ভরদুপুরে ৫ মিনিটে ৩ টে খুন! জিয়াগঞ্জে পুলিশি তদন্তে প্রশ্ন তুলে CBI তদন্তের দাবি অনুপমের

নিজস্ব প্রতিবেদন : দশমীর ভরদুপুরে জিয়াগঞ্জের খুনের ঘটনার হয় সোমবার। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ পুলিশ সুপার শ্রী মুকেশ সাংবাদিক বৈঠক করে খুনিকে প্রকাশ্যে আনেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, দশমীর দিন দুপুর ১২:০৬ থেকে ১২:১১ এর মধ্যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে। সপ্তাহ খানেক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার কিনারা হলেও প্রশ্ন পিছু ছাড়ছে না। প্রশ্ন হচ্ছে মাত্র ৫ মিনিটে ৩ জনকে খুন করা কি আদৌ সম্ভব! প্রশ্ন তুলেছেন তাবর তাবর বিরোধীরা, শুধু তাই নয় প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং নিহত বন্ধু প্রকাশের মা’ও। বন্ধু প্রকাশের মায়ের দাবি, ঘটনার পিছনে রয়েছে বড় কোন পাকা মস্তিষ্কের হাত।

বিজয় দশমীর দিন বন্ধু প্রকাশ সপরিবারে খুন হন টাকা-পয়সা লেনদেনের বিবাদকে কেন্দ্র করেই বলে জানায় পুলিশ। মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহেরাকে গ্রেপ্তার করেছে মুর্শিদাবাদ পুলিশ। উৎপল বছর কুড়ির এক যুবক, যিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। উৎপলের বীমার ২৪০০০ টাকা জমা দেয়নি বন্ধু প্রকাশ বলে জানিয়েছে পুলিশ, উপরন্তু উৎপলকে গালিগালাজ করে বন্ধু প্রকাশ। সেই রাগেই খুন করেছে উৎপল সপরিবারে বন্ধু প্রকাশকে।

এই ঘটনার কিনারা হওয়ার পরই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে আমজনতার মধ্যেও। প্রশ্ন উঠছে নানান ধরনের, দিনের বেলায় কোপানো সত্বেও বন্ধু প্রকাশের স্ত্রী আটকালো না, চেঁচামেচি করলো না? উৎপল সুস্বাস্থ্যের অধিকারী অথবা পেশাদার খুনি নন, তাহলে তার পক্ষে এত অল্প সময়ে তিনটে খুন করা কিভাবে সম্ভব? ২৪০০০ টাকার জন্য তিনটে খুন?

আর এসকল প্রশ্নের মাঝেই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশী তদন্তকে প্রশ্নের মুখে রেখে সিবিআই তদন্তের দাবি করে জিয়াগঞ্জের ঘটনায় উঠে আসা প্রশ্নগুলিকে আরও জোড়ালো করলেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছেন, “নাম – উৎপল বেহেরা !!! পেশাদার খুনি নয় !! অতি সাধারণ রাজমিস্ত্রি !!! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশের দাবি, “বন্ধুপ্রকাশের গােটা পরিবারকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে খুন করা”-র কথা স্বীকার করেছে বছর কুড়ির উৎপল !!! অন্যদিকে এই খুনের সমান্তরাল তদন্তে নামা দিদি’র CID’র কয়েকজন কর্তা মনে করেন – ছোটখাটো চেহারা উৎপলের পক্ষে পাঁচ মিনিটে তিন-তিন জনকে খুন করা সম্ভব নয় !!! মানুষকে এতটা মূর্খ ভাবা ঠিক নয়। সরকার যতই গল্প ফাঁদে ঠিক একদিন আসল সত্য সামনে আসবেই !!! #হােক CBI !!!”

এছাড়াও জিয়াগঞ্জের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, মুখ বাঁচাতে সাতদিন ধরে পুলিশ গল্প বানিয়েছে। কিন্তু সেই গল্পটা অতীব দুর্বল, যা লোকে খাচ্ছে না।

দামি রিসোর্টের রেস্টুরেন্টের খাবারে পোকা, ঘটনায় শোরগোল

নিজস্ব প্রতিবেদন : দামি হোটেল রেস্টুরেন্টে বিপুল টাকা দিয়ে খাওয়া-দাওয়া কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে আবার দেখা গেল প্রশ্ন চিহ্ন। কারন আবার একটি দামি রিসোর্টের রেস্টুরেন্টের খাবারে মিললো পোকা, যা খেয়ে গ্রাহক রীতিমতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বরশাল মোড় পেরিয়ে তারাপীঠের কাছে আমন্ত্রণ নামে একটি রিসোর্টে। বিকাশ জয়সওয়াল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ওই রেস্টুরেন্টে গত ১২ ই অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় খাওয়া-দাওয়া করতে যান। সেখানে তিনি চাওমিন অর্ডার দেন, তারপর সেটি খেতে গিয়ে দেখেন খাবারে রয়েছে পোকা। যে পোকার অর্ধেক অংশ তিনি খেয়েও ফেলেছিলেন। তারপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে।

ঘটনায় প্রথমে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে মেনে নিতে চাননি বলে অভিযোগ। পরে নিজেদের ভুল স্বীকার করে খাবারের টাকা ফেরত দিতে চান। কিন্তু ওই ব্যক্তি টাকা ফেরত না নিয়ে থানার দ্বারস্থ হওয়ার কথা বলেন। সে সময় তাকে হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এও বলা হয়, ‘থানায় অভিযোগ করে কোন লাভ হবে না, এই রিসোর্টটি কলকাতার একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি মনোজ কুমার দাসের রিসোর্ট।’

দামি ঐ রিসোর্টের গ্রাহক বিকাশ বাবু হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে রামপুরহাট মহকুমার এসডিওকে ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জানাতে যান, যদিও এসডিও মহাশয়া না থাকায় পরে রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি তিনি খাবারের নমুনা নিজের কাছে সংগ্রহ করে রেখেছেন।

সৌরভ শুভেচ্ছায় মমতা, ট্যুইটে জানালেন গর্বের কথা

নিজস্ব প্রতিবেদন : রবিবার রুদ্ধশ্বাস নাটকের পর অবশেষে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে বাজিগর মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলী। দিনভর রোমহর্ষক পরিস্থিতির পর অবশেষে রাতে বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার জন্য সই করেন সৌরভ গাঙ্গুলী। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন হবে না বলেই নিশ্চয়তার কারণে খুব শীঘ্রই সভাপতির পদে বসতে চলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী, যা প্রায় নিশ্চিত।

আর এই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া নিশ্চিত হওয়ার পরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌরভ গাঙ্গুলীকে টুইট করে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। টুইট করার পাশাপাশি তিনি তাকে এসএমএসের মাধ্যমেও শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন।

মমতা বন্দোপাধ্যায় ট্যুইটারে লিখেছেন, “বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য সৌরভকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই৷ তুমি ভারত ও বাংলাকে গর্বিত করেছ৷ সিএবি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনও তুমি আমাদের গর্বিত করেছো৷ তোমার আরও একটি দুর্দান্ত ইনিংস দেখার অপেক্ষায় আছি৷”

আগামী ২৩ তারিখ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতি হিসাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণার কথা রয়েছে। এই সাধারণ সভায় ভোটাভুটির সম্ভাবনা কার্যত নেই, তাই একপ্রকার নিশ্চিত যে সৌরভ গাঙ্গুলী আগামী দিনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কনিষ্ঠ প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতি হচ্ছেন।

