নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট পরবর্তী হিংসায় জর্জরিত রাজ্য, একের পর এক রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। আর এই সকল জায়গায় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পুলিশকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ভাটপাড়া থেকে গুরাপ, বাঁকুড়া সমস্ত জায়গায়। এমনকি পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে পুলিশকে আক্রান্ত হতে। কোথাও আবার পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে গুলি চালাতে। এনিয়েই গত বুধবার পুলিশ কর্তাদের এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন পুলিশকে সতর্ক থাকার।
বুধবারের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিজি ছাড়াও চন্দননগর ও ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারেট কমিশনাররা। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা অথবা যে কোন রকম রাজনৈতিক হিংসা থামানোর জন্য পুলিশের ভূমিকা কি হবে তা নির্দিষ্ট করে দেন।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে, এমনকি বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের উপর চড়াও হচ্ছে আমজনতা। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পুলিশকে আরো সংবেদনশীল হতে হবে। পুলিশের উপর জনতার চড়াও হওয়ার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ গোলমালের জায়গায় নিজেদের রক্ষার্থে পুলিশকে বাধ্যতামূলকভাবে পড়তে হবে হেলমেট।
এমনকি গন্ডগোলের জায়গাতে পুলিশকে মেনে চলতে হবে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর। গোয়েন্দা সূত্রে খবর বিরোধীরা, আন্দোলনের নামে আরো বেশি আক্রমনাত্মক ভূমিকা নিতে পারে। তাই পুলিশকে সতর্ক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। অভিযোগ পুলিশের নিচতলার অনেক কর্মীরাই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর মেনে চলছেন না। আর এই প্রসিডিওর মেনে না চললে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, নিয়ম না মেনে কারোর ওপর গুলি চালানো যাবে না। প্রথমে শূন্যে গুলি চালাতে হবে, পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পা লক্ষ্য করে গুলি করবেন পুলিশকর্মীরা।
এছাড়াও গোয়েন্দা রিপোর্ট রয়েছে, বাইরে থেকে লোক ঢুকে এরাজ্যে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা চালানো হতে পারে। আর সে কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, পুলিশি নজরদারি আরো জোরদার করতে হবে কোথাও কোনো ফাঁকফোকর রাখলে হবে না।