নিজস্ব প্রতিবেদন : আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমকে (Dawood Ibrahim) নিয়ে দিন কয়েক ধরেই মেতে রয়েছে আন্তর্জাতিক সব সংবাদ মাধ্যম। দিন কয়েক আগে তার মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে তিনি এই মুহূর্তে জীবিত না মৃত তা এখনও পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে তিনি জীবিতই রয়েছেন। অন্যদিকে নতুন করে দাউদ ইব্রাহিম সংবাদের শিরোনামে এসেছেন মূলত ভারত সরকারের দৌলতে। কেননা ভারত সরকারের তরফ থেকে ফের একবার দাউদের সম্পত্তি নিলামে চড়ানো হলো।
শুক্রবার দাউদ ইব্রাহিমের মোট চারটি সম্পত্তির নিলাম শেষ হয়। তবে এই চারটি সম্পত্তির মধ্যে দুটি সম্পত্তি বিক্রি হয়েছে আর দুটি সম্পত্তি এখনো অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে। যে দুটি সম্পত্তি বিক্রি হয়েছে সেই দুটি সম্পত্তির দাম উঠেছে একেবারে সেলিব্রিটি অথবা ঐতিহাসিক সম্পত্তির দামের মতো। এই সম্পত্তিগুলি বিক্রি হয়েছে ১৪০০ গুণ বেশি দামে। আবার যেসব সম্পত্তি নিলামে তোলা হয়েছে তার মধ্যে এক টুকরো সম্পত্তি রয়েছে দাউদ ইব্রাহিমের পৈতৃক।
মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার মুম্বেকে দাউদ ইব্রাহিমের মোট চারটি সম্পত্তি নিলামের জন্য রাখা হয়েছিল। এই সমস্ত সম্পত্তি ছিল জমিজমা। এসবের মধ্যে এই জমির ডাক মূল্য রাখা হয়েছিল ১৫ হাজার ৪৪০ টাকা। কিন্তু যখন নিলাম শেষ হয় তখন দেখা যায় এই সম্পত্তির দাম ওঠে দু’কোটি টাকা। দাউদ ইব্রাহিমের মোট চারটি জমির নিলাম ডাকা হয়েছিল স্মাগলার্স অ্যান্ড ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেটর্স অথরিটির তরফ থেকে।
আরও পড়ুন ? পুলিশ কনস্টেবলের ব্যাটা থেকে ডন! দেশ-বিদেশে টাকা আর টাকা, কত সম্পত্তির মালিক দাউদ
দাউদ ইব্রাহিমের যে সকল জমি শুক্রবার নিলামের জন্য তোলা হয়েছিল সেইসব জমিগুলি মূলত কৃষিজমি এবং সেগুলি কসকরের পৈতৃক গ্রাম লাগোয়া। এই গ্রামে দাউদ ইব্রাহিমের ছোটবেলা কেটেছে। এছাড়াও কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নিলামে তোলা এই সকল জমির বর্তমান মালিক ছিলেন দাউদ ইব্রাহিমের মা আমিনা বিবি। দাউদ ইব্রাহিম এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এই সকল জমিজমা, সম্পত্তি সব বাজেয়াপ্ত করে সরকার।
দাউদ ইব্রাহিমের যে চারটি সম্পত্তি নিলামে তোলা হয়েছিল তার মধ্যে আরেকটি জমির ডাক মূল্য রাখা হয়েছিল দেড় লক্ষ টাকার কিছু বেশি। কিন্তু সেই জমি বিক্রি হয় ৩.২৮ লক্ষ টাকায়। এছাড়াও এখনও দুটি জমি অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার যে চারটি সম্পত্তি নিলামে তোলা হয় তাদের মোট ডাক মূল্য হয়েছিল ১৯.২০ লক্ষ টাকা। তবে এইসব সম্পত্তি বিক্রি হলে আরও অনেক বেশি টাকা সরকারের ঘরে আসবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।