চিনের নয়া কাণ্ড, পৃথিবীর বুকে খুঁড়ছে ৩২ হাজার ফুট গর্ত! পিছনে রয়েছে এই কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের চর্চায় চিন (China)। বিভিন্ন সময় এশিয়া মহাদেশের এই দেশটিকে চর্চায় থাকতে দেখা যায়। অর্থনৈতিক পরিকাঠামো, প্রযুক্তি থেকে অশান্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলোচনায় থাকে চীন। আর এবার নতুন করে এই দেশটি আলোচনায় এসেছে মূলত পৃথিবীর বুকে গর্ত (Hole on Earth) খোঁড়ার কাজ শুরু করার পরিপ্রেক্ষিতে। চীন ইতিমধ্যেই পৃথিবীর বুকে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। আর সেই গর্ত যেমন তেমন নয় ৩২ হাজার ফুটের বেশি গর্ত। ৩২ হাজার ফুটের বেশি গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করে দেওয়ার পর প্রত্যেকের মধ্যেই কৌতূহল তৈরি হচ্ছে কেন এমন গর্ত খুঁড়ছে চীন।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ৩২ হাজার ৮০৮ ফুট অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার মিটার গর্ত খুঁড়ছে চীন। এই গর্ত ঘিরে যেমন আমজনতার মধ্যে কৌতূহল তৈরি হচ্ছে ঠিক সেই রকমই পৃথিবীর কোন ক্ষতি অথবা বিশ্বের অন্যান্য দেশ এমনটার কারণে কোন ক্ষতির মুখোমুখি হবে কিনা তা নিয়েও আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে পৃথিবীর বুকে এমন গভীর গর্ত খোঁড়ার কাজ এই প্রথম নয় এর আগেও করেছে একাধিক দেশ।

পৃথিবীর বুকে দীর্ঘতম গর্ত খোঁড়ার নিরিখে সবার প্রথমে রয়েছে রাশিয়া। তারা ৪০ হাজার ২৩০ ফুট গর্ত খুঁড়ে রেখেছে। আর এবার চীন খুঁড়ছে ৩২ হাজার ৮০৮ ফুট। পৃথিবীর বুকে গর্ত খোঁড়ার নিরিখে চীন হতে চলেছে দ্বিতীয় দেশ। তবে প্রশ্ন হল এই গর্ত কেন খুঁড়ছে চীন? এর ফলে চীনের লাভ কি হবে?

পৃথিবীর বুকে এমন গভীর গর্ত খোঁড়ার ফায়দা রয়েছে অনেকগুলি। সেই সকল ফায়দা তুলতেই চীনের এমন পদক্ষেপ। এমন গভীরতম গর্ত খোঁড়ার ফলে শনাক্ত করা যাবে মাটির নিচে থাকা খনিজ সম্পদ এবং শক্তি সম্পদ। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ভূমিকম্প, অগ্নুৎপাত ইত্যাদি সম্পর্কে মূল্যায়ন করা যাবে। তবে এর ফলে কি কোন ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে অথবা অন্য কোন দেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে চলেছে?

ক্ষতির আশঙ্কা অথবা অন্য কোন দেশের কোনরকম ঝুঁকি রয়েছে কিনা তা সম্পর্কে এখনো কোনো কিছু স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে চীন যে এলাকায় এমন খননকার্য চালাচ্ছে তা হল সিনঝিয়াং প্রদেশে। এই এলাকায় বিপুল পরিমাণ খনিজ তেল মজুত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যারা যাচ্ছে এই খননকার্য চালাকালীন নানা স্তর পেরিয়ে একেবারে প্রায় দেড়শো কোটি বছর আগের ক্রিটেশিয়াস যুগের পাথর পর্যন্ত নেমে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।