ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ জেলায় জেলায়

হিমাদ্রি মণ্ডল : বাংলার একুশের বিধানসভা নির্বাচন স্বচ্ছ এবং শান্তির পরিবেশে করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এই দীর্ঘ প্রতিজ্ঞতা থেকে তারা আগাম দফায় দফায় বৈঠকে কড়া বার্তা দিয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। পাশাপাশি ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই শনিবার রাজ্যে আসে ১২ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী। যাদের ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। আর শুধু মোতায়েন নয়, পাশাপাশি রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেল এই সকল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ।

রবিবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনা জওয়ানরা বীরভূমের সিউড়ি ২ নং ব্লকের সদাইপুর থানার সাহাপুরের সিলারপুর, কুইঠা সহ একাধিক গ্রামে রুটমার্চ করেন। ৪৫ জন সেনা জওয়ান এই রুট মার্চে সামিল হয়েছেন। যদিও শনিবারই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে রুট মার্চ করা হয় নলহাটির একাধিক এলাকায়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে বীরভূমে শনিবার দুই কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি খয়রাশোল এবং নলহাটি এই দুই এলাকায় যে দুই কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী সারা বছর থাকে তাদেরও কাজে লাগানো শুরু হয়েছে। অর্থাৎ ভোট ঘোষণার আগেই বীরভূমে মোট চার কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের কাজ শুরু করে দিলো। এছাড়াও জানা যাচ্ছে আগামী দিন কয়েকের মধ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই আরও তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বীরভূমে।

তবে শুধু বীরভূম নয়, রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে যেখানে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে সেই সকল জায়গাগুলিতেও রবিবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ শুরু করে দিয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বর্ধমানের কার্জন গেট থেকে এরিয়া ডমিনেশনের কাজ শুরু করে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলার রায়না, খণ্ডঘোষ সহ সব এলাকাতেই টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ এর আগে একাধিক নির্বাচন দেখেছে। তবে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে এইভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং তাদের রুট মার্চ শুরু করা আগে কেউ দেখেছে বলে মনে করতে পারছেন না। যে কারণে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন এবারের নির্বাচন অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা হলেও আলাদা নজির সৃষ্টি করবে।