‘Book Your Ticket’ -এ ক্লিক করে আপনার কোথায় থেকে কোথায় গন্তব্য জানিয়ে ট্রেন খুঁজে নিতে পারবেন। তারপর টিকিট বুকিং করার জন্য লগইন করতে পারেন।

এমনকি পিএনআর স্ট্যাটাস চেক করার জন্য লগইন করার কোন দরকার নেই। Book your ticket’ বক্সের নিচে নির্দিষ্ট জায়গায় পিএনআর নাম্বার লিখে সাবমিট করার পর জানতে পারবেন স্ট্যাটাস।

আইআরসিটিসির নতুন ওয়েবসাইট ডিজাইনে লগইন ছাড়াই ট্রেন খোঁজার পাশাপাশি ট্রেনের আসন সংখ্যা সম্পর্কেও জানতে পারবেন। এমনকি বিকল্প ট্রেনের সাজেশনও দেবে এই নতুন ডিজাইনের ওয়েবসাইটটি। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট রুটে অন্য কোন ট্রেনে কত সংরক্ষিত আসন রয়েছে তাও জানিয়ে দেবে।

দাম বাড়ার আগে Jio, Airtel, Vodafone গ্রাহকরা এই প্ল্যানগুলি রিচার্জ করে লাভ ওঠান

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় বাজারে দিনের পর দিন লোকসানের সম্মুখীন টেলিকম সংস্থাগুলি। আর এই লোকসান থেকে বাঁচতে সিদ্ধান্ত একজোটে ট্যারিফ প্ল্যান বাড়ানোর। টেলিকম সংস্থাগুলির নতুন এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়তে চলছে গ্রাহক। এসপ্তাহেই জিও, ভোডাফোন আইডিয়া ও এয়ারটেল একজোটে ঘোষণা করে ১লা ডিসেম্বর থেকে তাদের প্ল্যানের দাম বাড়ানো হবে। সবার প্রথম এই ঘোষণা করে ভোডাফোন আইডিয়া। এরপর একে একে এয়ারটেল, জিও আর সবার শেষে বিএসএনএলও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে গ্রাহকদের পকেট থেকে আলাদা করে টাকা খসবে তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত, ভারতে অন্যান্য উন্নত দেশগুলির তুলনায় মোবাইল খরচ অনেক কম। কিন্তু কত বাড়তে পারে মাশুল! যদিও এবিষয়ে সঠিকভাবে কোনো সংস্থাই এখনো পর্যন্ত কিছু জানায়নি। তবে দাম বাড়ার আগে বেশকিছু প্ল্যান রয়েছে প্রতিটি সংস্থাতেই, যেগুলি রিচার্জ করলে গ্রাহকরা লাভে থাকবেন।

এয়ারটেল –

  • ৩৯৯ টাকা : প্রতিদিন ১.৪ জিবি ইন্টারনেট, বৈধতা ৮৪ দিন।
  • ৪৪৮ টাকা : প্রতিদিন ১.৫ জিবি ইন্টারনেট, বৈধতা ৮২ দিন।
  • ৯৯৮ টাকা : বৈধতা ৩৩৬ দিন। সাথে মোট ১২ জিবি ইন্টারনেট।
  • ১৬৯৯ টাকা : প্রতিদিন ১.৪ জিবি ইন্টারনেট। বৈধতা ৩৬৫ দিন।
  • প্রতিটি প্ল্যানের সাথে রয়েছে আনলিমিটেড কলের সুবিধা।

ভোডাফোন –

  • ৩৯৯ টাকা : প্রতিদিন ১ জিবি ইন্টারনেট, বৈধতা ৮৪ দিন।
  • ৪৫৮ টাকা : ১.৫ জিবি ইন্টারনেট প্রতিদিন। বৈধতা ৮৪ দিন।
  • ৫০৯ টাকা : ১.৫ জিবি ইন্টারনেট প্রতিদিন। বৈধতা ৯০ দিন।
  • ১৬৯৯ টাকা : ১ জিবি ইন্টারনেট প্রতিদিন। বৈধতা ৩৬৫ দিন।
  • প্রতিটি প্ল্যানের সাথে রয়েছে আনলিমিটেড কলেজ সুবিধা।

ভয়েস কল

  • ১২৯ টাকা : আনলিমিটেড কলের সাথে মাসে ২ জিবি ইন্টারনেট। বৈধতা ২৮ দিন।
  • ৫৯৯ টাকা : আনলিমিটেড কলের বৈধতা ১৮০ দিন। সাথে পাবেন ৬ জিবি ইন্টারনেট।
  • ৯৯৯ টাকা : আনলিমিটেড কলের বৈধতা ৩৬৫ দিন। সাথে পাবেন ১২ জিবি ইন্টারনেট।

জিও –

  • ১৬৯৯ টাকা : ১.৫ জিবি ইন্টারনেট প্রতিদিন, জিও থেকে জিও আনলিমিটেড কল, বৈধতা ৩৬৫ দিন।
  • ৫৫৫ টাকা : ২ জিবি ইন্টারনেট প্রতিদিন, জিও থেকে জিও আনলিমিটেড কল, অন্যান্য মোবাইলে ৩০০০ মিনিট, বৈধতা তিন মাস।
  • ৪৪৪ টাকা : ২ জিবি ইন্টারনেট প্রতিদিন, জিও থেকে জিও আনলিমিটেড কল, অন্যান্য মোবাইলে ১০০০ মিনিট, বৈধতা তিন মাস।

Jio, Vodafone, Airtel, BSNL গ্রাহকদের কত বাড়তে পারে মোবাইল খরচ!

নিজস্ব প্রতিবেদন : অক্টোবর মাসে ভারতের সবথেকে বড় ৪জি সংস্থা রিলায়েন্স জিও লাগু করেছিল অন্য নেটওয়ার্কে কল করার জন্য প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা। অন্য নেটওয়ার্কে আলাদা করে কল চার্জ ঘোষণার পরই বহু গ্রাহক রিলায়েন্স জিও থেকে মুখ ঘুরিয়ে চলে যায় এয়ারটেল, ভোডাফোন অথবা আইডিয়ার মত নেটওয়ার্কে। কিন্তু তাতে কি সমস্যার সমাধান হয়েছে! উত্তর না।

ভারতীয় বাজারে দিনের পর দিন লোকসানে চলছে টেলিকম সংস্থাগুলি। আর এই লোকসান থেকে বাঁচতে সিদ্ধান্ত একজোটে ট্যারিফ প্ল্যান বাড়ানোর। টেলিকম সংস্থাগুলির নতুন এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়তে চলছে গ্রাহক। এসপ্তাহেই জিও, ভোডাফোন আইডিয়া ও এয়ারটেল একজোটে ঘোষণা করে ১লা ডিসেম্বর থেকে তাদের প্ল্যানের দাম বাড়ানো হবে। সবার প্রথম এই ঘোষণা করে ভোডাফোন আইডিয়া। এরপর একে একে এয়ারটেল, জিও আর সবার শেষে বিএসএনএলও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে গ্রাহকদের পকেট থেকে আলাদা করে টাকা খসবে তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত, ভারতে অন্যান্য উন্নত দেশগুলির তুলনায় মোবাইল খরচ অনেক কম। কিন্তু কত বাড়তে পারে মাশুল! যদিও এবিষয়ে সঠিকভাবে কোনো সংস্থাই এখনো পর্যন্ত কিছু জানায়নি ঠিক কতটা বাড়ানো হবে প্ল্যানের দাম।

তবে সম্প্রতি সর্বভারতীয় একটি টেলিকম সংক্রান্ত সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া আগামী মাস থেকে তাদের ট্যারিফের মূল্য ৩০% বাড়াতে পারে। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, কোম্পানিগুলো কোনো মতেই আর লোকসানে ব্যবসা করতে রাজি নয়। সেকারণে গ্রাহক পিছু গড় আয় বাড়াতে প্ল্যানের মূল্য সর্বোচ্চ যত পরিমান বাড়ানো যায় তার চেষ্টা করা হবে।

আবার অন্য একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, রিলায়েন্স জিও-র উপর নির্ভর করছে এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়া ট্যারিফ প্যাক কত টাকা বাড়াবে। কিছুদিন আগে আইইউসি-র জন্য প্রায় ১৫ শতাংশ খরচ বাড়িয়েছে। এবার যদি তারা আবার ১৫ শতাংশ খরচ বাড়ায় তাহলে বাকি দুই সংস্থাও প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত খরচা বাড়াতে পারবে। সূত্রের খবর, ১লা ডিসেম্বর থেকে জিও প্রায় ১৫ শতাংশ বা তার বেশি বাড়াতে পারে তাদের মাসুল।

কিন্তু কেন বাড়ানো হচ্ছে এই মাসুল! শুধুই লাভের মুখ দেখার জন্য! না অন্য কিছু?

