Banglar Sharee: শাড়ি কিনতে গিয়ে আর ঠকতে হবে না, দাম বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

The Chief Minister fixed the price of Bengal sarees for the people of Bengal: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘উৎকর্ষ বাংলা’ পর্যালোচনা বৈঠকে করলেন বড় ঘোষণা। বাংলার মানুষের জন্য বাংলার শাড়ি-এর (Banglar Sharee) দাম বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অবশ্য এদিন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে ঘোষণা করেন যে, বাংলার প্রতিটি ব্লকে ‘বাংলার শাড়ি’-এর আউটলেট খোলা হবে এবং আউটলেটগুলিতে অত্যন্ত সস্তায় পাওয়া যাবে রাজ্যের জেলায় জেলায় তৈরি শাড়ি।

তিনি বলেন, রাজ্যের ৩৬৫টি ব্লকে আপাতত খোলা হবে এই শাড়ির (Banglar Sharee) আউটলেট। আবার যদি কেউ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে চায় তাও দেবে সরকার। বাংলার শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই প্রয়াস। বাংলায় যে কত ধরনের শাড়ি আছে তার ইয়ত্তা নেই। তাঁত, ধনেখালি, বালুচরি, মসলিন, ঢাকাই আরও কতধরনের শাড়ি আছে। কেউ যদি চায় অবশ্যই সরকারের থেকে ফ্রাঞ্চাইঞ্জি নিতে পারেন। আগে জেলার সদরগুলিতে বাংলার শাড়ির আউটলেট করা হোক। তারপর ব্লকে ব্লকে এই আউটলেট হলেও আপত্তি নেই।

বর্তমানে ছেলে মেয়েরা সব বিভিন্ন মলে মলে জিনিস কিনতে ঢোকে। কারণ, তারা সেখানে সব জিনিস পায় বলে ঢোকে। এভাবেই যদি অনলাইনেও শাড়ি বিক্রি করার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে ঘরে বসেই করা যাবে কেনাকাটা।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন যে শুধু শাড়িতে নয়, সালোয়ার, কুর্তি, শার্ট-প্যান্ট অর্থাৎ বাংলার সবরকম জামাকাপড়, যা যা ছেলে মেয়েরা পরে তা তৈরি করে এই বাংলার শাড়ি (Banglar Sharee) আউটলেটে রাখা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর সালোয়ার তৈরি করে রাখা হবে। ছেলেদের জন্যেও পোশাক থাকবে। এখন তো এখানে হাল ফ্যাশনের বালুচরির কোর্ট, প্যান্টও তৈরি হচ্ছে। সরকারি পরিকাঠামোয় তৈরি এক্সক্লুসিভ বাংলার শাড়ি দোকান যা দেখলেই মানুষ অবাক হবে। বর্তমানে বিশ্ব বাংলা যেমন একটা ব্র্যান্ড হয়েছে, তেমন দোকান হবে। যাদের হোটেল আছে, তারাও হোটেলে যদি একটা করে স্টোর খোলেন খুব লাভবান হবেন। এইসব স্টোরে যেসব শাড়ি পাওয়া যায় সেইসব শাড়িরও দাম বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা ঠিক যে বিশ্ববাংলার শাড়ির দাম একটু বেশি। এইসব আউটলেটে দাম সাধ্যের মধ্যে রাখতে হবে।

বাংলার শাড়ি আউটলেটে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি পাওয়া যাবে। বিশ্ব বাংলায় যেমন একলাখ টাকার শাড়িরও আছে, তেমনি এখানে ৩০০ টাকায় অনেক ভালো শাড়ি ও সালোয়ার পাওয়া যাবে। এখানকার জেনারেশন পাতলা ও হালকা শাড়ি ও জিনিস পছন্দ করে। ভারি কোনো জিনিস তাদের একদম পছন্দ নয়। তাই প্যাটার্ন বদলানোর দরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার শাড়ি বিষয়টি দেখার জন্য একটি কমিটিও গঠন করার কথা বলেন। এই কমিটিতে শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বীরবাহা হাঁসদা ও আরও কয়েকজন মহিলা নেত্রীর নাম করেন।