চায়ের দোকানে চা বানিয়ে ফোটানোর কৌশল শেখালেন মুখ্যমন্ত্রী, ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীঘার সমুদ্র সৈকতে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণে কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে সমুদ্র সৈকতকে। পুলিশ প্রশাসন থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা সকলেই সতর্ক। কিন্তু তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কখন কি করে বসেন কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাই না। সেরকমই আজ দীঘার সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ ঢুকে পড়লেন একটি চায়ের দোকানে। আর তারপর….

নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের দোকানের দিকে আসতে দেখে হতচকিত দোকানদার। নিজের ঘোর কাটিয়ে অতিথি আপ্যায়নের কিছুটা চেষ্টা করলেন ওই দোকানদার। কিন্তু তার পরেই আরো বড় চমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।

দোকানে ঢুকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই চা বানানোর দায়িত্ব নিলেন। একেবারেই সাধারণ পাকাপোক্ত গৃহিণীর মতো এক হাতে ছাঁকনি এবং অন্য হাতে চায়ের লিকারের পাত্র নিয়ে বানিয়ে ফেললেন চা। রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে এইভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে চা বানাতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন স্থানীয় এবং ঘুরতে আসা মানুষজন। তখন সকলেই এমন মুহূর্তকে নিজেদের মোবাইল বন্দি করতে ব্যস্ত।

শুধু তাই নয়, নিজের হাতে চা বানানোর পর ওই চায়ের দোকানে বসে চা খেলেন তিনি। এ যেন মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নয়, ‘দিদি’র ভূমিকা। চা খেতে খেতে স্থানীয়দের সাথে কথাও বললেন তিনি। সাথে সাথে তিনি এও বলেন, “আমি আগেও চায়ের দোকানে বসতাম৷ এখান থেকেই তো মানুষের সব কথা শোনা যায়, মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়৷”

লোকসভা ভোটের নির্বাচনে বিজেপির বাংলায় বাড়বাড়ন্তে জনসংযোগ বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে তৃণমূল। ভোট কৌশলী হিসাবে আনা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে। পাশাপাশি জোড় দেওয়া হয়েছে জনসংযোগ বাড়ানোয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী এমন জনসংযোগ বাড়ানোর প্রচেষ্টা রাজনৈতিক মহলে প্রশংসিত।

মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে চা বানানোর ঘটনাটি আজ বিকাল বেলায় ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের উদয়পুরে একটি চায়ের দোকানে। সাথে শিখিয়ে দিলেন কিভাবে চা বানাতে হয়। কতটা চা ফোটাতে হয়। নেত্রীর হাতে চা খেয়ে আপ্লুত সাংসদ শিশির অধিকারি, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