গত কয়েক বছরে টেলিকম সংস্থাগুলির লোকসান বাড়ায় একপ্রকার ভারতীয় টেলিকম সেক্টর অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছিলো। ভোডাফোন ভারতে ব্যবসা বন্ধ করতে পারে গুঞ্জন ছড়িয়েছিলো। শুধু গুঞ্জন নয়, এ নিয়ে মুখ খোলেন স্বয়ং ভোডাফোন সিও নিক রিড। টেলিকম সংস্থাটির চিফ এগ্‌জ়িকিউটিভ নিক রিড জানান, ভারতে দীর্ঘ দিন ধরে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে তাঁদের ব্যবসা। তাঁর কথা অনুযায়ী, “নিয়মে অসহযোগিতা, চড়া কর এবং সর্বোপরি সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। ফলে বিপুল আর্থিক বোঝা চাপছে।”

এরপরে সরকারের তরফে ট্রাইকে জানানো হয়েছিল সংস্থাগুলিকে লাভের মুখ দেখাতে আনলিমিটেড কল ও ডেটা পরিষেবা বন্ধ করতে। যার পরেই ভোডাফোন, এয়ারটেল এই সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে জিও আইইউসি চার্জ চালু করায় এমনিতেই তাদের ট্যারিফের মূল্য ১৫ শতাংশ বেড়েছে। ফলে জিও আর বেশি মূল্য বাড়াবে না বলেই মনে হয়। তবে ভোডাফোন ও এয়ারটেল ট্যারিফ মূল্য ৩০ শতাংশ দাম বাড়াতে পারে বলে খবর। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে ভারতীয় টেলিকম সেক্টরকে বাঁচানোর জন্য প্রতিটি টেলিকম সংস্থাকে দুবছর সময় দেওয়া হয় বকেয়া মেটানোর জন্য।

Jio গ্রাহকদের খারাপ খবর, খরচ বাড়ানোর কথা জানালো মুকেশ ‌আম্বানির সংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদন : অক্টোবর মাসে ভারতের সবথেকে বড় ৪জি সংস্থা রিলায়েন্স জিও লাগু করেছিল অন্য নেটওয়ার্কে কল করার জন্য প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা। অন্য নেটওয়ার্কে আলাদা করে কল চার্জ ঘোষণার পরই বহু গ্রাহক রিলায়েন্স জিও থেকে মুখ ঘুরিয়ে চলে যায় এয়ারটেল, ভোডাফোন অথবা আইডিয়ার মত নেটওয়ার্কে। তবে সোমবার এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়, আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে তাদের ট্যারিফ রেট বাড়ানো হবে।

খবর অনুযায়ী, আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে এয়ারটেল, ভোডাফোন ও আইডিয়া তাদের ট্যারিফ রেট পরিবর্তন করতে চলেছে। এই পরিবর্তনে বাড়তে চলেছে ট্যারিফের দাম। তবে কিভাবে বা কত ট্র্যারিফের দাম বাড়ানো হবে তা নিয়ে এখনো পরিষ্কার ভাবে কিছু জানা যায়নি।

আর মঙ্গলবার মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিওও জানিয়ে দিলো মোবাইল থেকে ফোন কল এবং ডেটা ব্যবহারের খরচ বাড়ানো হবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। জিও-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “অন্যান্য অপারেটরদের মত আমরাও সরকারের সঙ্গেই কাজ করি এবং ভারতীয় গ্রাহকদের সুবিধার্থে নিয়ন্ত্রকের নিয়মাবলী মেনে চলি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আগামী কয়েক সপ্তাহে শুল্ক বাড়ানো, এমনভাবে তা করা হবে, যাতে ডেটা ব্যবহারে খারাপ প্রভাব না পড়ে।”

প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে ভোডাফোনের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল ভারতে তাদের ব্যবসা করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছে দিনের পর দিন। টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সংস্থার সিইও নিক রিড জানিয়েছিলেন, ভারতে তাদের ব্যবসার ভবিষ্যত অনিশ্চিত৷ তার জন্য বিশেষ কোনও সংস্থা দায়ী নয়৷ সমস্যাটা হচ্ছে চড়া কর, কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা ও বকেয়া লাইসেন্স নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়৷ চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক রিপোর্ট অনুযায়ী এই সংস্থার ৫০,০০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির সম্মুখিন। শুধু ভোডাফোন আইডিয়ার ক্ষেত্রেই নয়, একই পরিস্থিতি এয়ারটেলেরও। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৪,৮৭৪ কোটি টাকা লোকসানের মুখ দেখেছিল ভারতের এই জনপ্রিয় টেলিকম সংস্থাটি আর চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২৩,০৪৫ কোটি টাকা লোকসানের মুখ দেখেছে ভারতী এয়ারটেল।

১ লা ডিসেম্বর থেকে Vodafone, Idea, Airtel গ্রাহকদের বাড়তে চলেছে মোবাইলের খরচ

নিজস্ব প্রতিবেদন : অক্টোবর মাসে ভারতের সবথেকে বড় ৪জি সংস্থা রিলায়েন্স জিও লাগু করেছিল অন্য নেটওয়ার্কে কল করার জন্য প্রতি মিনিটে ৬ পয়সা। অন্য নেটওয়ার্কে আলাদা করে কল চার্জ ঘোষণার পরই বহু গ্রাহক রিলায়েন্স জিও থেকে মুখ ঘুরিয়ে চলে যায় এয়ারটেল, ভোডাফোন অথবা আইডিয়ার মত নেটওয়ার্কে। কিন্তু এবার এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়ার সমস্ত গ্রাহকদের জন্য শোনা গেল খারাপ খবর। আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকেই নাকি বাড়তে চলেছে এই সমস্ত মোবাইল গ্রাহকদের মোবাইলের খরচ।

সর্বভারতীয় নানান সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে এয়ারটেল, ভোডাফোন ও আইডিয়া তাদের ট্যারিফ রেট পরিবর্তন করতে চলেছে। এই পরিবর্তনে বাড়তে চলেছে ট্যারিফের দাম। তবে কিভাবে বা কত ট্র্যারিফের দাম বাড়ানো হবে তা নিয়ে এখনো পরিষ্কার ভাবে কিছু জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই ভোডাফোনের তরফ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল ভারতে তাদের ব্যবসা করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ছে দিনের পর দিন। টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সংস্থার সিইও নিক রিড জানিয়েছিলেন, ভারতে তাদের ব্যবসার ভবিষ্যত অনিশ্চিত৷ তার জন্য বিশেষ কোনও সংস্থা দায়ী নয়৷ সমস্যাটা হচ্ছে চড়া কর, কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা ও বকেয়া লাইসেন্স নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়৷

