সচেতন নয় জনতা, অশনি সঙ্কেত রাজ্যের ১৫ জেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে উত্তরোত্তর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আর এই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে রয়েছে অবশ্যই মানুষের অসচেতনতা। মানুষ যেমন সচেতন নয়, ঠিক তেমনই প্রশাসনেরও গাছাড়া মনোভাব স্পষ্ট। উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে, লকডাউন চলাকালীন এবং লকডাউন পরবর্তী প্রথম আনলক পর্যায়ে পুলিশ প্রশাসনকে যেভাবে কঠোর হাতে পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছিল তা এখন আর নেই।

এর পাশাপাশি মানুষ পুজোর আবেগকে কাজে লাগিয়ে বাজারে ঢলে পড়ছেন। এমনকি বাজারে যাওয়ার সময় অধিকাংশ মানুষদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা তো দূরের কথা মুখে মাস্কটুকুও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এমত অবস্থায় এটাও ঠিক যে প্রশাসনের তরফ থেকে হাজার প্রচার চালানো হলেও মানুষ সচেতন না হলে কোনভাবেই এই মহামারীকে আটকানো সম্ভব নয়।

রাজ্যে গত ১৮ অক্টোবর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩,৯৮৩ জন অর্থাৎ প্রায় ৪,০০০। আবার মৃতের সংখ্যাও কম নয়। শেষ ২৪ ঘন্টায় ৬৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অন্যদিকে সুস্থ হয়েছেন ৩,১১৩ জন। অর্থাৎ একদিনে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৮০৬ জন। আর এই ভাবেই কিন্তু প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। যেখানে বর্তমানে দেশে প্রতিনিয়ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে।

আর এই সংক্রমণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সংক্রমণ বৃদ্ধির শতাংশ হারে অশনি সংকেত রাজ্যের ২৩ জেলার মধ্যে ১৫ টি জেলায়। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে এই ১৫ জেলার নামের নিচে লাল কালির দাগ পড়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। আর এই ১৫ জেলার মধ্যে আবার ৮ জেলায় মৃত্যুর হার নিয়ে আরও উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।

রাজ্যের যে ১৫ টি জেলা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সেই জেলাগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, নদিয়া, মালদহ, হুগলি, কালিম্পং, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ দিনাজপুর।

অন্যদিকে মৃত্যুর হার নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং, কালিম্পং, মালদহ, জলপাইগুড়ি, বীরভূম এবং উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়ছে উদ্বিগ্নতা। এই সকল জেলাগুলিতে মৃত্যুহার ১.৫% এর এদিক ওদিকে রয়েছে। মৃত্যুহার বৃদ্ধির নিরিখে উপরের দিকে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া। এই জেলাগুলিতে মৃত্যুহার ২-৩% এর মধ্যে ওঠানামা করছে।