করোনা ঠেকাতে কোন পথে হাঁটবে কেন্দ্র, লকডাউন! খোলসা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথম দফা করোনা সংক্রমণের থেকেও বেশি আক্রান্ত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে। আর এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপুল আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন রাজনৈতিক মিটিং মিছিল সমাবেশ এবং সাধারণ মানুষের গা-ছাড়া মনোভাব।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২,৩৩৯ জন। পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০২৭ জন। এমত পরিস্থিতি যখন মহারাষ্ট্র ১৫ দিনের জন্য কার্ফু জারি করেছে তখন আমজনতার মধ্যে একটাই প্রশ্ন ঘুরছে তাহলে কি ফের একবার দেশে লকডাউন জারি হতে চলেছে! আর এই বিষয়টিকেই খোলসা করতে দেখা গেলো কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে।

বিশ্ব ব্যাঙ্ক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক চলাকালীন প্রশ্ন উঠলে নির্মলা সীতারামন জানান, “আপাতত নতুন করে বড়োসড়ো লকডাউনের পথে হাঁটবে না কেন্দ্র। পরিস্থিতি বুঝে গুরুত্ব অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে আইসোলেশন অর্থাৎ ছোট ছোট করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং কেন্দ্র রাজ্যগুলির সাথে পৃথক ভাবে কথা বলছে।”

[aaroporuntag]
অন্যদিকে দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ১৫ দিনের জন্য জনতা কারফিউয়ের ডাক দিয়েছেন। রাত্রি ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এই সময় বিনা কারণে কেউ রাস্তায় বের হতে পারবেন না। পাশাপাশি সমস্ত রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে, তবে চালু থাকবে হোম ডেলিভারি। অন্যদিকে গত বছরের মতো স্কুল-কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ থাকবে সিনেমা হল থেকে অন্যান্য সাংস্কৃতিক মঞ্চ এবং শুটিংয়ের কাজ। এছাড়াও আরও একাধিক বিধি-নিষেধ জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।