ভোডাফোন সংস্থার তরফ থেকে জানা যায় ভারতে ব্যবসা করে দিনের পর দিন তাদের ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক রিপোর্ট অনুযায়ী এই সংস্থার প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখিন। আর এই ক্ষতি এযাবৎ সর্ববৃহৎ। শুধু ভোডাফোন আইডিয়ার ক্ষেত্রেই নয়, একই পরিস্থিতি এয়ারটেলেরও। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৪,৮৭৪ কোটি টাকা লোকসানের মুখ দেখেছিল ভারতের এই জনপ্রিয় টেলিকম সংস্থাটি আর চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২৩,০৪৫ কোটি টাকা লোকসানের মুখ দেখেছে ভারতী এয়ারটেল।

Aadhaar Card-এ মোবাইল নম্বর যোগ নেই! হারিয়ে গেছে! কার্ড পেয়ে যান এইভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদন : আধার কার্ড বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকদের কাছে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসাবে পরিগণিত। বেশ কয়েকটি পরিষেবা রয়েছে যেখানে আধার সংযুক্তিকরণ না থাকলে সামাজিক সুবিধা পাওয়া যায় না। যেমন গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তুকি, রেশনে ভর্তুকির ক্ষেত্রে আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। কিন্তু সমস্যা হলো দীর্ঘদিন আধার কার্ড বাক্সবন্দি থাকার ফলে কাজের সময় সেটি খুঁজে পাওয়া যায় না। অথবা কোথাও নিয়ে যাওয়ার পথে হয়তো হারিয়ে গেছে। তাহলে কি করবেন?

আধার কার্ড পুনরায় পাওয়ার জন্য UIDAI অনেকদিন থেকেই আধারের পুনরায় আবেদনের অপশন রেখেছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছিল আধারের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত থাকা, তবেই রিপ্রিন্ট হতো। কিন্তু সেই নিয়মের এবার শিথিলতা আনলো কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্তি না থাকলেও রিপ্রিন্ট করা যাবে আধার কার্ড। আর এই রিপ্রিন্টের জন্য খরচ হবে মাত্র ৫০ টাকা।

আধারের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত না থাকা সত্ত্বেও আধার রিপ্রিন্ট করার জন্য আপনাকে যেতে হবে আধারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট https://uidai.gov.in/ এ। সেখানে Get Aadhaar নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন, সেখানে আরও একটি অপশন রয়েছে Aadhaar Reprint অথবা ক্লিক করুন এই লিঙ্কে https://resident.uidai.gov.in/order-reprint .

এখানে আপনাকে বিধি সম্মতিকরণ সমস্ত কিছু জানানো হবে পাশাপাশি আধার রিপ্রিন্ট করার জন্য আপনাকে দিতে হবে আপনার আধার নাম্বারটি। আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত থাকলে ক্যাপচা দেওয়ার পর Send OTP করে দিন। তাতে আপনার আধারের সাথে রেজিস্টার থাকা মোবাইল নাম্বারে একটি OTP আসবে। সেটি নির্দিষ্ট জায়গায় দিতে হবে। আর যদি আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত না থাকে তাহলে ‘My Mobile number is not registered’ এর পাশে টিক দিয়ে দিন। টিক দেওয়ার সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন একটি মোবাইল নাম্বার দেওয়ার জায়গা। সেখানে আপনার যে কোন একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে Send OTP অপশনে ক্লিক করুন। আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বারে OTP চলে আসবে।তারপর সেই OTP নির্দিষ্ট জায়গায় দিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে পৌঁছে যান। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এখানে আপনি আধার নাম্বার না দিয়ে ভার্চুয়াল আইডি অথবা ইআইডি দিতে পারেন।

পরবর্তী পর্যায়ে আপনাকে অনলাইন পেমেন্ট করতে হবে, যে অনলাইন পেমেন্ট আপনি করতে পারবেন ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, নেট ব্যাঙ্কিং অথবা ইউপিআইয়ের মাধ্যমে। পেমেন্ট সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর দিন কয়েকের মধ্যেই আপনার বাড়িতে নতুন আধার কার্ড পৌঁছে যাবে।

অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের তলায় ঠিক কি রয়েছে? কি বলছে প্রত্নতত্ত্ববিদদের রিপোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ কয়েক দশকের অযোধ্যার বিতর্কিত মামলার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার প্রায় আধ ঘন্টা ধরে দু’পক্ষের সওয়াল ও দাবির প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেন, অযোধ্যায় বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির মালিকানা আপাতত যাবে সরকারের হাতে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট বা অছি পরিষদ গঠন করে সেই জমির মালিকানা তাদের হাতে তুলে দেবে। সেই সঙ্গেই অযোধ্যায় বিতর্কিত জমির থেকে দূরে মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি দিতে হবে সরকারকে।

ঐতিহাসিক রায় দেওয়ার আগে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আদালতের পর্যবেক্ষণে। ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বাবরি মসজিদের নিচে রয়েছে ধ্বংসাবশেষ। কিন্তু সেই ধ্বংসাবশেষ মন্দির কিনা তার প্রমাণ নেই। আবার খননকার্যে পাওয়া স্থাপত্যের সাথে ইসলামেরও কোন সম্পর্ক নেই।

রিপোর্ট অনুযায়ী সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছে কোনো ফাঁকা জায়গায় তৈরি হয়নি বাবরের আমলের মসজিদ। কিন্তু সেখানে কোন মন্দির ছিল কিনা তা নিয়েও নিশ্চিত নয় আদালত। ২০০৩ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই খননকার্য শুরু করে। কিন্তু তার আগেও ওই অঞ্চলে খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল। ১৮৬২ বা ৬৩ সাল থেকেই অযোধ্যা চত্বরে প্রত্নতাত্মিক নিদর্শনের খোঁজ শুরু হয়। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার কানিংহাম প্রথম অনুসন্ধান চালিয়েছিলেন। এরপরও ১৮৮৯ থেকে ১৮৯১, ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সালেও চলে খননকার্য।

১৯৭৫ থেকে ১৯৭৬ সালে বিবি লালের নেতৃত্বে বিতর্কিত ওই জায়গায় খননকার্য চলে। তাঁরা দাবি করেন, বেশ কিছু স্থাপত্যের নিদর্শন পেয়েছেন তাঁরা, যার আকার বাবরি মসজিদের থেকেও বিশাল। তাঁদের সন্ধানেই প্রথম উঠে আসে বেশকিছু স্তম্ভ। যা পরে আবার ১৯৯২ সালে ওয়াই.ডি. শর্মা ও কে.এম. শ্রীবাস্তবের অনুসন্ধানে উঠে আসে মন্দিরের মতো স্থাপত্যের বিষয়টি।

এএসআই গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার বা জিপিআর আদালতের নির্দেশে ২০০৩ সালে সমীক্ষা চালায়। সেই খনন কার্যে মিলেছিল খ্রীষ্টপূর্বাব্দ ১৩ শতকের নিদর্শন। পাশাপাশি পাওয়া যায় কুষাণ ও শাং আমল থেকে গুপ্ত যুগের বেশ কিছু নিদর্শন। পাওয়া গিয়েছিল ১৫ বাই ১৫ ফুটের একটি মঞ্চ। যার উপর ছিল ছিল বেশ কিছু পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন। এএসআই হদিশ পায় মন্দিরের আদলের স্থাপত্যের। এই স্থাপত্য সপ্তম থেকে দশম শতাব্দীর আমলের বলে অনুমান।

আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এই স্থাপত্যের ওপরেই ১৬ শতকে তৈরি করা হয় বাবরি মসজিদ। তারা মসজিদের নীচে কমকরে ৫০টি স্তম্ভের খোঁজ পায়। তবে ধ্বংসাবশেষ সম্ভাব্য বৌদ্ধ ও জৈন মন্দিরের। ঐস্থানে পাওয়া গিয়েছিল একই বয়সকালের তিন রকমের দেওয়ালের হদিশ। যার মধ্যে বেশ কিছু জিনিস গৌতম বুদ্ধের জন্মেরও ৪০০ বছর পূর্বের। পদ্ম ও ময়ুর, হাতি, ঘোড়া, কুমিরের মূর্তি দেওয়ালে খোদাই ছিল। পাওয়া গিয়েছিল যজ্ঞ কুণ্ডের মতো জায়গাও।

