Mobile -এর খরচ বাড়া নিয়ে সরব কংগ্রেস নেতারা, বললেন ‘লুট বন্ধ করুন’

নিজস্ব প্রতিবেদন : নভেম্বর মাসে ভারতে ব্যবসা করা টেলিকম সংস্থাগুলি সিদ্ধান্ত নেয় ডিসেম্বর মাস থেকে তাদের ট্যারিফের রেট বাড়ানোর। সেইমতো ১লা ডিসেম্বর এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া ঘোষণা করে ৩ তারিখ থেকে তাদের পরিবর্তিত হচ্ছে, নতুন ট্যারিফ রেটে খরচ বাড়ছে প্রায় ৪২ শতাংশ। ঠিক পরে পরেই জিও ঘোষণা করে ৬ তারিখ থেকে বাড়বে তাদেরও কলরেট। জিও যা ইঙ্গিত দিয়েছে তাতে তাদের কলরেট বাড়তে পারে ৪০% পর্যন্ত। বিরাট করের বোঝা ও মোটা অঙ্কের ঋণের বোঝা সামলাতে এমন সিদ্ধান্ত বলে জানায় টেলিকম সংস্থাগুলি।

তবে টেলিকম সংস্থাগুলির এই ফরমানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। সর্বভারতীয় সংবাদপত্র ইকোনমিক টাইমসের খবর অনুযায়ী কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, ইচ্ছেমতো ট্যারিফ রেট বাড়িয়ে ব্রিটিশদের মতো আচরণ করছে টেলিকম সংস্থাগুলি। দেশের টেলিকম ব্যবসার দুর্গতির জন্য তারা বর্তমান বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছেন।

সোমবার কংগ্রেস নেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, টেলিকম সংস্থাগুলি যেভাবে ট্যারিফ রেট বাড়াচ্ছে তাতে তাদের আচরণ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মত। এইভাবে খরচ বাড়ানো দিনে দুপুরে ডাকাতি ছাড়া আর কিছু নয়।

এরপরেই কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল এনিয়ে সরব হন। তাঁর দাবি, সরকারের নীতিহীনতার জন্যই টেলিকম সংস্থাগুলি ব্যবসায়িক মন্দায় ধুঁকছে। সরকারের মদতে জিওর বাড়বাড়ন্তে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি বাজারে টিকে থাকার জন্য তাদের ট্যারিফ রেট কমাতে বাধ্য হয়। যার কারণেই টেলিকম সংস্থাগুলি আজ ক্ষতির সম্মুখীন।

ভারতের টেলিকম বাজারে একচ্ছত্রভাবে রাজ করা তিন টেলিকম সংস্থার এভাবে হঠাৎ কল রেট বাড়ানোর ক্ষতির সম্মুখীন হবে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে সরব হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। গ্রাহকদেরও প্রশ্ন, ‘ফ্রি ডেটা আর ফ্রি কলের প্রলভন দেখিয়ে শেষমেষ গাছে চাপিয়ে কেড়ে নেওয়া হলো মই’।