সেনাকর্মীর মা’কে বাঁশ দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠলো সিভিক ভলেনটিয়ারের বিরুদ্ধে

অমরনাথ দত্ত : ভারতের ২০ জন সেনা জওয়ানের শহীদ হওয়ার ক্ষত মেটেনি এখনো, আর ঠিক তখনই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে এক সেনা জওয়ানের মাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠলো বীরভূমে।

বীরভূমে শহীদ সেনা জওয়ান রাজেশ ওরাং সহ আরও ১৯ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের শহীদ হওয়ার ঘটনায় যখন দেশজুড়ে উঠছে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান। আর ঠিক তখনই বীরভূমের এমন ঘটনায় লজ্জার বলে মতামত পোষণ করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। সেনা জাওয়ানের ওই মা সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাঁশের আঘাতে মাথায় গুরুতর চোট লেগে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার নানুর থানার কুমিরা গ্রামে। জানা গিয়েছে আহত সেনা জওয়ানের মা সমাপ্তি পালের ছোট ছেলে সুকান্ত পাল ভারতীয় সেনাবাহিনীতে জম্মুতে কর্মরত।

তাদের প্রতিবেশী নন্দন পাল নানুর থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে কর্মরত। জানা গিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে নোংরা জল রাস্তায় চলে আসা নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দু’পক্ষের বাদানুবাদ। অভিযোগ বচসার সময় নন্দন পাল বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন সুকান্ত বাবুর মাকে। মাথা ফেটে গুরুতর জখম হওয়ায় তাকে প্রথমে নানুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, “গত ২০.০৬.২০২০ তারিখ আনুমানিক দুপুর নাগাদ নানুর থানার অন্তর্গত কুমিরা গ্রামে ভারতীয় সেনায় কর্মরত এক ব্যক্তির পরিবারের সাথে বীরভূম জেলার এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে উভয় পক্ষই গুরুতর জখম হয়। যদিও উক্ত ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তিগত কারণে হয়েছিল এবং উভয় পরিবারের মধ্যে হয়েছিল তা সত্ত্বেও কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং কুৎসা রটাচ্ছে। বীরভূম জেলা পুলিশ ইতিমধ্যেই উভয় পক্ষের অভিযোগে নানুর থানায় দুটি নির্দিষ্ট মামলা রুজু করেছে এবং ঘটনাটির সাথে জড়িয়ে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তারও করেছে। যে বা যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আহত সমাপ্তি দেবী ননদ তিলোত্তমা পাল জানিয়েছেন, খবর পেয়ে নানুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ দু’পক্ষের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। নানুর থানার পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।