অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন নিতেই অসুস্থ যুবক, ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব ব্যতিব্যস্ত ঠিক সেসময় সম্ভাব্য ভ্যাকসিন হিসাবে আশার আলো দেখাচ্ছিলো অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার (Oxford-AstraZeneca) তৈরি ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ (Covidshield)। মানুষের তবে এবার এই ভ্যাকসিন নিয়েই চরম বিভ্রান্তি। এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল চলাকালীন ভ্যাকসিন নিয়ে এক যুবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই যুবক ইতিমধ্যেই সেরাম ইনস্টিটিউটকে (Serum Institute of India) ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে PTI সূত্রে।

যে যুবক কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। তার বয়স ৪০ বছর বলে জানা গিয়েছে। ভারতে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল চলাকালীন ওই যুবক ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেন। তারপর ভ্যাকসিন নেওয়ার দশ দিন পর থেকে তার শরীরের নানান ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। বেশ কয়েক দিন তাকে আইসিইউতে ভর্তি থাকতে হয়।

অভিযোগ, অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এরপর ১০ দিন তিনি সুস্থ থাকলেও ১১ তারিখ থেকে তার শরীর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমেই মাথা যন্ত্রণা এবং বমি শুরু হয়। এরপর হঠাৎ স্নায়ু রোগ দেখা দেয়। হাত পা এবং গোটা শরীরে কাঁপুনি শুরু হয়, সব কিছু ভুলতে শুরু করেন। পরিস্থিতি এতটাই বেড়ে যায় যে পরিবারেরও কাউকে তিনি চিনতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে আইসিইউতে পাঠানো হয় এবং ২৬ তারিখ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।

আর এরপর ওই যুবক এবং তার পরিবার ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে সেরাম ইনস্টিটিউট, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR), ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চিফ ইনভেস্টিগেটিভ অফিসার, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরিস, শ্রী রামচন্দ্র হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সংস্থার এক কর্তাকে আইনি নোটিশ পাঠায়।

নোটিশে দাবি করা হয়, ভ্যাকসিন ট্রায়ালের আগে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল তা ভুল। ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে শরীরে যে নানান সমস্যা দেখা দিয়েছে তার চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন চিকিৎসা করাতে হবে। এই ক্ষতি অপূরণীয় এবং এর জন্য আগামী দু’মাসের মধ্যে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

পাশাপাশি ওই যুবকের তরফ থেকে এটাও দাবি করা হয়েছে, দ্রুত ওই ভ্যাকসিন উৎপাদন বন্ধ করতে হবে এবং বন্ধ করতে হবে বন্টন প্রক্রিয়া। এই সকল দাবি না মানলে আইনি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই যুবকের আইনজীবী।