e Ticket-i Ticket: রেলে ভ্রমণ করে এমন মানুষ প্রচুর আছে। কেননা আরামদায়ক ও নিরাপদ যাত্রা হিসাবে রেলের যাত্রা সবথেকে শ্রেষ্ঠ। যারা রেলের ভ্রমণ বেশি পছন্দ করেন তারা অবশ্যই জেনে থাকবেন ই-টিকিট এবং আই-টিকিটের কথা। তবে ট্রেনের টিকিট বুক করার আগে কিছু বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। বেশিরভাগ মানুষেরই কোন ধারণা নেই যে ই-টিকিট এবং আই-টিকিট আসলে কি এবং এর মধ্যে পার্থক্য ঠিক কতটা? দুটি বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য অনেকটাই এবং বিষয় দুটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির শেষ নেই। আজকের এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে জেনে নেব ই-টিকিট এবং আই-টিকিটকে সম্পর্কে।
ভারতীয় রেলে ভ্রমণ করতে গেলে খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটার বিশেষ সুবিধা লাভ করা যায়। এর জন্য আপনাকে দীর্ঘ লাইনেও দাঁড়াতে হবে না এবং কোন ঝামেলার উপহাতে হবে না। এই টিকিট বুকিং ই-টিকিট বা আই-টিকিট (e Ticket-i Ticket)হতে পারে। আর এই বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। সাধারণভাবে, ই-টিকিট হল একটি মুদ্রিত টিকিট। আর আই-টিকিট ভারতীয় রেলের তরফেই একজন যাত্রীকে কুরিয়ার করা হয়।
আরো পড়ুন: মনের কথা জানাতে গিয়ে বড় কোন বিপদে পড়ছেন না তো! জেনে নিন এই ডিজিটাল চিঠির রহস্য
এবার বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া হবে যে ই টিকিট কী? ই-টিকিট মানে ইলেকট্রনিক প্রিন্টেড টিকিট। যাত্রীরা তাদের সুযোগ এবং সুবিধামতো এই টিকিট প্রিন্ট করে নিতে পারে। যদি কেউ চায় যে রেলওয়ে কাউন্টারে যাবে না তারা বাড়ি থেকে বা যেকোনো কম্পিউটার ক্যাফে থেকে অনলাইনে ই-টিকিট বুক করতে পারবে। এর বৈধতা রেলওয়ে বুকিং কাউন্টার থেকে ইস্যু করা টিকিটের মতোই। কিন্তু যেসব যাত্রীদের কাছে ই-টিকিট (e Ticket-i Ticket) আছে তারা যাত্রা করার সময় অবশ্যই সাথে রাখবেন সরকারি পরিচয়পত্র (আধার কার্ড)।
আরো পড়ুন: পেনসিলের গায়ে ছোট্ট ছোট্ট করে লেখা H বা B-এর অর্থ জানেন কি!
এবার আলোচনা করে নেব আই-টিকিট সম্পর্কে। আই-টিকিট হল এমন একটি টিকিট যা ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে যাত্রীর ঠিকানায় কুরিয়ার করা হয়। আপনারা চাইলে এই ধরনের টিকিট ইন্টারনেটের মাধ্যমেও বুক করতে পারেন। এই টিকিট প্রিন্ট করা যায় না। আই-টিকিট আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের সময় যাত্রীর ঠিকানায় রেলওয়ের দ্বারা কুরিয়ার করা হয়। কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে এই টিকিট। যাত্রার দুই দিন আগে আই-টিকিট (e Ticket-i Ticket) বুক করা উচিত। টিকিট সংগ্রহ করার জন্য বাড়িতে কেউ থাকা উচিত, অন্যথায় প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হতে পারে।
ই-টিকিট কিন্তু আই-টিকেটের (e Ticket-i Ticket) তুলনায় অনেকটাই সস্তা। আসলে কুরিয়ার খরচ কভার করার জন্য আই-টিকিটে একটি ডেলিভারি চার্জ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদি কেউ চায় একই দিনে ই-টিকিটও বুক করতে পারেন। কিন্তু, আই-টিকিট বুক করতে গেলে দুদিন আগে তা করতে হবে। ই-টিকিট অনলাইন দ্বারা বাতিল করা যায়। কিন্তু আই-টিকিট অনলাইনে বাতিল করতে পারবেন না। এই টিকিট বাতিল করতে গেলে রেলওয়ে স্টেশনে উপযুক্ত কাউন্টারে গিয়ে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। ই-টিকেটে সিট বার্থ কনফার্ম বা RAC আছে। আর, টিকিট নিশ্চিত হওয়ার সময়, আই-টিকিটে তিনটি বিভাগেই RAC বা ওয়েটিং পাওয়া যাবে।