সভাপতি হিসাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই দফায় সৌরভ গাঙ্গুলী হাতে পাবেন ১০ মাস সময়। তবে সৌরভ গাঙ্গুলীর এই সভাপতিত্ব নিয়ে দেশের অজস্র ক্রিকেটপ্রেমীর মনে আরও আশার আলোর সঞ্চার হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটকে নিয়ে। তিনি একজন একজন দক্ষ ক্রিকেটার, দক্ষ অধিনায়ক, বিশেষ করে তার অধিনায়কত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস, তাছাড়াও রয়েছে সিএবি চালানোর অভিজ্ঞতা।

পৌষ মেলার ভবিষ্যৎ! দোটানায় বিশ্বভারতী, তাকিয়ে ২৩ এর দিকে

অমরনাথ দত্ত : পরিবেশ আদালতের দিকে তাকিয়েই পৌষ মেলার ভবিষ্যৎ। মেলার দূষণ নিয়ে চরম দোটানায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মাসখানেক আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য পৌষ মেলা ট্রাস্ট এবং অন্যান্য বিশ্বভারতীর আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, পৌষ মেলার এত ব্যয় ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে বিশ্বভারতীর পক্ষে। আসলেই পৌষ মেলা সবথেকে প্রতিবন্ধকতা হলো দূষণ, যার জন্য বারবার পরিবেশ আদালতে হোঁচট খেতে হয়েছে বিশ্বভারতীকে। যদিও মাসখানিক আগের বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন আশ্রমিকদের একাংশ।

এমত দোটানা অবস্থায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাকিয়ে রয়েছে ২৩ শে অক্টোবরের দিকে। কারণ সেদিন যদি গ্রীন বেঞ্চ আদালত মেলা নিয়ে বিশ্বভারতীকে জরিমানা করে তাহলে পিছিয়ে আসতে পারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে নতুন করে বিধি নিষেধ আরোপ করলে তারা কতটা মানতে পারবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তার উপরও মেলার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

প্রাথমিকভাবে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মেলা নিয়ে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতীর অন্যান্য আধিকারিকদের সাথে একটি বৈঠক করে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মেলা মাঠের জমি বুকিং থেকে শুরু করে সমস্তটাই হবে অনলাইনে। আর চলতি সপ্তাহেই মেলা পরিচালনা নিয়ে একটি কমিটি গঠন হতে পারে।

যদিও পৌষ মেলা প্রসঙ্গে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানিয়েছেন, আদালত কখনোই মেলা বন্ধের পক্ষে নয় বা মেলা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়নি। মেলাকে পরিবেশবান্ধব করে তোলার নির্দেশ দিয়েছে। মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

অতএব বলাই বাহুল্য, আগামী ২৩ শে অক্টোবর গ্রীন বেঞ্চ আদালতে সবকিছু ঠিক থাকলে এবছর ২৩ শে ডিসেম্বর শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা দেখতে পাবে রাজ্যবাসী, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

স্বামী অন্য মহিলার সাথে হোটেলে, হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্ত্রী

হিমাদ্রি মন্ডল : বীরভূমের সিউড়ি শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি লজে নিজের স্বামীকে হাতেনাতে ধরে ফেললেন এক গৃহবধূ। অভিযুক্ত স্বামীর বাড়ি বীরভূমের দুবরাজপুরে।

দুবরাজপুর শহরের বাসিন্দা রাজেশ কবিরাজের সঙ্গে প্রায় বছর ১৫ আগে মহঃবাজার থানা ডেউচা গ্রামের এক তরুনীর বিয়ে হয়। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই রাজেশ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো।

রাজেশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, স্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই মারধর করতেন তিনি। এমনকি রাজেশের বাবা তাকে একটি দুবরাজপুর শহরের বড় কাপড় দোকান করে দিলেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ফলে সেই দোকানের কারবার লাটে তুলে দেয় সে। ইতিমধ্যেই ওই গৃহবধূ স্বামীর অত্যাচারে বাবার বাড়িতে চলে আসতে বাধ্য হয় বছরখানেক আগে।

রবিবার ওই গৃহবধূ খবর পান তার স্বামী অন্য মহিলাকে নিয়ে সিউড়ির একটি লজে উঠেছেন। তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি এবং সিউড়ি থানায় বিষয়টি জানালে তারা দুজনকে আটক করে। ঘটনায় গৃহবধূ তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।

লোনের টাকা খরচ করে দিয়েছে স্বামী, অশান্তি থেকে বাঁচতে আত্মঘাতী গৃহবধূ

অমরনাথ দত্ত : ৬ বছর আগে বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত রায়পুর সুপুর পঞ্চায়েতের রায়পুর গ্রামের চৈতালি বর্মনের সঙ্গে বিয়ে হয় বোলপুরের নায়েক পাড়ার বাসিন্দা বাবাই বাগদির সাথে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবাই বাগদী নির্দিষ্ট কোনো কাজকর্ম করত না। সেই নিয়ে প্রায়শই বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকতো। চৈতালি বাগদি বিভিন্ন প্রকল্পের গ্রুপ লোন নিজের কাছে রেখে ছিলেন কোনো উপায় বের করে সংসার চালানোর জন্য। কিন্তু সেই টাকা তার স্বামী খরচ করে ফেলেন।

যেহেতু ওই লোনের টাকা গ্রূপ লোন তাই এনিয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে প্রায়শই অশান্তি হতে করে। কিভাবে সেই টাকা ফেরত দেবেন তা খুঁজে পাচ্ছিলেন না চৈতালি।

এরই মাঝে রবিবার সকালে বাড়িতে একপ্রস্থ ঝামেলা হওয়ার পর গায়ে আগুন ধরিয়ে নেন চৈতালি। প্রাথমিকভাবে এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে পরিবার ও পুলিশের পক্ষ থেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বোলপুর থানার পুলিশ। তারা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।

ঘটনার পর থেকে মৃতার স্বামী পলাতক। তবে তার পরিবারের তরফ থেকে থানায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। উৎসবের দিনে পাড়ায় এমন মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বীরভূমে গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডলের খুড়তুতো ভাই বিজেপি নেতা সুমিত মণ্ডল

নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খুড়তুতো ভাইকে শুক্রবার দুপুর বেলায় গ্রেপ্তার করলো বোলপুর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া সুমিত মন্ডল বিজেপি নেতা বলে পরিচিত। লোকসভা নির্বাচনের সময় এই সুমিত মন্ডল বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। যদিও সুমিতের সাথে কোনো অনুব্রত মন্ডলের কোনো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই বলেই আগেই জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।

নানুরের রামকৃষ্ণপুরের বিজেপি কর্মী স্বরূপ গড়াইয়ের নিহত হওয়ার ঘটনায় এই সুমিত মন্ডল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে দলীয় কর্মীদের সাথে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বিক্ষোভের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা এবং বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিজেপির বীরভূম জেলা শিক্ষক সংগঠনের সক্রিয় নেতা সুমিত মন্ডল।

আজ বোলপুরে চৌরাস্তা মোড় থেকে সুমিত রঞ্জন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে বোলপুর থানার পুলিশ। বোলপুর থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে প্রথমে সুমিত মন্ডলের গাড়ি আটক করা হয়, তারপর তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের এই ঘটনায় অনুপম হাজরা ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

জিয়াগঞ্জের শিক্ষক খুনের ঘটনায় জড়িত বীরভূম! তদন্তে বীরভূমে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে একই পরিবারের তিনজনের খুনের ঘটনায় তদন্তে বীরভূমের রামপুরহাটে এলো মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের একটি দল। আজ বিকাল বেলায় রামপুরহাটের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শৌভিক বণিক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আসে লালবাগ মহকুমা পুলিশ অধিকারিক বরুণ বৈদ্যের নেতৃত্বে তদন্তকারী পুলিশের দল।

