‘রাখে হরি মারে কে’, বীভৎস দুর্ঘটনার মাঝেও অক্ষত বেড়াতে যাওয়া ১১০ জনের দল

নিজস্ব প্রতিবেদন : বহু প্রচলিত একটি প্রবাদ হলো ‘রাখে হরি মারে কে’! পদে পদে এই প্রবাদ বাস্তবের রূপ পেতে দেখা যায়। তবে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর এমন প্রবাদ যে বাস্তবে রূপ পাবে তা কেউ ভেবে উঠতে পারেন না। এমনটা ভেবে উঠতে না পারলেও বেড়াতে যাওয়া একটি দলের ১১০ জন সদস্যের প্রত্যেকেই অক্ষত অবস্থায় ফিরলেন দুর্ঘটনা গ্রস্থ করমন্ডল এক্সপ্রেস (coromandel train accident) থেকে।

শুক্রবার শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে পড়ে ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারে। একসঙ্গে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। করমন্ডল এক্সপ্রেস ছাড়াও ছিল একটি মালগাড়ি এবং আর একটি যশবন্তপুর হাওড়া এক্সপ্রেস। শুক্রবারের এই রেল দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৩৬১ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা অগণিত।

তবে এসবের মধ্যেই একটি অবাক করা খবর সামনে এসেছে। যে খবরটি হলো, একই দলের ১১০ জনের অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসা। ১১০ জনের ওই দলটি করমন্ডল এক্সপ্রেসে চড়ে বেড়াতে যাচ্ছিল। ওই দলের সদস্যরা চিক্কামাগালুরু থেকে এসেছিলেন এবং তারা হাওড়া হয়ে ঝাড়খণ্ডের সামেদ শিখরজি যাচ্ছিলেন। ২৩ কামরার দুর্ঘটনাগ্রস্থ করমন্ডল এক্সপ্রেসে তারা ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।

গত শুক্রবার একসঙ্গে করমন্ডল, এক্সপ্রেস একটি মালগাড়ি এবং যশবন্তপুর হাওড়া এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর যেখানে শুধুই কান্নার আর্তনাদ, যেখানে গ্যাস কাটার দিয়ে ট্রেনের কামরা কেটে কেটে বের করা হচ্ছে একের পর এক ক্ষতবিক্ষত দেহ, সেই জায়গায় এইভাবে ১১০ জনের ফিরে আসা একেবারেই মিরাকল বলা যেতে পারে।

একসঙ্গে এইভাবে তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে পড়ার ঘটনা সত্যিই অবাক করা। এমন দুর্ঘটনার মুখোমুখি এর আগে ভারত কোনদিন হয়েছে কিনা কেউ মনে করতে পারছেন না। তবে এই দুর্ঘটনার পর রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এই সকল প্রশ্নের মধ্যেই একই দলের ১১০ জনের জীবিত অবস্থায় ফিরে আসা কোথাও যেন আশার আলো দেখাচ্ছে এখনো পর্যন্ত খোঁজ না পাওয়া সদস্যদের পরিবারগুলিকে।