Donation For Jagannath Temple: ইনিই হলে সেই ব্যবসায়ী, যার টাকাতেই UK-তে জগন্নাথ মন্দির

লন্ডন তথা সমগ্র ইউকের প্রথম জগন্নাথ মন্দির তৈরি করতে ২৫০ কোটি টাকা অনুদান (Donation For Jagannath Temple) দিয়েছেন একজন কোটিপতি প্রবাসী ভারতীয়। তার নাম হলো বিশ্বনাথ পট্টনায়ক। জগন্নাথ মন্দির নির্মাণে এই প্রবাসী ওড়িয়ার অবদান সত্যিই অবিস্মরণীয়। তিনি প্রকৃত অর্থে ওড়িশার ভূমিপুত্রের।

মনে করা হচ্ছে জগন্নাথ মন্দিরের (Donation For Jagannath Temple) প্রথম দিকের কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ যাবে। বিশ্বনাথ পট্টনায়কের জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে এহেন অবদান বিদেশের বুকে যেকোনও প্রবাসী ভারতীয়ের জন্য গর্বের বিষয়। ইংল্যান্ডের চ্যারিটি কমিশনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে শ্রী জগন্নাথ সোসাইটি ইউকে এই মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছে। রবিবার অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে ইউকের জগন্নাথ কনভেনশনে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হয়।

বিশ্বনাথ পট্টনায়ক সকলকে এই অনুষ্ঠানের দিন জগন্নাথ মন্দির তৈরির (Donation For Jagannath Temple) বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেন। এই প্রবাসী ওড়িয়ার উদ্যোগে ইউকের বুকে প্রথম জগন্নাথ মন্দির স্থাপিত হওয়ার লক্ষ্যে সবাই এগিয়ে আসে। বিশ্বনাথ পট্টনায়কের অনুদানের ২৫০ কোটি টাকার মধ্যে ৭০ কোটি টাকা দিয়ে ১৫ একর জমি কেনা হচ্ছে। যে জমির উপর নির্মাণ করা হবে বিশালাকার জগন্নাথ মন্দির। প্রবাসী ভারতীয় হিসেবে তিনি বিশাল অংকের টাকা অনুদান করেছেন এই মন্দিরের স্বার্থে।

ইউরোপের মাটিতে এই পবিত্র মন্দির পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের একটি অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠবে এমনটাই বলেছেন শ্রীজগন্নাথ সোসাইটির প্রধান ডক্টর সহদেব সাঁই। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, পর্যটকদের ভিড় এই মন্দির ঘিরে বিশেষভাবে তৈরি হবে। তবে মন্দির তৈরির এই আয়োজনের মাঝেই প্রশ্ন উঠছে কে এই প্রবাসী ওড়িশা বিশ্বনাথ পট্টনায়ক? কে তিনি যে বিদেশ বিভূঁইয়ে এত পরিমাণ টাকা মন্দির তৈরির জন্য দান করলেন? জানা গেছে তার আসল পরিচয়।

তিনি আসলে লন্ডনে ফাইন নেস্ট গ্রুপ অফ কম্পানিজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তার এই কোম্পানি ইলেকট্রিক গাড়ি, হাইড্রোজেন লোকোমোটিভ নির্মাণে বিনিয়োগ করে। তিনি ব্যাঙ্কিং সেক্টরে বহুদিন কাজ করেছিলেন এবং তারপর একটা সময় শিল্পদ্যোগ শুরু করেন এই প্রবাসী। বিশ্বনাথের এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল ২০০৯ সাল থেকে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও চোখে পড়ার মতো। তিনি অর্থনীতিতে বি এ, এলএলবি, এমবিএ নিয়ে দাপটের সঙ্গে প্রবাসে নিজের শিল্পদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন এই ভারতীয়।