তবে শৌভিক বণিককে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলে তল্লাশি।

দূর্গাপূজার দশমীর দিন খুন হয় মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের অন্তঃসত্বা স্ত্রী সন্তানসহ বন্ধু প্রকাশ পাল। তারপর বিভিন্ন মহল থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি ওঠে। পুলিশ এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় তেমন কোনো সাফল্য পাই নি।

আজ দুপুর ৩ টে নাগাদ লালবাগের এসডিপিওর নেতৃতের একটি তদন্তকারী দল রামপুহাটে সৌভিক বণিক নামের এক ব্যাক্তির খোঁজে আসে। তাঁরা রামপুরহাটের ৯ নং ওয়ার্ডের সৌভিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ঘন্টা দুয়েক পর কিছু খাতাপত্র ডায়রি নিয়ে যায়। সৌভিক প্রতিবার পুজোই রামপুরহাটে আসতো বলেই জানাই স্থানীয় বাসিন্দারা, কিন্তু আবার পুজোয় তাকে দেখা যায় নি।

সৌভিক নেটওয়ার্ক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। সৌভিক প্রায় ৬ মাস বাড়ি আসেনি বলে জানাই সৌভিকের দাদা সৌরভ বণিক। মৃত বন্দুপ্রকাশ পালের স্ত্রীর বাবার বাড়ি রামপুরহাট থানার শিউরা গ্রামে। কিন্তু এই খুনের সঙ্গে সৌভিকের কি সম্পর্ক তা এখনই বলতে চাইনি তদন্তকারী অফিসাররা।

জিয়াগঞ্জের শিক্ষক খুনের ঘটনায় রামপুরহাটের পর তদন্তে সিউড়িতে এলেন লালবাগের এসডিপিও। অভিযুক্ত ব্যক্তি সিউড়ি জাতীয় সড়কের ধারে অরবিন্দপল্লীর একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে সে পালিয়ে যায়।

প্রতারণার বদলা অপহরণ, পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার অপহৃত, গ্রেপ্তার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতারণার প্রতিশোধ নিতে অপহরণের ছক! সিনেমার মতো অঙ্ক কষে প্রতারিত ব্যক্তি তিনজন পুলিশ কর্মী ও একজন বিএসএফ জওয়ানকে অপহরণের ছক কষেন। সেইমতো বোলেরো গাড়িতে করে এসে এমাসের ১০ তারিখ কলকাতার চাঁদনী চকে ই-মলের সামনে থেকে দিনের আলোয় অপহরণ করে প্রতারককে।

জানা গিয়েছে, সৌমেন বসু নামে এক ব্যক্তি সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল বেকার যুবকদের কাছ থেকে। কিন্তু সেই চাকরি পায়নি বেকার যুবকরা আর টাকাও ফেরত দেয়নি সৌমেন বসু। এমনই এক প্রতারিত ব্যক্তি হলেন অভিজিৎ ঘোষ।

অভিজিৎ ঘোষের দাবি, সৌমেনকে তিনি এক কোটি টাকা দিয়েছিলেন চাকরির জন্য। চাকরি হয়নি, বারবার বলা সত্ত্বেও টাকা ফেরত দেয়নি সে। তাই তাকে অপহরণের ছক কষে। অপহরণ করতে সঙ্গে নেন তিনজন পুলিশ কর্মী ও এক বিএসএফ জওয়ানকে।

অভিজিৎ ঘোষের সাথে যে সকল পুলিশ কর্মী এবং বিএসএফ যেমন ছিলেন তাঁরা হলেন শ্যামল মণ্ডল, জ়াকির খান, দুজনেই কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের কর্মী। অন্য জন মহঃ হানিফ রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মী। এই দলে থাকা বিএসএফ জওয়ান আমির হোসেন ছাড়াও ছিলেন মনজারুল হক নামে অন্য এক ব্যক্তি। ছিলেন বোলেরো গাড়ির ড্রাইভার শেখ সুলেমন। অভিজিৎ ঘোষ ও শ্যামল মণ্ডল মালদার ইংলিশ বাজারের বাসিন্দা। জাকির খান, মহঃ হানিফ, মনজারুল হক, আমির হুসেনের বাড়ি বীরভূমের লাভপুর থানার দরবারপুর গ্রামে।

কলকাতা পুলিশ অপহরণের সাথে যুক্ত থাকা ওই বোলেরো গাড়িটির নাম্বার দেখে বীরভূমের নাম্বার বুঝে তড়িঘড়ি বীরভূম পুলিশকে ফোন করে। তারপর বীরভূম পুলিশ রাতভর নাকা চেকিং করে অপহৃত সৌমেনকে উদ্ধার করে। ঘটনায় যুক্ত থাকার কারণে তিন পুলিশকর্মী ও এক বিএসএফ জওয়ান সহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে লাভপুর থানার পুলিশ, আটক হয় গাড়িটি। পরে তাদের বউবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সচেতনতায় সার! শারদোৎসবেও দাপট ফ্লেক্স-প্লাস্টিকের

নিজস্ব সংবাদদাতা : সচেতনতা প্রচারই সার। সতর্কতার বার্তাও গেল বিফলে। শারোদৎসবের চারটি দিনেই বীরভূম জেলা জুড়েই দেদারে চলেছে ফ্লেক্স, প্লাস্টিকের ব্যবহার। শুধু ব্যবহারই নয়, যথেচ্ছভাবেই এদিক ওদিকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার দৃশ্যের সাক্ষী থেকে সদর শহর সিউড়ি থেকে শুরু করে রামপুরহাট, বোলপুর সহ গঞ্জ এলকাতেও। যা নিয়ে যথেষ্টই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা।

দূষক সৃষ্টিকারী প্লাস্টিক, ফ্লেক্স প্রভৃতি ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রন আনতে চলছে নিরবিচ্ছিন্ন প্রচার। উৎসবের দিনগুলিতে যাতে এই নিয়ন্ত্রন ব্যাপকমাত্রায় আনা যায় তার জন্যও ছড়ানো হয়েছিল সতর্কবার্তা। তারপরেও পাল্টায় নি পরিস্থিতি। অধিকাংশ পুজো মণ্ডপেই পুজো চারদিন দেখা মিলেছে যথেচ্ছভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার। বিজ্ঞাপন, প্রচারের স্বার্থে শহরের পুজো মন্ডপ থেকে রাস্তাঘাট সর্বত্র ফ্লেক্সের মোড়কে আবদ্ধ থাকার সেই চেহারায় বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়েনি এবারও। বড় ছোট খাবারের দোকানেও দেদারে ব্যবহৃত হয়েছে পরিবেশ দূষনকারী প্লাস্টিকের বোতল, ক্যারি ব্যাগ। এখনও যত্রতত্র পড়ে রয়েছে পরিবেশ দূষনকারী এই সমস্ত সামগ্রীর সম্ভার।

আর এই প্ল্যাস্টিক ব্যবহারের ব্যাপারে সিউড়ির পরিবেশকর্মী শুভাশিস গঁড়াই জানান, “যেকোনো উৎসবে যথেষ্ঠ প্লাস্টিকের ব্যবহার নজরে পড়ে। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পেলেও তা এখনও অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছায়নি। জনসেচতনতার আরও ব্যাপক বৃদ্ধি ছাড়া এই লড়াইয়ে কোনো বিকল্প পথ নেই।”

