সুখবর, স্পেশ্যাল কুপনের মাধ্যমেই ডিজিটাল রেশন কার্ড দেবে রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদন : এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত উপভোক্তাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড পাননি তাদের জন্য এবার সুখবর দিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তর। করোনা প্রকল্পের কারণে দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে সমস্ত দরিদ্রদের এখনো পর্যন্ত ডিজিটাল রেশন কার্ড হয়নি অথচ তাদের পুরাতন কাগজের রেশন কার্ড রয়েছে সেই সমস্ত উপভোক্তাদের স্পেশাল কুপনের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করার। এবার সেই সকল স্পেশাল কুপনের মাধ্যমেই ঐ সমস্ত উপভোক্তাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড সরবরাহ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দপ্তর।

সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে খবর অনুযায়ী এবিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে এবিষয়ে কি কি করনীয় তা সম্পর্কে নির্দেশাবলী পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকদের। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে তাদের, পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে কলকাতা পুর কমিশনারকেও। এমনকি এই স্পেশাল কুপনের মাধ্যমে ডিজিটাল রেশন কার্ড দেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করতে চায় খাদ্য দপ্তর বলেও জানা গিয়েছে। আর এই স্পেশাল কুপনের মাধ্যমে যারা ডিজিটাল রেশন কার্ড পাবেন তাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-২ এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

স্পেশাল কুপনের মাধ্যমে যে সকল ব্যক্তিরা মে ও জুন মাসে খাদ্য সামগ্রী পেয়েছিলেন তাদের তথ্য যাচাই করার জন্য জুলাই মাসের ২৫ তারিখ শেষ দিন হিসাবে নির্দেশিকা জারি করেছে খাদ্য দপ্তর। অর্থাৎ তথ্য যাচাই করার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে। আর যে সকল ব্যক্তিরা ৩০ শে জুনের মধ্যে স্পেশাল কুপন পেয়েও খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করেননি তাদের বিষয়টি দ্বিতীয় ধাপে খতিয়ে দেখা হবে। দ্বিতীয় ধাপের কাজ ১৪ই আগস্টের মধ্যে সমাপ্ত করার প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও জুলাই মাসে যে সকল স্পেশাল কুপন প্রাপকদের নাম খাদ্য দপ্তরের ফলে সংযুক্ত হবে তাদের তথ্য যাচাই করা হবে ২৫শে আগস্টের মধ্যে।

আর যে সকল গ্রাহকদের পুরাতন রেশন কার্ড রয়েছে অথচ স্পেশাল কুপনের জন্য কোনরকম আবেদন করেননি বা পাননি তাদের ডিজিটাল রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য সরাসরি অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে যে সকল আবেদনকারীরা ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করবেন তাদের তথ্য যাচাই হবে সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বলে জানানো হয়েছে খাদ্য দপ্তরের তরফ থেকে।