করোনা সংক্রমিত সন্দেহে বোলপুর সুপার স্পেশালিটিতে ভর্তি ৩

অমরনাথ দত্ত : বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের ত্রাস। বাদ পড়েনি আমাদের রাজ্য। বাদ পড়েনি বীরভূম। গত শুক্রবারই সৌদি ফেরত এক যুবককে করোনা সংক্রমিত সন্দেহে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। শনিবার তাকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে। তবে রবিবার রিপোর্ট আসতে স্বস্তি মেলে। জানা যায় ওই যুবকের শরীরে করোনা সংক্রমণ নেই। তবে আবার নতুন করে বীরভূমের তিনজনকে বোলপুর সুপার স্পেশালিটিতে ভর্তি রাখা হয়েছে করোনা সংক্রমিত সন্দেহে।

বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আইসোলেশনে ওই তিনজনকে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা প্রত্যেকেই চেন্নাই ও হায়দ্রাবাদ থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরেছিলেন। এই তিনজনের প্রত্যেকের বাড়ি বীরভূমে। তারা ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন। তারপর তাদের জ্বর, সর্দি কাশি হয়। তারা চিকিৎসার জন্য বোলপুর সুপার স্পেশালিটিতে এলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের আইসোলেশনে রাখে। প্রয়োজনে তাদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এনটেরিক ডিসিজ (নাইসেড) পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য।

এ প্রসঙ্গে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত সুপার জানান, “যেহেতু তারা বাইরে থেকে আসছেন, বিশেষ করে সেই কারণেই তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই। যদি যদি এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে।”

অন্যদিকে বীরভূম জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আঁড়ি জানান, “এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যে ও আমাদের জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই মুহূর্তে আমাদের জেলাতে মোট ২৪ জন পর্যবেক্ষণে আছেন। তাদের বেশিরভাগ জনকেই বাড়িতেই রাখা হয়েছে। তারা সকলেই সুস্থ আছেন। আর যদি কারোর কোন অসুবিধা হয় তাহলে আমরা তাদেরকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অথবা রামপুরহাট সরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাব।”

পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “অযথা ভয় না পেয়ে, কোন কিছু না লুকিয়ে হাঁচি, কাশি, জ্বর হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। যদি কেউ বাইরের রাজ্য অথবা বিদেশ থেকে এসে থাকেন আর তাদের যদি কারোর জ্বর, হাঁচিকাশি হয়ে থাকে তাহলে যেন আমাদের জানান।”