যদিও সুপ্রিম কোর্ট এই সকল রিপোর্টকে সরাসরি মন্দির বলতে নারাজ। কিন্তু এই সকল নিদর্শন হিন্দু স্থাপত্যের দিকেই ইঙ্গিত করে। এএসআইয়ের এই সকল রিপোর্টকে বিকৃত করার অভিযোগ অনেকেই তুলেন। তবে শেষমেষ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেই সকল রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে সমস্ত অভিযোগ ও প্রশ্নের অবসান ঘটলো।

অনলাইনেও করা যাবে ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন, ৩০ দিনেই হাতে পাবেন কার্ড ; খাদ্য দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধু দারিদ্র্যসীমার নিচে নয়, দারিদ্র সীমার উপরের পরিবাররাও রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন, ঘোষনা রাজ্য সরকারের। পরিবর্তে দারিদ্র সীমার উপরে বসবাসকারীদের সরকারি পরিচয় পত্র হিসাবে ভর্তুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত এই রেশন কার্ডের আবেদনের দরজা খুলে যাচ্ছে আগামী ৫ই নভেম্বর থেকে।

খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৫ নভেম্বর থেকে দারিদ্র সীমার উপরের পরিবারদের জন্য ভর্তুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। আবেদন করার জন্য সংশ্লিষ্ট রেশন দোকান অথবা খাদ্য দপ্তরের অফিস থেকে ১০ নাম্বার ফর্ম সংগ্রহ করে সেই ফর্ম পূরণ করে বিডিও অফিস, পৌরসভা, কর্পোরেশনের বোরো অফিসে আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে।। পাশাপাশি এই বিশেষ ক্যাম্পে ৩ ও ৯ নম্বর ফর্মও জমা করা যাবে। এছাড়াও ভর্তুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন করা যাবে অনলাইনে।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তরের ইতিহাসে এই প্রথম অনলাইনে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন গ্রহণের পথ খুলে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনলাইনে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার জন্য গ্রাহককে খাদ্য দপ্তরের ওয়েবসাইট www.wbpds.gov.in -এ লগইন করতে হবে। সেখান থেকে ১০ নম্বর ফর্মটি ডাউনলোড করে সেটি পূরণ করে হাতে হাতে জমা দেওয়া যেতে পারে।

হাতে হাতে জমা দেওয়া ছাড়াও পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করার সুযোগও থাকছে। সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার বা মোবাইলে ফর্মটি পূরণ করে পরিচয় পত্রের প্রমান হিসাবে আধার কার্ডের ছবি আপলোড করতে হবে। আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে ডাকের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে যাবে ঝাঁ-চকচকে একটি ডিজিটাল রেশন কার্ড।

নতুন ডিজিটাল কার্ড হাতে পৌঁছে যাওয়ার পর পুরাতন রেশন কার্ডটি বাতিল হয়ে যাবে। নতুন স্মার্ট রেশন কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকরা ভর্তুকিহীন জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। এমনকি এই কার্ডের মাধ্যমে বেসরকারী বিপণন কেন্দ্র থেকেও যাতে গ্রাহকরা ছাড় পান সে বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।

রাজ্য সরকারের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, “আবেদনপত্র জমা পড়ার ৩০ দিনের মধ্যে ডিজিটাল রেশন কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন বিত্তশালী মানুষজন। এই কার্ডে নাম, ঠিকানা ছাড়াও জন্ম তারিখও উল্লেখ থাকবে। রাজ্য মনে করছে রেশন কার্ডকে এখন দু’টি ভাবে দেখা উচিত। যাঁরা গণবণ্টন ব‌্যবস্থার সুযোগ পেতে চান তাঁদের জন্য রেশন কার্ডের প্রয়োজন একটি কারণে। আর যাঁরা পরিচয়পত্র হিসেবে রেশন কার্ডকে ব্যবহার করতে চান তাঁদের প্রয়োজন এক ধরনের।”

Paytm-এর লাকি ড্রয়ের নামে সর্বস্বান্ত দম্পতি, খোয়ালেন দেড় লক্ষাধিক টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যাঙ্কিং প্রতারণার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। নিজেদের অসাবধানতা এবং অসচেতনতাবসত বারংবারই টাকা খাওয়ানোর খবর সংবাদের শিরোনামে। আর এবারও একই ভাবে এক দম্পতি খোয়ালেন দেড় লক্ষাধিক টাকা।

Paytm এর লাকি ড্রয়ের নামে প্রতারিত ওই দম্পতি। প্রতারিত ওই দম্পতি দত্তপুকুর থানা অন্তর্গত দত্তপুকুরের বাসিন্দা। তাদের অভিযোগ পেটিএমের লাকি ড্রয়ের নামে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১,৬৭,৬০০ টাকা গায়েব করে নেওয়া হয়েছে। টাকা গায়েব করার জন্য মোট পাঁচটি ট্রানজেকশন করা হয়েছে।

সর্বস্বান্ত ওই দম্পতির অভিযোগ, পেটিএমের আইডি থেকে এ মাসের ১৬ তারিখ একটি মেসেজ আসে। যে মেসেজে বলা হয় পেটিএম লাকি ড্র’তে তারা একটি টাটা সাফারি গাড়ি জিতেছেন। তারপর সেদিন সকাল দশটা নাগাদ সৌরভ হালদারের মোবাইলে ফোন আসে আর বলা হয় গাড়িতে না চাইলে ১২,৭৬,০০ টাকা নগদ পাবেন তারা। নগদ টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং আইএফএসসি কোড জানাতে হবে।

এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং আইএফএসসি কোড দেওয়ার পরই ওই হালদার দম্পতির অভিযোগ তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ১,৬৭,৬০০ টাকা। মোট পাঁচবারে সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়। নিরুপায় ওই দম্পতি প্রথমে পেটিএম কাস্টমার কেয়ারে ফোন লাগান, কিন্তু সেখান থেকে কোনো সদুত্তর না মেলায় দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ করেন। এরপর পুলিশ অভিযোগ নিয়ে তাদের বারাসাত সাইবার সেলে পাঠায়।

এই ঘটনার পর ব্যাঙ্ক প্রতারণা নিয়ে আরো বড়োসড়ো প্রশ্ন উঠেছে। কোনরকম ওটিপি অথবা কার্ড ডিটেলস না দেওয়া সত্ত্বেও কিভাবে অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও আইএফএসসি কোডের মাধ্যমেই এত বিপুলসংখ্যক টাকা উধাও করা সম্ভব হলো! প্রশ্ন উঠছে অ্যাকাউন্ট নাম্বার ও আইএফএসসি দেওয়া ছাড়াও অন্যকিছু তথ্য তারা প্রতারণাকারীদের সাথে শেয়ার করেন নি তো? এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বারাসাত সাইবার সেল।

সৌরভ হালদার এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। আর এইভাবে সর্বস্বান্ত হতে হবে স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি।

যদিও এরকম ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পেটিএম কাস্টমার কেয়ার থেকে অনেকবার গ্রাহকদের সতর্ক করা হয়েছে এরকম লাকি ড্রয়ের গল্প সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এগুলি করা হয় মানুষকে প্রতারিত করার জন্য।

ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক নয়, NRC র সাথেও কোনো সম্পর্ক নেই, ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদন : সেপ্টেম্বর মাস থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নির্ভুল তথ্যে ভোটার আইডি কার্ড করার উদ্দেশ্য হিসেবেই এই প্রক্রিয়াকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন ভোটাররা নিজেদের তথ্য যাচাই করা এবং সংশোধন করার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি ভোটার আইডি কার্ডের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু এই ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার সাথে অনেকেই এনআরসিকে মিশিয়ে ফেলে আতঙ্কে ভুগছেন। খাওয়া-দাওয়া ভুলে লাইন দিচ্ছেন সাইবার ক্যাফেতে। এমনিতেই প্রক্রিয়া নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে মোবাইলে ওটিপি না আসার জন্য। তারপরে পিছু ধাওয়া করছে এনআরসি আতঙ্ক।

এই ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশনের সাথে এনআরসিকে মিশিয়ে ফেলে যারা আতঙ্কে ভুগছেন তাদের জন্য খুশির খবর দিলেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। গত বুধবার তিনি কলকাতায় আসেন এই সমস্ত বিষয়ের হাল-হকিকত দেখার জন্য। এখানে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দফতরের কর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার জেলাশাসকদের সাথেও সম্মেলন করেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশনের বিষয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তার অবসান ঘটান তিনি।

তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া ভোটারদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। আর এটিকে নিয়ে আতঙ্কেরও কোন কারণ নেই। এমনকি এনআরসির সাথেও এর কোন সম্পর্ক নেই।”

পাশাপাশি তিনি এই ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার সুবিধা সম্পর্কেও জানান, “ভোটারদের অনেকেরই ভোটার আইডি কার্ডের নামের ক্ষেত্রে বানান ভুল রয়েছে, ঠিকানায় ভুল রয়েছে, বয়সের ক্ষেত্রেও রয়েছে অসঙ্গতি। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটাররা যাতে নিজেরাই এই সকল অসুবিধাগুলি সংশোধন করে নিতে পারেন, তার জন্যই এই প্রক্রিয়া।”

ব্যাঙ্কের নামে ভুয়ো মেসেজ, অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হচ্ছে টাকা, সর্তক করলো পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে ডিজিটাল লেনদেন যত বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জালিয়াতি। নেট দুনিয়ার হ্যাকাররা সব সময় নিজেদের ফাঁদ পেতে রেখেছেন সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য। কখনো তারা মোবাইলে এসএমএস, কখনো আবার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দিয়ে তথ্য হাসিল, এমন নানান কর্ম করে প্রতারিত করছেন সাধারণ মানুষদের।

এর আগে আমরা এটিএম কার্ডের ডিটেলস, ওটিপি এবং আরও অন্যান্য তথ্য হাসিল করে ব্যাঙ্ক একাউন্ট ঠেকর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা শুনেছি। কিন্তু এসব স্ট্র্যাটেজি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষও এখন অনেক সচেতন হয়ে পড়েছে। ফলে ঐসকল ফাঁদে আর পা দিচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। তাই নেট দুনিয়ার হ্যাকাররা নতুন নতুন পন্থা বের করছে অবিরত।

এমনই এক জালিয়াতির কথা প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ। সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে এই বার্তা কলকাতা পুলিশ তবে ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে। কলকাতা পুলিশ মানুষকে সতর্ক করতে দুটি ম্যাসেজের কথা জানিয়েছে। প্রথমটি হলো, আয়কর দপ্তরের নামে ভুয়া ম্যাসেজ।

যেখানে লেখা রয়েছে, ‘আপনি আয়কর রিফান্ড বাবদ ২০ হাজার ৪৯০ টাকা পাওয়ার জন্য অনুমোদন পেয়েছেন৷ একটি অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে, বলা হচ্ছে, দয়া করে নিজের অ্যাকাউন্টটি ভেরিফাই করুন৷ যদি আপনার মনে হয়, ভুল অ্যাকাউন্ট নম্বর, তা হলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে শুধরে নিন৷’ আর যদি ওই লিঙ্কে ক্লিক করেন তাহলেই ব্যাস, আপনি হ্যাকারদের খপ্পরে পড়লেন৷

দ্বিতীয় মেসেজটি হল এসবিআইয়ের নামে। ‘প্রিয়, এসবিআই গ্রাহক, আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে ভুল সইয়ের জন্য৷ নিজের অ্যাকাউন্ট পুনরায় চালু করতে নীচের লিঙ্কে অবিলম্বে ক্লিক করুন৷’

আয়কর বিভাগ এবং এসবিআইয়ের নামে এই দুটি মেসেজ ভুয়ো বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ এবং মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে রুখতে তারা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই মেসেজ দুটি করে সকলকে সতর্ক করেছেন। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, এমন কোন মেসেজ এলে দ্রুত তাদের দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করতে।

বাম্পার অফার : পুজোর আগেই জিও ফোনের দাম হলো অর্ধেকের কম

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় টেলিকম বাজারে বিপ্লব এনেছে জিও। সস্তায় একের পর এক অফার হাতে তুলে দিয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিও। সস্তার এই প্ল্যানের জন্য দেশের সবথেকে জনপ্রিয় নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে এই সংস্থা। আর এবার দুর্গা পুজোর আগে বড় ঘোষণা করলো জিও ফোনের ক্ষেত্রে।

এবার থেকে আর জিও ফোন কেনার জন্য গুনতে হবে না ১৫০০ টাকা। জিও ফোনের দাম অর্ধেকের বেশি কমিয়ে এবার ধার্য করা হলো মাত্র ৬৯৯ টাকা। তবে সমস্যা এবার পুরাতন ফোন এক্সচেঞ্জের অফারটি বন্ধ করে দিয়েছে।

এই দামে বাজারে এখন ভালো ২জি ফোন মেলা ভার, অথচ একই দামে পাওয়া যাচ্ছে জিওর ৪জি ফোন। যাতে আপনি ৪জি পরিষেবার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইউটিউবের মত সামাজিক মাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, নতুন অফারের সাথে জিও ফোন কেনার সাথে সাথে আপনি পাবেন বাড়তি অনেকগুলি অফারও। জিও ফোন কেনার পর সাত মাসের পর পর রিচার্জে পেয়ে যাবেন ৯৯ টাকার অ্যাডিশনাল ডেটা বেনিফিট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

নতুন অফারে জিও ফোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে এবং কিভাবে বাড়তি সুবিধাগুলি পাবেন?

আগামী ৪ই অক্টোবর থেকে এই দামে জিও ফোন পাওয়া যাবে। নতুন অফারের নতুন দামের এই জিও ফোন নেওয়ার জন্য আপনাকে আপনার নিকটবর্তী অথবা যে কোন জিও রিটেলারের কাছে উপযুক্ত প্রমাণপত্রসহ যেতে হবে। জিও ফোনের জন্য আপনাকে দিতে হবে ৬৯৯ টাকা, বাড়তি রিচার্জের জন্য ৯৯ টাকা।

যাতে আপনি পাবেন ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি এবং প্রতিদিন ১ জিবি করে ইন্টারনেটের সাথে আনলিমিটেড কল।

পরবর্তী ছয় মাসে প্রতিমাসে ৯৯ টাকা করে রিচার্জ করলেই পেয়ে যাবেন অ্যাডিশনাল ডেটা বেনিফিট। অর্থাৎ ৯৯ টাকায় ৫০০ এমবি ১ জিবি করে ইন্টারনেট ২৮ দিনের জন্য।

আর নয় সাত, নতুন আবিষ্কারে মহাদেশের সংখ্যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদন : ছোটবেলা থেকেই ভূগোল আমাদের পড়িয়েছে পৃথিবীতে মহাদেশের সংখ্যা সাত, আর মহাসাগর রয়েছে পাঁচটি। তবে এই মহাবিশ্বে রহস্যের শেষ নেই, তাই রহস্য মোচন করতে একের পর এক অভিযান চালায় ভূতত্ত্ববিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে অন্যান্য গবেষকরা। আর তাতেই অনেক নতুন নতুন অনাবিষ্কৃত বিষয়বস্তু চলে আসে আমাদের সামনে।

