মুখ্যমন্ত্রীই অনুপ্রেরণা, সিউড়িতে তেলেভাজার দোকানের নাম ‘চপ শিল্প’

নিজস্ব প্রতিবেদন : কথায় আছে ‘নামেই সব’। আর তাকে পাথেয় করেই নিজের ব্যবসা শুরু করলেন সিউড়ির এক শিক্ষিত বেকার যুবক। বীরভূমের সিউড়ির ওই বেকার যুবক সম্প্রতি একটি তেলেভাজার দোকান করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ওই তেলেভাজার দোকানের নাম রেখেছেন ‘চপ শিল্প’। অন্ততপক্ষে ওই যুবকের কথায় এটাই স্পষ্ট।

এমন নতুন ধরনের নামের এই তেলেভাজার দোকানটির দেখা মিলবে সিউড়ির মাদ্রাসা রোডে। ওই দোকানের কর্ণধার আফতাব উদ্দিন খান জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন নবান্নে বলেছিলেন, ‘আমার পাড়ায় কয়েকটি তেলেভাজার দোকান আমি চিনি, যাঁরা তেলেভাজা বিক্রি করে চার-পাঁচ-দশতলা বাড়ি করেছেন। বড় ব্যবসাও করছেন। ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।’ এই কথাটি আমার খুব মনে লেগেছিল। শিক্ষিত বেকার যুবক হিসাবে আমার সেই কথা মনে লাগার পরেই আমি সিদ্ধান্ত নিই একটি তেলেভাজার দোকান করার। ধীরে ধীরে সেই দোকান করেছি এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই নাম রেখেছি ‘চপ শিল্প’।”

সিউড়ির স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নতুন ধরনের নাম দেওয়া এই তেলেভাজার দোকানের একটি পোস্টার প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। এখন বহু মানুষ এই নামের দৌলতেই এই দোকানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। অন্ততপক্ষে একবার দেখে যাওয়ার আশায় অনেকেরই আনাগোনা শুরু হয়েছে।

তবে দোকানের মালিক আফতাব উদ্দিন খান জানিয়েছেন, “শুধু নামের ক্ষেত্রেই নয়, আমি আমার দোকানের প্রতিটি জিনিসপত্রের গুণগতমান অন্যান্য দোকানের তুলনায় অনেকটাই ভালো রাখার চেষ্টা করছি। যদিও বর্তমানে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে গুণগতমান ভালো রাখার ক্ষেত্রে হোঁচট খেতে হচ্ছে, তবে চেষ্টা চলছে। আর এই কারণেই বহু ক্রেতর আগমণ ঘটছে।”

দোকানটির নাম চপ শিল্প হলেও এই দোকানে এখন সকাল থেকেই টিফিনের জন্য নানান ধরনের খাবার তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে বেগুনি, সিঙ্গাড়া, ঘুগনি মুড়ি, ডালপুরি, বাটার টোস্ট, চা এসব। আর এই সকল কিনতে অথবা খেতে আসা খরিদ্দারদের মুখে একটি কথা, ‘বীরভূম তো দূরের কথা, পশ্চিমবঙ্গের এমন নামের দোকান খুঁজে পাওয়া মুশকিল’।