বদলে যাবে গতিবেগ! শক্তি সঞ্চয় করে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড় মোকায় (Cyclone Mocha) পরিণত হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার নিশ্চয়তা মিলতেই শুরু হয়েছে নানান জিজ্ঞাসা। কবে এই ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে? কোথায় আছড়ে পড়বে? ঝড়ের গতিবেগ কত? ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতেই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে নতুন আপডেট দেওয়া হল।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপটি মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলো। ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এবার জানা যাবে এই সিস্টেম ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে কোথায় আছড়ে পড়বে। এর আগে পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল কেবল অনুমান করা হচ্ছিল। অন্যদিকে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, ১২ মে সিস্টেমটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

অন্যদিকে এই ঘূর্ণিঝড়ের ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার হওয়ার যে অনুমান করা হচ্ছিল তার থেকেও অনেক বেশি গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। ঝড়ের গতিবেগ বদলে যাওয়া নিয়ে যে আপডেট পাওয়া গিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে।

আইএমডির তরফ থেকে দেওয়া বার্তা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সিস্টেমটি নিম্নচাপ থেকে শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ১০ মে অর্থাৎ বুধবার গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তি সঞ্চয় করে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড় মোকায়। এরপর ১২ তারিখ সেই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিক এবং মায়ানমারের দিকে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই সিস্টেমের জেরে প্রবল বৃষ্টির মুখোমুখি আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্ত্যের কারণে পশ্চিমবঙ্গের তৈরি হয়েছে শুষ্ক পরিস্থিতি। তবে এর ফলে আবার কালো মেঘের রেখা বিরাজ করছে দক্ষিণী রাজ্যগুলির ওপর। তামিলনাড়ু,, কেরল, অন্ধ্র, তেলাঙ্গানা এবং দক্ষিণ কর্ণাটকে এর জেরে বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।