উৎসবের চারটি দিনে প্রায় সর্বত্রই নজরে পড়েছে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্লাস্টিকজাত আবর্জনা মূলত পলিথিন, প্লাস্টিকের চায়ের চাপ, আইসক্রিমের প্যাকেট, জলের বোতল ইত্যাদির। কোথাও ওই আবর্জনাগুলিকে পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে একত্রিত করে রাখা হয়েছে তো কোথাও যেমন ফেলা হয়েছে তেমনই পড়ে রয়েছে অগোছালোভাবেই। জলবায়ূর উপর আঘাত, পরিবেশে তীব্র দূষনের অন্যতম কারন ৪০ মাইক্রনের নীচের প্লাস্টিক ব্যবহার, এ নিয়ে ব্যাপক প্রচারের পরেও কেন মানুষ সচেতন হচ্ছেন না তা নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। অধিকাংশ জায়গায় ছিল না আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থান বা ভ্যাট। যার খেসারত দিতে হয়েছে পরিবেশকেই। আখেরে যা আঘাত নেমেছে জনজীবনেই। এই সচেতনতার অভাব এখনও কতখানিছে তারই জানান দিয়েছে এই শারদোৎসব।

উপাচার্যের বাড়ির পাশ থেকে চন্দন গাছ চুরির চেষ্টা বিশ্বভারতীতে

অমরনাথ দত্ত : ২০ই সেপ্টেম্বরের পর আবারও চন্দন গাছ চুরির চেষ্টা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে, তাও আবার উপাচার্যের বাড়ির পাশ থেকেই।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাঁর বাড়ির পাশেই একটি জায়গা থেকে আবারও চোরের দল কেটে নিলো একটি চন্দন গাছ। যদিও বিশ্বভারতী নিরাপত্তা কর্মীরা দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করতে চন্দন গাছ ফেলে দিয়ে উধাও হয় চোরের দল। নোবেল চুরির পর বিশ্বভারতীতে চুরি হয়েছে একাধিক চন্দন গাছ। ২০ই সেপ্টেম্বর বিশ্বভারতীর সবচেয়ে হাই সিকিউরিটি জোন রবীন্দ্র ভবন থেকে চুরি গিয়েছিল দুটি চন্দন গাছ, বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র ভবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্য ভবন, যেখানে কবিগুরুর নোবেল পদক প্রাপ্তির ব্যবহৃত জিনিস রয়েছে। সেখান থেকেই চন্দন গাছ কেটে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।

বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে কি ভাবে এই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়েও চন্দন গাছ চুরি হয়েছিল তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে সেই রিপোর্ট হাতে আসার পরে তারা ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এর আগে একাধিকবার বিশ্বভারতীতে থেকে চুরি গেছে চন্দন গাছ কিভাবে নিরাপত্তা বেষ্টনীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিভাবে চন্দন গাছ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সকল স্তরের মানুষ। যদিও চন্দন গাছ চুরি তদন্তে নেমেছে বিশ্বভারতী নিরাপত্তা আধিকারিক।

বিদেশে স্বমহিমায় বীরভূম, কম্বোডিয়ায় নাদানা সিগামানি অ্যাওয়ার্ড সিউড়ির অমরনাথ ঘোষের

দীপক কুমার দাস : কম্বোডিয়ায় নাদানা সিগামানি অ্যাওয়ার্ড পেলেন সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লীর অমরনাথ ঘোষ। কম্বোডিয়ান গর্ভমেন্ট মিনিষ্ট্রি অফ কালচার অ্যান্ড ফাইন আর্টস, তামিলনাড়ু চেরিটেবেল এবং সিনু ঘনাম ট্রাভেলসের উদ্যোগে আঙ্কোরভাটের সঙ্গীত গানা সভা আঙ্কর তমিজে গত ৪ই অক্টোবর থেকে ৮ই অক্টোবর পর্যন্ত অপ্সরা ডান্স অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল ডান্স ফেষ্টিড্যালের আয়োজন করা হয়।

এই ডান্স ফেস্টিভ্যালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ৭০ থেকে ৮০ জন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী অংশগ্রহণ করেন। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অষ্ট্রেলিয়া,চীন সহ বিভিন্ন দেশের নৃত্যশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। এই ফেষ্টিভ্যালে একমাত্র পুরুষ নৃত্য শিল্পী ছিলেন অমরনাথ ঘোষ। তিনি কুচিপুড়ি নৃত্য পরিবেশন করে মুগ্ধ করেন দর্শকদের। সেখানে কম্বোডিয়ান গর্ভমেন্ট মিনিষ্ট্রি অফ কালচার অ্যান্ড ফাইন আর্টসের পক্ষ থেকে কুচিপুড়ি নাচের শিল্পী অমরনাথ ঘোষের হাতে নাদানা সিগামানি অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।

গত ৪ই অক্টোবর থেকে ৮ই অক্টোবর পর্যন্ত কম্বোডিয়াতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল ডান্স ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই অমরনাথ ঘোষকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এর আগেও দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ডান্স ফেষ্টিভ্যালে নৃত্য পরিবেশন করে সম্মানিত হয়েছেন এই নৃত্য শিল্পী। এই সম্মান পেয়ে খুশি নৃত্য শিল্পী অমরনাথ ঘোষ। তিনি জানান, “এই সমস্ত কিছুর সাফল্যের পিছনে আমার মা শিখা ঘোষ, বাবা অসীম ঘোষ ও আমার গুরুর চরম অবদান রয়েছে।সবথেকে বেশি অবদান আমার বাবাও মায়ের। তাদের আর্শীবাদ আর সার্পোট ছাড়া আমি এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না।” অমরনাথের সাফল্যে খুশি তার বাবা, মা, তার গুণগ্রাহীরা।

একাদশীর ভোররাতেও তেড়ে বৃষ্টি, চলবে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্গাপুজোর শেষ, মা দুর্গা কৈলাসে গমন করলেও এক্ষুনি বর্ষার বাংলা ছাড়ার কোন নামগন্ধ নেই। একাদশীর ভোররাতেও তেড়ে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তৃর্ণ জেলায়। শুধুই বৃষ্টি নয়, পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ো হাওয়াও বইয়েছে। ইতিমধ্যেই দশমীর দিন দিনভর বৃষ্টিতে নাজেহাল হতে হয়েছিল বাঙ্গালীদের। তারপর আবার বৃষ্টিতে জল জমেছে বিভিন্ন জায়গায়।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, নবমী থেকে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি বাড়ার কথা। সেইমতো বৃষ্টিতো বেড়েছে, পাশাপাশি মাঝারি বৃষ্টির জায়গায় হয়েছে এই ভারী বর্ষণ। যদিও এই বৃষ্টি বাঙালির ঠাকুর দেখায় কোন রকম ব্যাঘাত হানতে পারেনি, তবে দশমীর বিসর্জনে কিছুটা হলেও এসেছে ব্যাঘাত।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনই বাংলা ছেড়ে বৃষ্টি বিদায় নেবে না, কারণ ঝাড়খণ্ডের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ুও। এই দুয়ের জেড়েই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি দেখা দিয়েছে।

আজও সারাদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও হতে পারে। বইতে পারে ঝড়ো হাওয়াও। বৃষ্টির আশঙ্কার মেঘ আগামী দিনেও কাটবে না বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। মেঘলা আকাশ মাথায় নিয়েই ধনদেবীর আরাধনায় মাততে হবে বঙ্গবাসীকে। হতে পারে বৃষ্টিও। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়ে রাখলো হাওয়া অফিস।

জোড়া ঘূর্ণাবর্ত মাথাচাড়া দিয়েছে, দুর্গোৎসবে বড় দুঃশ্চিন্তা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদন : একটি ঘূর্ণাবর্ততেই সামাল সামাল, তারপর আবার জোড়া ঘূর্ণাবর্ত ঝাড়খণ্ডের আকাশে। আর এই জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে ঝাড়খণ্ড থেকে উড়িষ্যা উপকূলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। যার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলে, তাছাড়াও ঝাড়খন্ডে বেশি বৃষ্টি হলে সেই জল নদী বেয়ে প্রবেশ করে বীরভূম অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে। এমনিতেই পুজোর আগে ঝাড়খন্ডে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বীরভূমে বেশ কয়েকটি গ্রাম নদীর জলে প্লাবিত হয়েছিল। যদিও ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস মূলত উড়িষ্যার উত্তর উপকূলে রয়েছে।

