৭, ১১ ও ১২ তারিখের পূর্ণ লকডাউন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে আনলক তৃতীয় পর্যায়ের সমাপ্তি ঘটছে আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ। তবে তার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে আনলক চতুর্থ পর্যায়ের নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই আনলক চতুর্থ পর্যায়ের নির্দেশিকা ঘিরেই রাজ্যের পূর্ব ঘোষিত ৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বরের পূর্ণ লকডাউন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। কারণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাজ্য সরকার এখন থেকে আর আলাদা করে রাজ্য, জেলা অথবা স্থানীয়ভাবে লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে না। যদিওবা লকডাউন ঘোষণা করার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে কেন্দ্র সরকারের সম্মতি নিতে হবে। আর এই কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকা এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পূর্ণ লকডাউন নিয়ে যে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল সেই জল্পনার অবসান ঘটল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণায়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকার পথেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার আনলক চতুর্থ পর্যায়ের নির্দেশিকা রাজ্যের বাসিন্দাদের মেনে চলার নির্দেশ দিল। তবে ৭, ১১ ও ১২ তারিখের লকডাউন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, ওই তিন দিন রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন হচ্ছেই। বাকি অন্যান্য যেমন মেট্রো পরিষেবা রাজ্যে শুরু হবে সেপ্টেম্বর মাসের ৮ তারিখ থেকে। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারের ঘোষণা মত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানিয়ে দেন সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন স্কুল-কলেজ সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা।

এছাড়াও কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকা মতই পশ্চিমবঙ্গে ২১শে সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়ে যাবে ওপেন থিয়েটার। তবে এখনো কনটেইনমেন্ট জোনভুক্ত এলাকায় লকডাউন চলবে বলে জানানো হয়েছে নবান্নে তরফ থেকে। বাকি অন্যান্য ক্ষেত্রেও কেন্দ্র যেমন ছাড় দিয়েছে ঠিক তেমনি ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার।

নবান্নের তরফ থেকে এদিন নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৭, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে পূর্ণ লকডাউন চলাকালীন গণপরিবহন, সরকারি এবং বেসরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, রেল ও বিমান পরিষেবা সমস্ত কিছু বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র জরুরী পরিসেবার ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাওয়া আসাই, খোলা থাকবে ওষুধের দোকান এবং ক্লিনিক, খোলা থাকবে অন্যান্য জরুরী পরিষেবা যেমন আইন-আদালত, পুলিশ স্টেশন, ফায়ার ব্রিগেড, জল পরিষেবা, কৃষি সংক্রান্ত পরিষেবা, ই-কমার্স, প্রিন্ট, মিডিয়া, খাবারের হোম ডেলিভারি, চা বাগান, বিদ্যুৎ পরিষেবা।