সম্প্রতি এমনই এক ঘটনায় জল্পনা শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে গবেষণার সময় ভূবিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে ফেললেন নতুন এক মহাদেশের অস্তিত্বের। এ নিয়ে আরো বিস্তারিত খোঁজ চালাচ্ছেন ভূবিজ্ঞানীরা। সমুদ্রের তলদেশ থেকে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া এই মহাদেশের নাম গ্রেটার আড্রিয়া।

বিগত ১০ বছর ধরে ভূমধ্যসাগর পার্বত্য রেঞ্জে স্পেন থেকে ইরান পর্যন্ত গবেষণা চলছিল। সেই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয় গন্ডোয়ানা রিসার্চ নামে একটি জার্নালে। সেখানে বলা হয়েছে ভূপৃষ্ঠের নিচের স্তরে গ্রীনল্যান্ডের সমান একটি অংশ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই অংশটি একসময় উত্তর আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। নতুন এই স্তরের আবিষ্কার হওয়া অংশের নাম বিজ্ঞানীরা রেখেছেন গ্রেটার আড্রিয়া।

গবেষক দলের মুখ্য সদস্য নেদারল্যান্ডের গবেষক ডো ভ্যান হিনসবার্গেন জানিয়েছেন, “আমরা যে পার্বত্য অংশ ধরে গবেষণা করেছি, সেখানকার বেশিরভাগ পর্বতেরই উৎস উত্তর আফ্রিকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এই অংশটি। যে ঘটেনি কমপক্ষে ২০ কোটি বছর আগেকার। এটা আসলে একটা মহাদেশ, যাকে ঘিরে পর্বতগুলো গড়ে উঠেছে। শুধু ফালির মতো মহাদেশের এই অংশ তুরিন থেকে আড্রিয়াটিক সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত। এখান থেকেই পরবর্তী সময়ে ইতালি গড়ে উঠেছে।”

গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, বিশ্বের বেশিরভাগ মহাদেশই জলের তলায় ছিল। সেগুলিতে প্রাকৃতিক বদলের ফলে পলি জমতে শুরু করলে জমির আকার নেই। ভূগর্ভস্থ প্লেটের সংঘর্ষের সেই পলি জমি পর্বতের আকার ধারণ করে। তবে নতুন আবিষ্কৃত এই মহাদেশ গ্রেটার আড্রিয়া রয়েছে অনেক রহস্য। কারণ ভূবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত এই মহাদেশের ভূগর্ভস্থ প্লেটের মধ্যে কোন ঠোকাঠুকি হয়নি। বরং অন্যান্য অংশের প্রবল সংঘর্ষের ফলে এই অংশের বদল ঘটেছে।

তবে এই নতুন আবিষ্কারের ফলে বোঝা যায় পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ ছাড়াও ছিল আরও একটি মহাদেশে অস্তিত্ব, যে আবিষ্কার সত্যিই চমকপ্রদ।

Mobile থেকে ২ মিনিটে করুন Voter Card ভেরিফিকেশন, জেনে নিন পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : নির্বাচন কমিশন ১লা সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচকের তথ্য যাচাই করণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন যে কেউ বাড়িতে বসেই নিজের স্মার্টফোন থেকে। এর জন্য আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে কেবলমাত্র একটি মোবাইল অ্যাপ। যা ভারতীয় ইলেকশন কমিশন ইতিমধ্যেই গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে রেখেছে।

সেজন্য আপনাকে প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে যেতে হবে, সেখানে ‘Voter Helpline’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেটি ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই দেখে নিবেন অ্যাপটি নির্বাচন কমিশন দ্বারা প্রদত্ত কিনা, অন্য কোন সংস্থার দ্বারা আপলোড হয়ে থাকলে সেটি ডাউনলোড করবেন না। কারণ তাতে আপনি প্রতারণা সম্মুখীন হতে পারেন। আর যদি কারোর এই অ্যাপটি আগে থেকেই ডাউনলোড করা থাকে তাহলে অবশ্যই আপডেট করে নিন।

অ্যাপটি ডাউনলোড হয়ে যাওয়ার পর আপনি সেটি খুললে শর্ত চাওয়া হবে যেটিতে টিক দিয়ে ‘I Agree’-তে ক্লিক করলেই পরবর্তী পর্যায়ে আপনি পৌঁছে যাবেন। সেখানে দেখতে পাবেন ‘EVP’ নামে একটি ট্যাব রয়েছে। সেখানে ক্লিক করলে আপনি পৌঁছে যাবেন পরবর্তী পর্যায় ‘ELECTORAL VERIFICATION PROGRAM’-এ। তারপর সেখানে যা যা ‘ALLOW’ করতে বলবে আপনি তা করে সম্মতি দিবেন।

তারপরেই আলাদা একটি স্ক্রীন আসবে সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বারটি দিতে হবে। সেই মোবাইল নাম্বারটি দিন যেটি সক্রিয় আছে এবং আপনি ভোটার আইডি কার্ডের সাথে সংযুক্ত করতে চাইছেন। তারপর নিচে পাবেন ‘SEND OTP’ অপশন, এখানে ক্লীক করেই আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি আসবে। যেটি নির্দিষ্ট স্থানে দিয়ে দিন এবং লগইন করুন। তারপর পরবর্তী স্টেজে পাবেন এপিক নাম্বার দিয়ে আপনার ভোটার তথ্য খোঁজার জায়গা। এখানে আপনি আপনার এপিক নাম্বার দিয়ে খুঁজে নিন আপনার ভোটার তথ্য।

নিজের ভোটার তথ্য খুঁজে পেলে আপনি দেখতে পাবেন ‘its me’ বলে একটা অপশন রয়েছে, এখানে ক্লিক করুন। এরপরেই আপনি পাবেন যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে আপনি ভেরিফিকেশন করেছেন সেই মোবাইল নাম্বারটি আপনার এপিক নাম্বারের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ‘YES’ অথবা ‘NO’ অপশন। তারপর ‘YES’ অপশনে ক্লিক করলেই আপনার এপিক নাম্বারের সাথে মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত হয়ে যাবে। এরপর ‘ওকে’ অপশনে ক্লিক করলেই আবার আপনি আপনার ছবিসহ ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পাবেন। যেখানে আপনি আপনার নাম, বাবার নাম, জন্মতারিখ, ছবি প্রায় সবকিছুই পরিবর্তন করতে পারবেন। এবার এগুলি পরিবর্তন করার পর ‘MODIFY’ অপশনে ক্লিক করে সাপোর্টেড ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। এখানে আপনি নিজে ক্যামেরার মাধ্যমে আপনার ডকুমেন্টের ছবি তুলে আপলোড করার সুযোগ পাবেন। ছবি আপলোড করে পরবর্তী পর্যায়ে জিপিএসের মাধ্যমে আপনার ঠিকানা নিজে থেকেই সংগ্রহ করবে ইলেকশন কমিশন দপ্তর। এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ইলেকশন কমিশনের ওই অ্যাপটি যা যা পারমিশন বা সম্মতি চাইবে সবেই সম্মতি দেবেন।

এরপর ঠিকানা সঠিক প্রমাণ করার জন্য আপনাকে একটি ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। ডকুমেন্ট আপলোড করার জন্য আপনি অপশন পাবেন ‘TYPE OF DOCUMENT’, সেখানে ক্লিক করে আপনি যে ধরনের ডকুমেন্ট আপলোড করতে চাইছেন সেটি বেছে নিয়ে ডকুমেন্ট আপডেট করার অপশনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করে আপনি আপনার ঠিকানা স্বপক্ষে যে ডকুমেন্ট দিতে চাইছেন সেটি আপলোড করে দিন, সঠিক হলে ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।