এছাড়াও হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ অষ্টমীর দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাভাস মতোই ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি জায়গায় দুপুরে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। আগামীকাল অর্থাৎ নবমীর দিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি। এমনকি দশমীতে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

এই বৃষ্টিপাতের কারন হিসেবে জানা গেছে, রাজস্থান থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বজায় রয়েছে। এছাড়া উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বিরাজমান ঘূর্ণাবর্ত। যার জেড়ে এই বিপুল পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকেছে এরাজ্যে।

আর এই বিপুল পরিমাণ জলীয়বাষ্প সৃষ্টি করতে পারে বজ্রগর্ভ মেঘের। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে দোসর তাপমাত্রা, ৩০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। যে কারণে বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনাও প্রবল।

আবারও ছেলেধরা সন্দেহে তিনজনকে মার স্থানীয়দের

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধুমাত্র গুজবের ওপর ভিত্তি করে সপ্তাহ খানেক আগেই কেতুগ্রাম থেকে আসা ৫ জন ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল বীরভূমের সিউড়ির ফকিরপাড়ায়। যদিও পরে জানা যায় যে ৫ জনকে মারধর করা হয়েছিল তারা নিজেদের কাজে সিউড়িতে এসেছিলেন। ছেলে ধরার সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতে ফের একই ঘটনা বীরভূমে। এবার ঘটনাস্থল রামপুরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজনপল্লীতে। এলাকার একটি দুর্গামণ্ডপ সংলঙ্গ এলাকায় দুই মহিলা ও এক পুরুষকে দেখে ছেলেধরা সন্দেহ করেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপরই হাত পা বেঁধে চলে ব্যাপক মারধর।

ছেলেধরা সন্দেহ করে মারধর করা ব্যক্তিটির দাবি, তারা মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে ঠাকুর দেখতে এসেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বাচ্চা ছেলে মেয়েদের লোভনীয় খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় রামপুরহাট থানার পুলিশ। তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। পাশাপাশি তাদের পরিচয়? কি উদ্দেশ্যে তারা সেখানে দাঁড়িয়ে এসেছিলেন সমস্তটাই খতিয়ে দেখছে রামপুরহাট থানার পুলিশ।

পঞ্চমীতে মুখভার আকাশের, ষষ্টিতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে আগেই জানানো হয়েছিল এবছর পূজোতে অসুর রূপে বৃষ্টিকে দেখা যাবে। পুজোর আগে থেকেই বৃষ্টি হানা দেয় রাজ্যজুড়ে, তবে চতুর্থীর দিন রোদ ঝলমলে আকাশ অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছিল বাঙ্গালী মনকে। তবে সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হলো না, পঞ্চমীর ভোর থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আজ সারাদিনই মেঘলা আকাশ থাকবে, পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সম্ভাবনা রয়েছে বৃষ্টির। এমনকি আগামী কাল অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অর্থাৎ এবার পুজোয় দুর্যোগের ভ্রূকুটি কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ষষ্ঠী অর্থাৎ বোধনের বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে নবমী থেকে বৃষ্টি বাড়ার প্রবণতা প্রবল, যা চলবে দশমী পর্যন্ত।

পুজোতে এই বৃষ্টিপাতের কারন হিসাবে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ না থাকলেও রাজ্যজুড়ে রয়েছে বিপুল পরিমাণে জলীয়বাষ্প। যে কারণে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হয়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে।

বাবুল হেনস্থার দেবাঞ্জনের ছিঁড়লো জামা, আক্রান্ত বর্ধমানে

নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এভিবিপির একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে যাওয়ার সময় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম সমর্থক পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের সময় দেবাঞ্জন বল্লভ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ছাত্র সরাসরি বাবুল সুপ্রিয়কে নিগৃহীত করেন বলে অভিযোগ। মাস পেরোতে না পেরোতেই সেই অভিযুক্ত ছাত্র দেবাঞ্জন আক্রান্ত বলে দেবাঞ্জনের অভিযোগ।

দেবাঞ্জনের অভিযোগ অনুযায়ী বুধবার বর্ধমানের আলিশা বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিজেপি সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার বান্ধবীও। ঘটনার পর রাতেই দেবাঞ্জন বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

দেবাঞ্জনের অভিযোগ, “কলকাতা যাওয়ার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় বর্ধমানের আলিশা বাসস্ট্যান্ডের বাসে উঠতেই অতর্কিতে হামলা চালায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ব্যাপক চর, কিল, ঘুষি মারা হয়। এরপর একজন বিজেপি নেতা এসে বলে বাবুল সুপ্রিয়কে আক্রমণ করার জন্য তাকে ছাড়া হবে না।”

প্রসঙ্গত, বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্তার ঘটনায় দেবাঞ্জনের ক্যান্সার আক্রান্ত মা বাবুল সুপ্রিয়কে আর্জি জানিয়েছিলেন ছেলেকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য। এই আর্জিতে ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এমনকি বাবুল সুপ্রিয় দেবাঞ্জনের মাকে ‘মাসীমা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন ও প্রণাম জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু তারপরেও দেবাঞ্জন তার আন্দোলনে অনড় সে কথা প্রকাশ করেছিল তার ফেসবুক পোস্টে।

রাস্তার পাশে অসুস্থ তরুনীকে দেখে গাড়ি থামিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখালেন তাঁর মানবিকতা। বছর আটেক ধরে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হয়েও যে কোন মুহূর্তে তিনি মানুষের জন্য পথে নামতে পারেন তা আবার প্রমাণিত করলেন তিনি। আর সেই প্রমাণ পাওয়া গেল চতুর্থীর দিন। দেবীপক্ষের মমতা ব্যানার্জি স্বয়ং মমতাময়ী।

আজ চতুর্থীর দিন পুজো উদ্বোধন করে ফেরার পথে চেতলার কাছে এক অসুস্থ তরুণীকে দেখতে পান তিনি। দেখতে পেয়েই সমস্ত প্রোটোকল ভেঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। পৌঁছে যান ওই অসুস্থ তরুণের কাছে, দ্রুত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা জন্য হাত বাড়িয়ে দেন।

ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত পূজামণ্ডপ সুরুচি সংঘের পুজো উদ্বোধন করে নবান্নের দিকে ফিরছিলেন। ঠিক সেসময় চেতলা থেকে বেরিয়ে দুর্গাপুর ব্রিজ ধরেন। সেসময় নিউ আলিপুরের কাছে রাস্তায় আচমকাই দেখতে পান ওই অসুস্থ তরুণীকে। তখনই তিনি গাড়ি থেকে নেমে পড়েন।

মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। মুখ্যমন্ত্রী তাকে তড়িঘড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ওই অসুস্থ তরুণীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অসহায় অসুস্থ মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী এভাবে নিজের সাহায্য করেছেন শুনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ওই তরুণীর পরিবার।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মানবিক আচরণ এই প্রথম নয়, এর আগেও কয়েকবার তাকে দেখা গিয়েছে মানুষের পাশে ঠিক এভাবেই দাঁড়াতে। কখনো তিনি তাঁর কনভয়কে সরিয়ে রাস্তা করে দিয়েছেন যাত্রীবাহীবাস যাওয়ার জন্য, কখনো আবার ভরপুর শীতে জয়দেব মেলায় এসে নিজের পরনের শাল দিয়েছেন দুঃস্থ দরিদ্র বৃদ্ধ মহিলার গায়ে।

বৃষ্টি! পুজোতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস হওয়া অফিসের

নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়ার পরিস্থিতি। সকালে বৃষ্টি না হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও, বিকালেই আবার তা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। পুজো চার দিন বৃষ্টি নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দেখতে বাঙালিরা।

আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুজো চার দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এরাজ্যে। যদিও কোন ঘূর্ণাবর্ত বা সিস্টেম সক্রিয় নেই, তা সত্ত্বেও রাজ্যজুড়ে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প রয়েছে। যার ফলেই পুজোতে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হতে পারে, হতে পারে স্বল্পমেয়াদী বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি কলকাতাসহ রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন, “পুজোর সময় টানা দীর্ঘ বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে বিক্ষিপ্ত স্বল্পমেয়াদী বৃষ্টি হতে পারে। ১ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। কিন্তু ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ৭ ও ৮ তারিখ বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ওই সময় সমুদ্রে উচ্চচাপ জোন তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।”

তবে এরই মাঝে ভালো খবর এটাই যে, পুজোর দিনগুলিতে যদিবা বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে তা সকাল থেকে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিকাল অথবা সন্ধ্যার দিকে ঠাকুর দেখার আনন্দে ভাটা পড়বে না বলেই অনুমান।

পুজোর এই দিনগুলিতে বৃষ্টিপাত হওয়ার মূল কারণ হিসেবে রাজ্যজুড়ে বিপুল পরিমাণে জলীয়বাষ্পের আধিপত্য। কোনরকম ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ না থাকলেও এই জলীয়বাষ্পের কারণেই এই বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টিতে বৃষ্টির আশঙ্কা।

সুখবর: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন বাড়লো আড়াই গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : শুধু সরকারি কর্মচারী নয়, পুজোর আগে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন নিয়েও সুখবর দিল রাজ্য সরকার। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো তৈরির পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশনের নতুন পরিকাঠামো নিয়ে মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ২০১৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন যা ছিল, তা ২.৫৭ গুণ বেড়ে যাবে। কোন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর বেসিক পেনশন ৩৩০২ টাকা থাকলে তিনি ৮৪৮৬.১৪ টাকা পাবেন। তবে সেই টাকা রাউন্ড অফ করে ৮৫০০ টাকা দেওয়া হবে।

নতুন এই পেনশন কাঠামো পূর্বঘোষিত সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোর মতোই ২০২০ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে লাগু হবে। এছাড়াও বাড়ানো হয়েছে পেনশনের উর্ধ্বসীমার গন্ডিও। পেনশনের উর্ধ্বসীমা ৩৫০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৫০০ টাকা করা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও রিভিশন অফ পে এন্ড অ্যালাউন্সে বলা হয়েছে পেনশনভোগী ৮০ থেকে ৮৫ বছরের মধ্যে হলে পেনশনের উপর আরো ২০ শতাংশ টাকা পাবেন। ৮৫ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে হলে আরো ৩০ শতাংশ টাকা পাওয়া যাবে। আর কোনো পেনশনভোগী বয়স ১০০ বছর পেরিয়ে গেলে বর্ধিত পেনশন পরিকাঠামোর উপর ১০০% অতিরিক্ত পেনশন পাওয়া যাবে।

পুজোর আগে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন পরিকাঠামোর এমন পরিবর্তন নিয়ে স্বভাবতই খুশির হাওয়া পেনশনভোগীদের মধ্যে।

পুজোর আগে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, বাড়লো গ্যাসের দাম। জানেন কত?

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজোয় আর হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন। আর তার আগেই মধ্যবিত্তের হেঁসেলে আগুন। মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়ে বাড়লো গ্যাসের দাম। গতমাসে দাম বাড়ার পর আবার এ মাসে এক ধাক্কায় ভর্তুকি সিলিন্ডারে দাম বাড়লো ১৫ টাকা। আজ পয়লা অক্টোবর থেকে ভর্তুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কার্যকরী হলো।

গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমেই দাম বেড়েছিল ভর্তুকিহীন গ্যাসের। এরপর ফের অক্টোবর মাসে দাম বাড়লো ভর্তুকিহীন গ্যাসের সিলিন্ডারের। সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ মাসে দাম বেড়েছে ১৬.৫০ টাকা প্রতি ১৪.২ কিলোগ্রাম সিলিন্ডার পিছু।

গত মাসে যে সিলিন্ডার কলকাতায় মিলতো ৬০১ টাকায় তার জন্য এই মাস থেকে গুনতে হবে ৬১৬.৫০ টাকা। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সাথে পাল্লা দিয়ে পরপর দু মাসে দু’দফায় বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। তবে তার আগে সব মিলিয়ে রান্নার গ্যাসের দাম কমিয়েছিল ১৬৩ টাকা।

আইওসির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বিদেশি মুদ্রার মূল্য ওঠা পরা, মুদ্রাস্ফীতির কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পেট্রোপণ্য নিয়ে কেন্দ্র সরকারের নতুন নীতির ফলে প্রতি মাসেই এলপিজির দাম বাড়া কমা করে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে ভারতের বাজারে দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে দামের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও নির্ভর করে ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়ামের মতো বড় বড় সংস্থার উপর। আর এই দাম বাড়া কমার ফলে যারা ভর্তুকির বাইরে তাদের কপালে দামের কপিটা পড়ে বেশি।

রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বছরে ১২টি সিলিন্ডার পাওয়া যায় ভর্তুকি সহ। তার থেকে বেশি সিলিন্ডার নিতে বলে ভর্তুকি ছাড়াই গ্রাহককে নিতে হয়। আর এমতো অবস্থায় পুজোর আগে গ্যাসের দাম কিছুটা হলেও বৃদ্ধিতে ব্যাজার মুখ আমজনতার।

পুজোর আগে বৃষ্টি নিয়ে খুশির খবর দিলো আবহাওয়া দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালিদের প্রানের পূজা দুর্গোত্সবের প্রাক্কালে খুশির খবর হাওয়া অফিস। আগামী ২৪ ঘন্টা থেকে বৃষ্টি কমবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তৃর্ণ জেলায়। দিন কয়েকের নিম্নচাপের জেড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। পাশাপাশি দুর্গাপুজোয় বৃষ্টি নিয়ে দেখা দিয়েছিল অশনিসংকেত।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের আবহাওয়ার উন্নতি হবে। দিন কয়েকের বৃষ্টি তুলনায় বিপুল পরিমাণে বৃষ্টি কমবে। দেখা মিলবে রোদেরও। তাপমাত্রাও বাড়বে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়ার উন্নতি হলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা একেবারেই থাকছে না এমনটা নয়। হওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তর প্রদেশ থেকে নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত পর্যন্ত অবস্থান করার কারণে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

তবে খুশির খবর এই যে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও ২৪ ঘন্টা পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের সহ অধিকর্তা গনেশ দাস।

বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি দিনের বেশিরভাগ সময় আকাশ মেঘলা থাকবে। যে কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বজায় থাকবে।

প্রকাশ্যে ধূমপান, গুটখা নিষিদ্ধ হল পশ্চিম বর্ধমানে, জরিমানা ২০০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠীর নির্দেশে প্রকাশ্যে ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। শুধু প্রকাশ্যে ধূমপান নয়, নিষিদ্ধ হলো গুটখাও। এই সিদ্ধান্ত ২৭ শে সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকরী হয়েছে জেলার সমস্ত প্রান্তে।

জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি জেলার সরকারি দপ্তর, স্কুল শিক্ষক ও কলেজ অধ্যাপকদের নিয়ে বৈঠক করে এমন নির্দেশিকা জারি করেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো পশ্চিম বর্ধমানে।

ধূমপান এবং গুটখা নিয়ে জেলাশাসকের সেই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে প্রত্যেকটি দপ্তরে। এই নির্দেশিকা কার্যকরী করার জন্য জেলাশাসক কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। সচেতনতা বাড়াতে প্রাথমিকভাবে এই নির্দেশিকা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বোর্ড এবং ফ্লেক্সের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। আর এই নির্দেশিকা কেউ না মেনে প্রকাশ্যে ধূমপান করলে তাকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।

জেলাশাসকের তরফ থেকে জানানো হয়, শহরকে সিগারেট, গুটখা মুক্ত করতেই এমন পদক্ষেপ। জরিমানা হিসাবে প্রকাশ্যে ধূমপানকারীকে ২০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সূত্রের খবর এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১২ জন জরিমানার সম্মুখীন হয়েছেন।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ধূমপান থেকে ক্যান্সারের প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। শুধু ধূমপান করছেন তার নয়, পাশে থাকা ব্যক্তিরও চরম ক্ষতি হতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্তকে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

জেলার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা, বন্যার জলে ভেসে এলো বোম

অমরনাথ দত্ত : বোমও এখন খড়-কুটো। দুদিনের টানা বৃষ্টিতে তাই খড় কুটোর মতো ভেসে উঠলো ড্রাম ভর্তি বোমা। যেমন বন্যার জলে ভেসে আসে খর-কুটো ঠিক তেমনই বোমেরও হাল।

আর এমনই ঘটনা ঘটলো বীরভূমের দ্বারকা গ্রামে। দ্বারকা গ্রামে নদীর জলে ভেসে আসা দুই ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করলো লাভপুর থানার পুলিশ। প্রায় ৮০ টি বোমা ছিল। পরে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।

এদিন দুপুরে লাভপুরের গুনুটিয়া গ্রামের কাছে নদীর জলে মুখ বন্ধ প্ল্যাস্টিকের ড্রাম ভেসে আসতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ড্রাম গুলি উদ্ধার করে খুলে দেখে প্রায় ৮০ টি মত তাজা বোমা রয়েছে। পরে বোলপুর থেকে সিআইডি বম্ব স্কয়াডের প্রতিনিধিরা গিয়ে বোমাগুলি ফাঁটিয়ে নিষ্ক্রিয় করে।

এই ঘটনায় একটি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে। কোথা থেকে এই বোমাগুলি এলো তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

খালা খন্দে ভরা জাতীয় সড়ক, যাতায়াতে প্রাণ ওষ্ঠাগত যাত্রীদের

লাল্টু : বারংবার বীরভূমের উপর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ সত্ত্বেও সেভাবেই কাজ করতে দেখা যায় না জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। আর এবার পুজোর আগে জাতীয় সড়কের যা অবস্থা তাতে যানবহনের পরিবর্তে গরুর গাড়ি চালানোই শ্রেয় বলে মতামত পথচলতি মানুষের।

জাতীয় সড়কের এই বেহাল দশার কারণে আধ ঘন্টার রাস্তা পরিণত হয়েছে দু ঘন্টায়, পাশাপাশি প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে দুর্ঘটনার। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, বারবার জাতীয় সড়ক অথরিটিকে জানানো সত্ত্বেও সে ভাবে তারা ভ্রূক্ষেপ করেন না। কেবলমাত্র কিছু পাথর আর ডাস্ট দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালায়। ফলে আবার কিছুদিনের মধ্যেই বেহাল দশায় পরিণত হয়।

জাতীয় সড়কের এই বেহাল অবস্থা বীরভূমের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেশিরভাগ অংশেই। যে কারণে দিনের পর দিন যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যাওয়া যাত্রীদের, এমনকি বেহাল অবস্থা এতটাই যে যাতায়াতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে যাত্রীদের।

আর জাতীয় সড়কের এই করুণ দশার জন্য দুর্বিষহ অবস্থা বীরভূমের দুবরাজপুরের শহরবাসীদের। কারণ এই ছোট শহরের মধ্য দিয়েই চলে গেছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। শহরের মধ্যে পাঁচ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের তিন কিলোমিটার রাস্তাই খানাখন্দে ভর্তি। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও এই রাস্তা নিয়ে তিতিবিরক্ত।

এলাকার প্রাক্তন পৌরপতি পীযুষ পান্ডে জানান, “আমরা বারবার ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটিকে জানানো সত্ত্বেও তারা সেভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলত সমস্যাই শহরের বাসিন্দারা, শুধু শহরের বাসিন্দারাই নয়, সমস্যায় রয়েছেন পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ড থেকে আগত মানুষেরাও।”

তিনি আরও জানান, “পুজোর পরেও যদি রাস্তার এমন হাল থাকে তাহলে আমরা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে বড়সড় আন্দোলনে নামবো।”

বিরল অস্ত্রোপচার, কিশোরীর পেট থেকে বের হলো ১ কেজি চুল

নিজস্ব প্রতিবেদন : পেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এক কিশোরী। নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা যায় পেটের মধ্যে রয়েছে চুলের বড় বল। অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে পাথর বা টিউমার নয়, বের হলো এক কেজি পরিমাণ চুল। অবাক করা এই ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

কিন্তু এই কিশোরীর পেটে চুল গেল কিভাবে? জানা গিয়েছে, চুল খাওয়ার অভ্যাস ছিল পূর্ব বর্ধমানের মাধবদিহি থানার তৈরালার ১৪ বছরের ওই কিশোরীর। একদিন দুই দিন নয়, গত তিন বছর ধরে চুল খেয়ে আসছিল সে। আর সেই চুল জমা হচ্ছিলো তার পেটে।

ওই ছাত্রীর কাকু জানিয়েছেন, তাঁর ভাইঝি যে চুল খায়, জানতেনই না তার বাবা-মা। মাসখানেক আগে কিশোরীর পেটে ব্যথা শুরু হয়। যা খেত, সব বমি হয়ে যেত। স্থানীয় চিকিৎসক সিটি স্ক্যান এবং এন্ডোস্কোপি করতে বলেন। তাতেই দেখা যায়, পাকস্থলী জুড়ে রয়েছে চুলের গোছা। অবিলম্বে কিশোরীকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক। সেই মতো রবিবার কিশোরী ও তার পরিজনেরা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আসেন। রোগীর রিপোর্ট দেখে তখনই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন জেনারেল সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক আরএমও সুমন সাহা।

চিকিৎসকদের মতে, চুল খাওয়ার বদভ্যাস এক ধরনের মানসিক রোগ। সচেতনতার অভাবে রোগী মৃত্যুর মত ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। মানসিক রোগের অভিধানে চুল ছেঁড়ার প্রবণতাকে ‘ট্রাইকোটিল্লোম্যানিয়া’ বলা হয়। আর চুল খেয়ে ফেলার রোগের নাম ‘ট্রিকোবেজোর’। সেই চুল পেটের মধ্যে জমতে জমতে দীর্ঘাকৃতি হলে বলা হয়, ‘র‌্যাপুনজেল সিন্ড্রোম’।

সুমন সাহার নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এই বিরল অস্ত্রোপচার করলেন। পৃথিবীতে এই অস্ত্রোপচার বিরল। এই অস্ত্রোপচার ৪৩ তম অস্ত্রোপচার বলে দাবি চিকিৎসকদের।

সুমনবাবু বলেন, “ওই কিশোরীর পেটের সামনের অংশ ফোলা ছিল। পেটের মধ্যে থাকা চুল পাকস্থলীর বেশিরভাগ অংশে জুড়ে গিয়েছিল। যার ফলেই খাদ্যনালী আটকে সমস্যা দেখা দেয়। সারা বিশ্বে এধরনের রোগের নজির খুব কম। কিশোরী আপাতত সুস্থ। পুরো সুস্থ হলে তার মানসিক রোগের চিকিৎসার প্রয়োজন।’’

বছর পাঁচেক আগে কসবার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর পেট থেকে আড়াই কেজি চুল বার করেছিলেন শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এর আগে লুধিয়ানার মহাভিরা সিভিল হাসপাতালেও এক তরুনীর পেট থেকে বের হয় এমন চুল। পাকিস্তান থেকে ২২ সেন্টিমিটার ও ৮ সেন্টিমিটার সাইজের একটি চুলের বল উদ্ধার করেছিলেন চিকিৎসকরা। ২০১৭ সালের মুম্বাইয়ে এই ঘটনার নজির দেখা মিলেছিল। এক মহিলার পেট কেটে সাড়ে ৭০০ গ্রাম ওজনের চুল অস্ত্রপ্রচার করে বের করেছিলেন চিকিৎসকরা। মধ্যপ্রদেশেও এক মহিলার পেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ১.৫০ কেজি ওজনের চুলের বল।

ষষ্ঠী থেকে দশমী চিন্তায় বৃষ্টি, কি বলছে আবহাওয়া দপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙ্গালীদের প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজোর চারটি দিনের জন্য মাসের পর মাস ধরে সকলেরই থাকে অপেক্ষা, তৈরি করা হয় কত প্ল্যান, কেনাকাটি আরো কতকিছু। কিন্তু এবারের এই পুজোয় মহিষাসুর আগাম হাজির বৃষ্টি।

আর মাত্র কয়েকটা দিন, সূচনাও হয়ে গেছে দেবীপক্ষের। অথচ মহালয়ার দুদিন আগে থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি থামার কোনো নামগন্ধ দেখা যাচ্ছে না। পুজোর আগে এমন মুষলধারায় বৃষ্টিতে বিষাদের কালো মেঘ জমেছে বাঙ্গালীদের মনে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মৃৎশিল্পী, পুজো উদ্যোক্তরা সকলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন কখন ছাড়বে বৃষ্টি। তবে হাওয়া অফিস শোনাচ্ছে অন্য কথা।

হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন বিষাদে ভরতে পারে বাঙ্গালীদের মন। এই পাঁচ দিনও বৃষ্টি থামার লক্ষণ দেখছে না তারা। আসলেই প্রকৃতিকে বাঁধ দেওয়ার ক্ষমতা কারোর নেই।

হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের উপর মৌসুমী বায়ু অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে। এছাড়াও রয়েছে আরো বড় আশঙ্কা, বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব উপকূলে তৈরি হয় নিম্নচাপ, যে নিম্নচাপের প্রভাবের বৃষ্টি ভেস্তে দিতে পারে পুজোর আনন্দকে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, এবছর মহালয়ায় বৃষ্টির আশঙ্কার কথা। এমনকি তারা এও জানিয়েছিল দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি বৃষ্টি হবে বীরভূমে। সেই পূর্বাভাসকে বাস্তব করে অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, রাতভর বৃষ্টি সম্মুখীন বীরভূম এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি।

যে নিম্নচাপ অক্ষরেখা এই মুহুর্তের পশ্চিমবঙ্গের উপর সক্রিয় রয়েছে, সেই নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত। যে কারণে রবিবার থেকে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে। এমনিতেই নিজেদের পূজামণ্ডপের কাজ নিয়ে চিন্তিত পুজো উদ্যোক্তারা। তারপর আবার নতুন করে এমন অশনিসংকেত আরও বেশি চিন্তায় ফেলেছে তাদের ও আপামর বাঙালিদের।

পুজোয় সুরাপ্রেমীদের জন্য খুশির খবর, রইলো না ঝঞ্ঝাট

নিজস্ব প্রতিবেদন : দুর্গা পুজো মানেই বাঙ্গালীদের সবথেকে বড় হৈহুল্লোড়ের উৎসব। আর এই উৎসব যে যার মত কাটাতে পছন্দ করেন। পুজোর মুখে লাগামছাড়া বৃষ্টিতে যখন মন মরা বাঙালিরা, ঠিক তখনই সূরা প্রেমীদের জন্য এলো বড়ই সুখবর। পুজোর দিনগুলিতে খোলা থাকবে রাজ্যের সবকটি মদের দোকান।

অক্টোবর মাসের ২ তারিখের পর থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের থাকে লম্বা ছুটি। কিন্তু এই ছুটির মরসুমেও বন্ধ থাকবে না একটিও মদের দোকান।

আগে পশ্চিমবঙ্গে ১২ দিন মদের দোকান বন্ধ থাকতো বছরে। যার মধ্যে পুজোর কয়েকটা দিনও ছিল। তবে মমতা সরকার ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের শাসনে আসার পর এই নিয়মের পরিবর্তন করেন ২০১৬ সালে। বন্ধের সংখ্যা কমিয়ে করা হয় মাত্র সাড়ে চার দিন। যে সাড়ে চার দিন এরাজ্যে মদের দোকান বন্ধ থাকে সেগুলি হল ২৬ শে জানুয়ারি, ১৫ই আগস্ট, ২রা অক্টোবর, মহরম এবং দোলের দিন দুপুর দুটো পর্যন্ত।

আর এমন সুসংবাদে খুশির হাওয়া সূরা প্রেমী মানুষদের মধ্যে। পুজোতে পুরো পরিষেবা মেলায় আর তাদের ঝঞ্ঝাট পোওয়াতে হবেনা।

বাজ পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি দুই গৃহবধূ

হিমাদ্রি মন্ডল : দিনভর চলতে থাকা ঝিম ঝিম বৃষ্টির মাঝে দুপুর দুটো নাগাদ হঠাৎই শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ-এর কারণে জেলার দুই প্রান্তে আহত হয় দুই গৃহবধূ। অপরদিকে মৃত্যু হয়েছে একটি গবাদিপশুরও। দুই গৃহবধূকে ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের একজন ফুলন মাল, তিনি সিউড়ি থানা এলাকার ইন্দ্রগাছা গ্রামের বাসিন্দা। গবাদি পশু মাঠে নিয়ে যাওয়ার সময় বজ্রবিদ্যুৎ-এর আঘাতে আহত হন। মারা যায় মাঠে নিয়ে যাওয়া একটি গবাদি পশু। অপরজন হলেন ফাগু দলুই, তিনি সিউড়ি থানা এলাকার বাতাসপুরের বাসিন্দা।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর দুদিন আগেই জানিয়েছিল, শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হবে। পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ-এর সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছিলেন তারা। আবহবিদেরা জানিয়েছিলেন অন্যান্য জেলার থেকে বীরভূমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবথেকে বেশি থাকবে।

বজ্রবিদ্যুৎ-এর কারণে জেলার অন্যকোন প্রান্ত থেকে আর কোনো বড়সড় দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

গুজব রুখতে পুলিশের জনসাধারণকে বিশেষ আবেদন, গুজব ছড়ালে কড়া শাস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে গুজব। আর সেই গুজবের পাল্লায় পড়ে ছেলেধরা সন্দেহে একের পর এক নিরীহ মানুষ গণ প্রহারের শিকার হচ্ছেন। এমত অবস্থায় রাজ্য পুলিশ তথা বীরভূম জেলা পুলিশ জনগণের কাছে বিশেষ আবেদন রেখেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কিছু ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে ছেলেধরা সংক্রান্ত গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

১) দয়া করে গুজব ছড়াবেন না বা গুজবে কান দেবেন না।

২) অজানা, অচেনা কোন ব্যক্তিকে কোনরকম সন্দেহজনক মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিন।

৩) গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তির প্রতি নজর রাখুন।

৪) আইন নিজের হাতে নেবেন না বা কাউকে হাতে নিতে প্ররােচনা দেবেন না।

৫) সচেতন ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিক হিসাবে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশকে সহায়তা করুন।

৬) পুলিশ সর্বদা আপনার পাশে আপনার সাথে।

৭) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত বিভিন্ন বিভ্রান্তি মূলক খবর থেকে সকলে সচেতন থাকুন।