জিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিআইডির জেরার মুখে বিউটি পালের বাবা মা

হিমাদ্রি মণ্ডল ও অমরনাথ দত্ত : মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে একই পরিবারের তিনজনের খুনের ঘটনায় তদন্তে বীরভূমের রামপুরহাটে বন্ধুপ্রকাশ পালের স্ত্রী বিউটি মন্ডল পালের সিউরা গ্রামে আজ সিআইডির একটি তদন্তকারী দল এসে পৌঁছায়। জেরা করা হয় তার বাবা মাকে।

সিআইডির ওই দল আজ দুপুর তিনটে নাগাদ বিউটি মন্ডল পালের বাপের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। তারপর তারা পরিবারের লোকজনদের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে নানান তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চালান।

তবে এই মর্মান্তিক এই ঘটনার জন্য বিউটি মন্ডল পালের বাপের বাড়ির লোকজন দোষারোপের আঙ্গুল তুলেছেন অভিযুক্ত সৌভিক বণিকের দিকেই। তাদের অভিযোগ, বন্ধু সৌভিক গোটা ঘটনায় জড়িত৷ আর তার কারনেই ঘটেছে এমন ঘটনা।

বিউটি মন্ডল পালের মামা মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ জানান, “এই ঘটনার সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। টাকার লেনদেন জড়িত আছে বলে মনে হয়। এছাড়াও সৌভিক জামাইয়ের সাথে এই বাড়িতেও এসেছে আগে। প্রত্যেকবারের বারের মতো এবারও একাদশির দিন এবাড়িতে আসার কথা ছিলো জামাই মেয়ে নাতির, আর লক্ষীপূজোর পরে বাড়ি যাবার কথা ছিলো। কিন্তু তার আগেই দশমীর দিন ঘটে যায় ঘটনা।”

এছাড়াও তিনি দাবি করেছেন, সৌভিক বনিকের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য, পাশাপাশি বন্ধুপ্ৰকাশ পালের সৎ মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য।

অন্যদিকে সৌভিক বণিকের প্রথম স্ত্রী জানিয়েছেন, “এই ঘটনার পর আবার বাড়িতে পুলিশ এসেছিল সৌভিকের সাথে আমার বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং সৌভিকের বন্ধুমহল সম্পর্কে। আমি সেই সমস্ত ঘটনা ওদের জানিয়ে দিয়েছি। সৌভিকের টাকা ধার নেওয়ার অভ্যাস চিরদিন ছিল, পাশাপাশি ছিল সন্দেহের চোখে দেখা। তবে ঘটনায় সৌভিকের নাম জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করুক, যেটা সত্যি তা উঠে আসবে।”

গোটা ঘটনায় এখনো পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভ রয়েছে পরিবারের।