আপনার নিজের এই প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার পর আপনি আবার দুটি অপশন পাবেন। যে দুটি অপশন হলো, ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’ আর অন্যটি ‘SKIP AND FOR FAMILY TAGGING’. এখানে আপনি আপনার ভোটার কেন্দ্রের বিষয় জানতে চাওয়া হচ্ছে, যেটি আপনি দিতেও পারেন নাও দিতে পারেন।

আগের দুটি অপশনের মধ্যে ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’ অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারবেন। যদি পরিবারের সদস্যদের ভোটার তথ্য যাচাই করতে না চান তাহলে ‘SKIP AND FOR FAMILY TAGGING’ এ ক্লিক করুন। ‘SUBMIT AND GO FOR FAMILY TAGGING’-এ ক্লিক করলে আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন।

এরপর আপনি পাবেন তিনটি অপশন ‘ADD FAMILY MEMBER’, ‘VIEW MY FAMILY TREE’, ‘FINALIZE MY TREE’. এখানে আপনাকে ADD FAMILY MEMBER’-এ ক্লিক করতে হবে তারপর আপনি আপনার নিজের ক্ষেত্রে যেভাবে এপিক নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করেছিলেন ঠিক তেমনভাবেই আপনার পরিবারের সদস্যদের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে এখানে মনে রাখবেন নাকি অপশন পাওয়া যাবে যে, আপনি যে পরিবারের সদস্যের ভোটার ভেরিফিকেশন করছেন তিনি কি আপনার সাথে থাকেন, না আলাদা থাকেন। যেটি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেটি আপনি দিবেন। এছাড়াও তার সাথে আপনার কি সম্পর্ক তাও জানাতে হবে।

এছাড়াও এই অপশনে আপনি পাবেন নতুন ভোটার হিসাবে পরিবারের কোনো সদস্যকে যোগ করার। যদি তার বয়স ২০১৯ সালের পয়লা জানুয়ারি ১৮ বছর হয়ে থাকে। নতুন ভোটার সংযোজনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সমস্ত কাগজপত্র আপনাকে তৈরি রাখতে হবে এবং সেগুলিকে যথাযথ জায়গায় ওই অ্যাপের মাধ্যমেই আপলোড করতে হবে। এরপর আপনি ‘DOWNLOAD MY CERTIFICATE’ বলে একটি অপশন পাবেন ক্লিক করে ডাউনলোড করে নেবেন।

সস্তায় গ্যাস সিলিন্ডার পেতে মেনে চলুন এই পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজি গ্যাসের দাম কমায় গত বুধবার মধ্যরাত থেকে ভারতেও গ্যাসের দাম ১৪.২ কেজি সিলিন্ডার পিছু কমে ৬২.৫০ টাকা। এর আগেও জুলাই মাসে একইভাবে গ্যাসের দাম সিলিন্ডার প্রতি কমেছিল ১০০.৫০ টাকা। ফলতো এই মুহূর্তে স্বস্তির হাওয়া গৃহস্থের হেঁসেলে। আর এই রান্নার গ্যাসের দাম কমায় বিরোধীদের চাপ থেকে মুক্ত কেন্দ্রীয় সরকারও, গ্যাসের দাম কমার আগের মাসে দাম ৩.৭% বাড়ায় বিরোধীদের চরম চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল।

তবে গ্যাসের দাম বাড়ুক বা কম হোক, গ্যাস বুকিং-এর সময় কেবলমাত্র একটি পদ্ধতি অবলম্বন করলেই গ্যাসের দামের ক্ষেত্রে সিলিন্ডার পিছু ছাড়ে পাওয়া যায়। ক্যাশলেস বা নো ক্যাশ লেনদেনকে আরও মজবুত করতেই কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এমন সিদ্ধান্ত। সিলিন্ডার বুকিং করার পর সেই বিল অনলাইনে মেটালেই সিলিন্ডার পিছু পাওয়া যাবে ছাড়, এছাড়াও সিলিন্ডার বুকিং এর রসিদেও সেই ছাড়ের কথা উল্লেখ থাকবে।

Source

আর এই ছাড় পেতে হলে গ্যাস বুকিং করার পর সেই গ্যাসের মূল্য আপনাকে মেটাতে হবে অনলাইনে, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড অথবা নেট ব্যাঙ্কিং যে কোন পদ্ধতিতে। তাহলেই আপনি বুকিং করা গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি ছাড় পাবেন ৫ টাকা করে। অনলাইনে গ্যাসের বিল মেটানোর জন্য পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফ থেকে এমন একটি পদ্ধতিও আনা হয়েছে যার জন্য আপনাকে এলপিজির সাইটে কোনরকম একাউন্ট করার প্রয়োজনও নেই। গ্যাস বুকিং করার সাথে সাথে আপনার রেজিস্টার মোবাইল নাম্বারে একটি মেসেজের লিঙ্ক চলে আসবে বিল মেটানোর জন্য। যাতে ক্লিক করলেই অতি সহজেই পেমেন্টের অপশন পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, আপনার রেজিস্টার মোবাইলে পাওয়া ওই মেসেজের লিংক ভ্যালিডিটি গ্যাস বুকিং করার সময় থেকে ৩ ঘণ্টা অবধি। তারপর আর ওই লিঙ্ক কাজ করবে না। কিন্তু যারা আগে থেকেই এলপিজি সাইটে নিজেদের গ্যাস কানেকশনের ভিত্তিতে একাউন্ট করে রেখেছেন তারাও অতি সহজেই পেমেন্ট করতে পারবেন অনলাইনে।

Source

এর আগে পেট্রোল ও ডিজেলের ক্ষেত্রে লেনদেনের সময় ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক ০.৭৫% ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এবার এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার কেনাবেচাতেও ডিজিট্যাল পদ্ধতিকে আরও মজবুত করতে এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ছোটাছুটি নয়, ঘরে বসেই ঠিক করুন আধার কার্ডের ঠিকানার ভুল

নিজস্ব প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আধার কার্ডের প্রয়োজনীয়তা বেশ কিছু ক্ষেত্রে লাগাম দেওয়া হলেও, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জায়গায় আধার কার্ড যে অত্যাবশ্যক তা অনস্বীকার্য। সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা পেতে, ব্যাংকের কাজ কর্মের ক্ষেত্রে, প্যান কার্ডের ক্ষেত্রে আধার এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে গণ্য হয়।

কিন্তু এতো প্রয়োজনীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই অনেকেরই নাম, ঠিকানা অথবা অন্যান্য তথ্যে ত্রুটি রয়েছে। আর এই ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করেন ব্যাপক হয়রানি। বর্তমানে আধার কার্ডের ভুল সংশোধনের জন্য দৌঁড়াতে হয় ব্যাঙ্কের দরজায়। শুধু দৌঁড়ানোয় নয়, সেখানে নাম লিখিয়ে, দাঁড়িয়ে থেকে বহু সময় নষ্টের পর সংশোধন করা হয়। আর এতেই তিতিবিরক্ত সাধারণ মানুষ। তবে এই হয়রানির শিকার থেকে বাঁচার জন্য রয়েছে উপায়ও। বাড়িতে বসেই আপনি আপনার আধার কার্ডের ঠিকানার ভুল তথ্য সংশোধন করতে পারেন খুব সহজেই।

আধার কার্ডের ঠিকানা ভুল সংশোধন করতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে আধার কার্ডের অফিশিয়াল সাইটে https://ssup.uidai.gov.in/ssup/login.html এখানে লগইন করার পর আপনার আধার কার্ড নাম্বার দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। আধার কার্ড নাম্বার দিয়ে প্রবেশ করার পর আপনি পেয়ে যাবেন চারটি অপশন। যে চারটি অপশনের মধ্যে প্রথমেই দেখতে পাবেন ‘Update Aadhar Details(online)’ টি। সেখানে ক্লিক করুন।

Source

তারপর আধার আধার কার্ডের সাথে রেজিস্টার করার মোবাইল নাম্বারটি দিন। মোবাইল নাম্বারটি দেওয়ার পরে আপনার কাছে একটি ওটিপি আসবে। ওটিপি দিয়ে প্রবেশ করার পর আপনি আপনার যাবতীয় ভুল তথ্য সংশোধন করতে পারবেন অতি সহজেই। সংশোধনের সাথে সাথে প্রমাণ সাপেক্ষে আপনাকে উপযুক্ত ডকুমেন্টগুলি জুড়ে দিতে হবে।

সব ঠিক করার পর সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন। তার পদ্ধতি BPO নাম্বার পাওয়া যাবে, যেকোনো একটিতে সিলেক্ট করে সাবমিট করে দিন। সাবমিট করার সাথে সাথে আপনি একটি URN নাম্বার পাবেন। যদি আপনার দেওয়া তথ্যের সাথে আপলোড করা ডকুমেন্টের তথ্য মিলে যায় তাহলে ওই URN নাম্বারের মাধ্যমে দিন কয়েকের মধ্যেই সংশোধন করা আধার কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

Source

তবে অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন, বাড়িতে বসে অনলাইনে এই সমস্ত প্রক্রিয়াটি করার জন্য আপনার আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নাম্বার রেজিস্ট্রেশন থাকা আবশ্যক। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাড়িতে বসে আপনি কেবলমাত্র আপনার আধার কার্ডের ঠিকানা ভুল থাকলে সংশোধন করতে পারবেন। আর তা যদি না থাকে অথবা নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি সংশোধন করতে হয় তবে আপনাকে অবশ্যই সংশোধনের জন্য যেতে হবে আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে।

KBC চলার সময় অমিতাভ বচ্চন তাঁর কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখতে পান!

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় টেলিভিশনে রিয়ালিটি টিভি শোগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঞ্চালনায় তাঁর কন্ঠস্বর এবং পরিবেশনায় এই অনুষ্ঠানটি আরো কয়েকগুন জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আর যখন তিনি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ‘দেবীয় ও সাজন্নো’ বলে সম্মোধন শুরু করেন তখন যেন আলাদা অনুভূতি এনে দেয় দর্শকদের মধ্যে।

তবে আমরা যারা ‘কৌন বানেগা ক্রোড়পতি’ দেখতে অভ্যস্ত তাদের মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন খুবই ঘোরাফেরা করে। আমরা দেখতে পাই এই অনুষ্ঠানে অমিতাভ বচ্চন এবং যিনি খেলায় অংশগ্রহণ করেছে তাদের দুজনের সামনেই দুটি কম্পিউটার স্ক্রিন থাকে। খেলোয়াড়ের কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখা যায় তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু প্রশ্ন হল সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন তাঁর কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখতে পান! তিনি কি সমস্ত প্রশ্নের সাথে সাথে উত্তর দেখতে পান?

এই প্রশ্নের সমাধানে কেবিসি থেকে জিতে আসা সাড়ে বারো লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনভ নামে এক যুবক কতকগুলি উত্তর দিয়েছেন।

চলুন দেখে নেওয়া স্যার অমিতাভ বচ্চন তাঁর কম্পিউটার স্ক্রিনে কি কি দেখতে পান।

অভিনভের বক্তব্য অনুসারে কেবিসির সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন তার কম্পিউটার স্ক্রিনে খেলতে আসা প্রতিযোগীর নাম এবং তিনি কোথায় থেকে এসেছেন এবং কিভাবে এসেছেন, জীবিকা ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য স্পষ্ট দেখতে পান। যাতে করে সঞ্চালনা সময় কোন রকম অসুবিধার মধ্যে না পড়েন অমিতাভ বচ্চন।

খেলার শুরুতে যখন ফাস্টেস্ট ফিঙ্গারের সময় প্রতিযোগী এবং সঞ্চালক দুজনের কম্পিউটারের স্ক্রিন বন্ধ থাকে।

প্রশ্ন এবং উত্তরের ক্ষেত্রেও কি অমিতাভ বচ্চন সব প্রশ্ন এবং উত্তর আগে থেকে জানতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনভ জানান, প্রশ্নের ক্ষেত্রে অমিতাভ বচ্চন কিছুটা হলেও নিজের আধিপত্য দেখাতে পারেন কিন্তু কোন প্রশ্নের উত্তর তার আগে থেকে জানা থাকে না। যেমন যদি অমিতাভ বচ্চনের মনে হয় সামনে বসে থাকা প্রতিযোগী এই প্রশ্নের উত্তরটি দিতে নাও পারেন, তাহলে তিনি সেই প্রশ্নটি এড়িয়ে করার ক্ষমতা রাখেন। কিন্তু কোনোভাবেই তিনি আগে থেকে উত্তরের টের পান না। সকল দর্শক এবং প্রতিযোগী যখন সঠিক উত্তর দেখতে পান, তখনই অমিতাভ বচ্চনও প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেখতে পান।

যখন কোন প্রতিযোগী হেল্পলাইন নেন তখন ‘ফোন এ ফ্রেন্ড’ অপশন ব্যবহার করলে, যে বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগী যোগাযোগ করতে চাইছেন তাদের নাম এবং তাদের সম্পর্কিত তথ্য গুলি কম্পিউটার স্ক্রিনে উঠে আসে।

অভিনভের বক্তব্য অনুসারে এই পুরো খেলাটি বাইরে থেকেই পরিচালনা করা হয়, অমিতাভের কম্পিউটারটি স্বয়ংক্রিয়।

ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গেলে ফেরত পাবার উপায়

দিন দিন অনলাইনে লেনদেনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। আর বাড়বেই না বা কেন, অনলাইনে টাকা লেনদেনে সাধারণের থেকে কাজ অনেকটাই সোজা এবং সময়ও বাঁচে। আবার অনলাইনে টাকা পাঠালে যেমন সময় অনেকটাই বাঁচে, তেমন টাকাও বাঁচে। এখন আবার অনেক অনলাইন সংস্থা প্রতিটি অনলাইনে লেনদেনের ওপর বিশেষ কিছু ক্যাশব্যাক অফারও দিয়ে থাকে। ইলেক্ট্রিসিটি বিল বলুন অথবা রিচার্জ সব কিছুই অনলাইনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইউপিআইয়ের উপর কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই জোর দিচ্ছে। দ্রুত এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে টাকা পাঠানো অনলাইনের কোন জুড়ি হয় না।

অনেক সময় আমরা তাড়াহুড়ো করে কাউকে টাকা পাঠাতে গিয়ে ভুল করে অন্য একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে ফেলি। তাই অনেকেই অনলাইনে টাকা লেনদেন করতে খুব ভয় পায়। বিশেষ করে বয়স্করা। কিন্তু কখনো ভেবেছেন কি ভুল ব্যাক্তির ব্যাঙ্কে টাকা পাঠিয়ে ফেললে, সে টাকাও আবার ফিরে পাওয়া যায়? তাহলে আসুন জেনে নিই সেই টাকা ফেরত পাওয়ার উপায়…

আপনি যদি ভুল করে অন্য অ্যাকাউন্ট নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেলেন যার বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই তাহলে সেই টাকা অন্যত্র না গিয়ে আবার আপনার অ্যাকাউন্টে ফেরত এসে যাবে৷ আর যদি না আসে তাহলে আপনি সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করতে পারেন।

আবার আপনি যদি অন্য কোন ব্যাক্তির অ্যাকাউন্টে আপনার টাকা চলে যায় তাহলে, আপনি একটি লিখিত অভিযোগ আপনার ব্যাঙ্কের শাখাতে জমা করবেন এবং ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা যে ব্যাঙ্কে টাকা ভুল করে গেছে সেখানকার আধিকারিকদের সাথে কথা বলে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।

এছাড়া আপনার টাকা যদি উক্ত ব্যক্তি দিতে ইচ্ছুক না থাকে তাহলে, আপনি টাকা ফেরত পাবেন না। তবে আপনি আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন।