দাদাগিরি-র সিজন ৯-এ বীরভূমের হয়ে চ্যাম্পিয়ন ক্ষীণ দৃষ্টির মঈন, জানুন আসল পরিচয়

নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্রিকেট ময়দানের বাইরেও সৌরভ গাঙ্গুলী সব জায়গাতেই দাদাগিরি দেখিয়ে থাকেন। তবে আমরা তার দাদাগিরি দেখতে পাই মূলত জি বাংলার দাদাগীরির মঞ্চে। তবে এই দাদাগিরি আনলিমিটেড সিজন ৯-এর যাত্রা শেষ হলো। গত মাসের শেষের দিকে বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত হয় এই গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠান।

গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠান স্বাভাবিকভাবেই ছিল জমজমাট অনুষ্ঠান। নাচ গান আড্ডা, আর তার সঙ্গে প্রতিযোগীদের বুদ্ধিমত্তা ঘিরে এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে ছিল জমজমাট। এবারেই দাদাগিরি গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং প্রথম স্থান অধিকার করে বীরভূম। বীরভূমের হয়ে তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি ক্ষীণ দৃষ্টি সম্পন্ন।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আর্থিক পুরস্কার হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা পান। এর পাশাপাশি একাধিক বিজ্ঞাপন দাতাদের তরফ থেকে তাঁকে আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ফ্ল্যাট ইত্যাদিও পুরস্কার স্বরূপ তার ঝুলিতে আসে। বীরভূমের হয়ে এমন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করা প্রতিযোগী হলেন মঈন, পুরো নাম মইনুদ্দিন চিস্তি।

দাদাগিরির গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানে প্রথম স্থান অধিকার করার পর অনেকেই মঈনের সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। দাদাগিরিতে বীরভূমের হয়ে অংশগ্রহণ করা মঈনের বাড়ি বাঁকুড়া। তিনি বাঁকুড়ার ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কাপিস্টা গ্রামের বাসিন্দা। তিনিই বাঁ চোখে কিছুই দেখতে পান না এবং ডান চোখে সামান্য দেখতে পান। তবে তার বুদ্ধির শক্তির তুলনা হয় না।

এর পাশাপাশি মইনুদ্দিন জলহরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষক। কিন্তু সেখান থেকেই কুইজের টানে তিনি আজ এমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। কুইজে অংশগ্রহণ করা তার কাছে নেশা। যে কারণে কোথাও কোনো রকম কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের খবর পেলেই তিনি ছুটে চলে যান। এই সকল কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য জেলার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছাতে কুন্ঠিত বোধ করেন না। তার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি শক্তি এবং প্রতিযোগিতার প্রতি টান আজ তাকে এই জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে এসেছে।