দার্জিলিং ঘুরতে গিয়ে মিলবে হেলিকপ্টারে চড়ার সুযোগ, পর্যটকদের জন্য সুখবর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা পাহাড়ের টানে দার্জিলিং সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় এসে থাকেন। পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আনাগোনা দেখা যায় দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। পাহাড়ের সৌন্দর্য এবং পাহাড়ের টান পর্যটকদের টানার পাশাপাশি আরও আকর্ষণ বৃদ্ধি করার জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে বিভিন্ন সময়।

পাহাড়ে আগত পর্যটকদের জন্য এযাবৎ অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় রেলের ভিস্তাডোম কোচের টুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন। এবার এই দার্জিলিংয়েই আলাদা আকর্ষণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে হেলিকপ্টার। এবার দার্জিলিংয়ে শুরু হচ্ছে হেলিকপ্টার পরিষেবা। এর ফলে পাহাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এবার আকাশ থেকেই উপভোগ করা যাবে।

বাংলার পর্যটনকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্য নিয়েই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে ৩১ বছর পর মিরিকে ফিরবে এমন পরিষেবা। মিরিকে হেলিপ্যাড তৈরি করা যায় কিনা তার জন্য মঙ্গলবার কলকাতার ফ্লাই ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের তরফে মিরিকে একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্রায়াল করা হয়।

দার্জিলিঙে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করা যায় কিনা তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তর এবং কলকাতার ফ্লাই ট্রেনিং ইনস্টিটিউট যৌথভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। কারণ এই হেলিকপ্টার পরিষেবা যদি শুরু করা যায় তাহলে পর্যটনের ক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ের ভূমিকা আলাদা হয়ে দাঁড়াবে।

মঙ্গলবারের আগে শেষবার মিরিকে হেলিকপ্টার অবতরণ করেছিল ১৯৯১ সালে। সেই সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরামন মিরিক সফরে গেলে হেলিকপ্টার অবতরণ করে। শিলিগুড়ি বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার হেলিকপ্টারটি যাত্রা শুরু করার পর ৯.৪৫ মিনিটে মিরিকে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। এই অবতরণ সফল হওয়ার ফলে হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু হওয়া নিয়ে আশা দেখাচ্ছে রাজ্যকে।