করোনা ঠেকাতে ভোট প্রচার নিয়ে নড়েচড়ে বসলো আদালত, কমিশনকে নয়া নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। আর এই দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সাথে সাথে কাবু গোটা দেশ। প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় এসে ঠেকেছে প্রতিদিন লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। আর এমত অবস্থাতেই আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। সাধারণ মানুষের অসচেতনতার পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার কারণ হিসেবে ভোট এবং ভোটের প্রচারকেও দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আর এই পরিস্থিতিতেই ভোটের প্রচারে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে নয়া নির্দেশ দিলো একযোগে নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্র সরকারকে। দেশে ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে নজর রেখে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এমনিতেই কমিশনের গাইডলাইনে যা উল্লেখ রয়েছে তাতে এই দুটি জিনিস বর্তমান করোনাকালে মেনে চলা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। তাই অবশেষে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হলো।

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা পরিস্থিতিতে এই সকল বিধিনিষেধ না মানার ছবি প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে। প্রতিদিন রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল বড় বড় সভা অথবা রোড শো করে চলেছে। কিন্তু কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ছবি ধরা পড়ছে না। এমনকি কমিশনের তরফ থেকে বেঁধে দেওয়া ন্যূনতম বিধিগুলিও মেনে চলার মতো দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আদালতের হস্তক্ষেপ উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

[aaroporuntag]
দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে অ্যাপ, ওয়েবসাইট, পুস্তিকা এবং অন্যান্য যা যা মাধ্যম আছে সমস্ত জায়গায় ভোটে করোনা সংক্রান্ত বিধি এবং যাবতীয় নিয়মাবলী প্রকাশ করতে হবে। সমস্ত রকম ভাবে প্রচার চালাতে যাতে সাধারণ মানুষ সচেতন হোন।