চার বারের সাংসদ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত করোনায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন দিল্লির এইমস হাসপাতালে। বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৫ বছর। তিনি প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রি ও চতুর্থ সাংসদ যিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন।

এই বিজেপি নেতা, ১৯৫৫ সালে কর্ণাটকের বেলগাম জেলার কেকে কোপ্পা গ্ৰামে জন্মগ্ৰহণ করেন।সমিতি কলেজ অফ কমার্স থেকে স্নাতক উপাধি পান। এরপর তিনি প্রেস্টিজিয়াস রাজা লখমগৌড়া কলেজ থেকে আইন পাস করেন। বেলগাম জেলা থেকে তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়।‌ ১৯৯৬ সালে বেলগাম জেলায় ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে বেলগাম জেলায় প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বভার পালন করেন। ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর সাংসদ নির্বাচিত হন। চতুর্থবারের জন্য বিজেপি ক্ষমতায় এলে তিনি কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব ভার গ্ৰহণ করেন।

তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি শোকপ্রকাশ করে জানান, “কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গাদির মৃত্যুতে আমি শোকস্তব্ধ। কর্ণাটকের বেলগাম সংসদ এলাকার মানুষের জন্য তিনি নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করেছেন।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে জানান, “সুরেশ অঙ্গাদি একজন অসাধারণ কার্যকর্তা। কর্ণাটকে বিজেপিকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাঁর মৃত্যু আমাদের কাছে বেদনাদায়ক। তাঁর পরিবারের পাশে আমরা সবসময় আছি।”

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, “বিশ্বাসই করতে পারছিনা, সুরেশ অঙ্গাদি আর নেই। নিজের কাজে অসাধারণ দক্ষ ও দায়িত্বশীল ছিলেন তিনি। আমরা তাঁর মতো মূল্যবান এক সহকর্মীকে সবসময় মিস করবো।”

সুরেশ অঙ্গাদির মৃত্যুতে দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে বিজেপির যে জয়যাত্রা শুরু হয়েছিল তা কিছুটা থমকে যাবে বলেই দেশের রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

প্রসঙ্গত, রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি গত ১১ই সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। উনি নিজেই ট্যুইট করে লিখেছিলেন যে, “আমার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। আমার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। ডাক্তারদের পরামর্শ মতো চলছি। বিগত কয়েকদিনে যারা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের অনুরোধ করছি যে, কোনওরকম লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে যান।”