শর্তসাপেক্ষে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে চিকিৎসকদের পাড়ায় পাড়ায় ডাক্তারখানা খোলার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা মহামারীর প্রকোপে সংক্রামিত রোগীদের কোভিড চিহ্নিত হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে চলছে চিকিৎসা পরিষেবা। সংক্রমণের ভীতি শুধু রোগী ও রোগীর পরিবারের নয়, ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়েছে। ফলে এই ভীতিবসত পরিবেশে ব্যহত হচ্ছে অন্য ধরনের সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা। কলকাতা থেকে জেলা বিভিন্ন প্রান্তে সর্বত্র এই চিত্র। লকডাউনের প্রথম পর্যায়ে রাজ্যজুড়ে সমস্ত ক্ষেত্রের মতোই অনান্য চিকিৎসা পরিষেবা (প্রাইভেট) প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্যের বহু অসুস্থ মানুষেরা জন্য সমস্যায় পড়েন।

একদিকে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই দূরে গিয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না, আবার এলাকায় এলাকায় যে সব চিকিৎসকরা পরিষেবা দিতেন সেটাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকায় এলাকায় যেসব চিকিৎসা পরিষেবা ছিল সেগুলি চালু করার জন্য বুধবার আহ্বান জানান।

তিনি জানিয়েছেন, যারা পারবেন তাঁরা সচেতনতা মেনে চিকিৎসা শুরু করুন। তবে যাতে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হয় তার দিকে নজর দিতে বলেন।
সেই সঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, যে করোনা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে কেন্দ্রর দলকে পাঠানো হচ্ছে। তৃণমূলের অনান্য নেতারাও সরব হয়েছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।

যদিও কেন্দ্রের অভিযোগ যা স্বরাষ্ট্র দফতরের মাধ্যমে রাজ্যের কাছে এসেছে তা হল, রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় লকডাইন সম্পূর্ণ ভাবে মানা হচ্ছে না। বহুক্ষেত্রে সংক্রামিত হচ্ছেন চিকিৎসক, সেবা কর্মী ও পুলিশ প্রশাসনের লোকেরা। রাজ্যে টিকিয়া পাড়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় তা আরও জোরদার হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।