আচমকা মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি, নিমেষেই ভেঙে তছনছ বাড়িঘর

নিজস্ব প্রতিবেদন : মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি বলতে এখনো দেশের অধিকাংশ মানুষের স্মৃতিতে উঠে আসে ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডের ভয়ঙ্কর ঘটনা। শুধু ২০১৩ সাল নয়, সম্প্রতি কয়েকদিন আগেও উত্তরাখণ্ড এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল তুষার ধসের কারণে। আর এই সকল ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল ওই রাজ্যেই।

উত্তরাখণ্ডের আছড়ে পড়ল মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টির কারণে নিমিষে তছনছ হয়ে গেল একাধিক বাড়িঘর। এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনাটি মঙ্গলবার ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের দেবপ্রয়াগে। যদিও এদিনের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

জানা গিয়েছে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তেহরির একাধিক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছিল। কিন্তু ক্রমেই তা মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে পরিণত হবে তা কারো চিন্তার মধ্যে ছিল না। হঠাৎ বিকাল পাঁচটা নাগাদ ভয়ঙ্কর চেহারা নেয় সান্তা নদী। মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি কারণে পাহাড়ের উপর থেকে ধ্বস নামলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একাধিক ঘরবাড়ি দোকানপাট। এমনকি এই ঘটনার কারণে আইআইটির একটি ভবন বিপুল পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। কার্যত কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেসে যায় ওই এলাকা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং তারা তৎপরতার সাথে সকলকে উদ্ধার করেন। আর সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে কার্ফু জারি থাকায় অধিকাংশ দোকানপাট এদিন বন্ধ ছিল। যে কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম। অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতো দোকানপাট খোলা থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং প্রাণহানির আশঙ্কা বেড়ে যেত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

[aaroporuntag]
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করছেন বারংবার উত্তরাখণ্ড এমন ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে তার কারণ হলো বেআইনি নির্মাণ, পাহাড় কেটে বসতি শুরু করা এবং বৃক্ষচ্ছেদন করা।