‘বই পড়লে কফি ফ্রি’, বই পড়ার রেওয়াজ চালু করতে অভিনব উদ্যোগ

অমরনাথ দত্ত : বই পড়লেই কফি ফ্রি। এমনও হয়! স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের অত্যাধুনিক যুগে বই কি জিনিস অনেকেই ভুলতে বসেছি। আর যদিওবা কিছু পড়া হয় তা আবার স্মার্টফোনেই। একসময় যেসকল গ্রন্থাগারগুলিতে বই নেওয়ার জন্য কার্ড করাতে লাইন পরে যেত, সেগুলিই এখন ধুঁকছে।

আর রেস্টুরেন্টে বসেও সাধারণ মোবাইল হাতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকেন। বইয়ের প্রতি ঝোঁক, নেই বললেই চলে। তাই বই পড়ার প্রতি ঝোঁক বাড়াতে বোলপুরের পঞ্চব্যঞ্জন রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফের তরফে এমনই এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই মর্মে একটি গ্রন্থাগারও করা হয়েছে রেস্টুরেন্টের মধ্যেই। রবিবার এর উদ্বোধন করেন বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ছিলেন সাহিত্যিক সুশোভন অধিকারী।

নব প্রজন্মের কাছে বই পড়ার চল যে কমেছে তা বলাইবাহুল্য। বহু কবি, সাহিত্যিক এই নিয়ে একাধিক সমালোচনা করেছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শহর এই বোলপুর। বই পড়ার প্রতি ঝোঁক বাড়াতে বোলপুরের এই রেস্টুরেন্টে এমন অভিনব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা এখন শহরের মানুষজনের কাছে রীতিমতো চর্চার বিষয়। বোলপুর নেতাজি মার্কেটের কাছে এই রেস্টুরেন্টে ‘বই পড়লেই কফি ফ্রি’ ঘোষণা করা হয়েছে।

রেস্টুরেন্টের মেনুতে দেখা যাচ্ছে কফি প্রতি ৪০ টাকা। রেস্টুরেন্ট এসে বই পড়লেই এই কফি মিলছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। রেস্টুরেন্টে এই মর্মে একটি গ্রন্থাগারও করা হয়েছে। গ্রন্থাগারে রয়েছে শিশুদের বই সহ কবিতা, গল্প, উপন্যাস, রাজনৈতিক, জীবনী, প্রবন্ধের বই। বই পড়লেই কফি বিনামূল্যের অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের শিক্ষিত মহল।

রেস্টুরেন্টের মালিক তাপস মল্লিক বলেন, “নব প্রজন্মকে বই হাতে দেখাটাই বিরল হয়ে উঠেছে৷ তাই বই পড়ার রেওয়াজ প্রচলনে আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি।”