নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মহিলাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রত্যাবর্তন করলে হাত খরচ হিসাবে দেওয়া হবে প্রতি মাসে টাকা। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজ্যে চালু হয়েছে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প।
এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা ৫০০ এবং ১০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা পান ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা ১০০০ টাকা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের এই শাসকদল তৃণমূল যখন গোয়া দখলের লক্ষ্যে নেমেছে সেই সময় তারা সেখানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, মহিলাদের ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
আগামী বছর গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল ঘোষণা করেছে, ভোটে তারা জয় লাভ করলে গৃহলক্ষ্মী কার্ড নামে একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এবং সেই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সাড়ে তিন লক্ষ মহিলাকে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
তবে তৃণমূলের এই ঘোষণার পরেই বিরোধীরা তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়ছেন না। বিরোধী নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, গোয়ার মহিলাদের মাসে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে অথচ পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা কেন মাসে ৫০০ টাকা পাবেন। এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তারা দাবি করেছেন, তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের বঞ্চিত করছে।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের এই ঘোষণাকে বিজেপি, বামফ্রন্ট কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দলের নেতারা কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম কটাক্ষ করে ট্যুইটে লিখেছেন, “এই সহজ অঙ্কের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিৎ। সাড়ে তিন লক্ষ পরিবারকে মাসিক ৫ হাজার টাকা দিলে মাসে খরচ হবে ১৭৫ কোটি টাকা এবং বছরে টাকার অঙ্ক গিয়ে দাঁড়াবে ২১০০ কোটি। যে গোয়া রাজ্যের ২০২০ সালের মার্চ অবধি দেনার পরিমাণ ২৩ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা, সেই রাজ্যের জন্য টাকার এই অঙ্ক কতটাই না ক্ষুদ্র। এখন কী বলা উচিৎ, ঈশ্বর গোয়ার মঙ্গল করুন। ঈশ্বর গোয়াকে বাঁচান?”
তবে পি চিদম্বরমের এই কটাক্ষের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তিনি লিখেছেন, “হ্যাঁ স্যার, ৩.৫ লক্ষ পরিবারকে মাসিক ৫ হাজার টাকা দিলে বছরে ২১০০ কোটি টাকা খরচ হবে, যা গোয়ার মোট বাজেটের ৬ থেকে ৮ শতাংশ। অর্থনীতি বলছে করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষের হাতে আরও বেশি করে নগদ টাকা দেওয়া কথা। কারণ এর ফলে মানুষের সাহায্য হবে।”