“বোমের কারখানা হচ্ছে বীরভূম, স্টোর হলো তৃণমূল নেতার বাড়ি” দিলীপ ঘোষ

হিমাদ্রি মণ্ডল ও চন্দন কর্মকার : বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বীরভূম সফরে এসে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, “বোমের কারখানা হচ্ছে বীরভূম, বন্দুকের কারখানা হচ্ছে বীরভূম, আজ সেগুলি স্টোর করার জায়গা হলো তৃণমূল নেতাদের বাড়ি।”

গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বীরভূমের সাঁইথিয়ায় একটি লজে থাকেন। তারপর আজ সকাল থেকে তিনি তাঁর কর্মসূচি শুরু করেন। সকালে প্রথমে যান তারাপীঠের নন্দিকেশ্বরীতলা মন্দির, পরে শুরু করেন ‘চায়ে পে চর্চা’। বলরাম জয়ন্তী উদ্বোধন করেন সাঁইথিয়া কলেজ মোড়ে। সেখানে বিজেপির কিষান মোর্চার তরফ থেকে তাঁর হাতে সম্বর্ধনা স্বরূপ তুলে দেওয়া হয় নানান শাকসবজি। এরপরেই সাঁইথিয়া শহরে শুরু হয় একটি বিজেপির মিছিল।

বীরভূম সফরে এসে বীরভূমের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি তোগ দাগেন তৃণমূল এবং বীরভূম পুলিশের উপর। তিনি বলেন, “বীরভূমের মানুষ কেমন আছে তা বুঝতেই পারছি। সবচেয়ে বড় বোমের কারখানা হচ্ছে বীরভূম, বন্দুকের কারখানা হচ্ছে বীরভূমে। আর তার স্টোর হচ্ছে টিএমসি নেতার বাড়ি আর অফিস। বস্তা বস্তা বোম পাওয়া যাচ্ছে, বন্ধুক পাওয়া যাচ্ছে, আর ট্রাকে করে বিস্ফোরক পাওয়া যাচ্ছে। বীরভূম জেলার মানুষরা কোথায় আছেন, কিভাবে আছেন বোঝাই যাচ্ছে।”

এরপরই পুলিশকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আর এখানকার পুলিশ এই সকল গুন্ডা, বদমাশের পিছনে লাগে না, বিজেপির প্রোগ্রাম বন্ধ করার জন্য লেগে পড়ে। এখানে আমার জন্য হোটেল নেওয়া হয়েছিল, সেই হোটেল মালিককে হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়েছে। বেচারা হাতে পায়ে পড়ে টাকা ফেরত দিয়ে গেছে। এছাড়াও আজ লাভপুরে যে প্রোগ্রাম আছে, সেই প্রোগ্রামের কাল পর্যন্ত পারমিশন দেয় নি। টেনশন করছে। যতরকম পুলিশ প্রশাসনিক ক্ষমতা বিজেপিকে আটকানোর জন্য লাগিয়ে দিচ্ছে, আর গুন্ডা-বদমাশরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বীরভূমের মানুষ খুব দুশ্চিন্তার মধ্যেই আছেন।”

এছাড়াও আজ তিনি বৈশাখী দেবশ্রী এবং মনিরুল নুরুল ইসলাম সম্পর্কিত সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান।