পরীক্ষা, ঝামেলা ছাড়াই এই পদ্ধতিতে মিলবে ড্রাইভিং লাইসেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান সময়ে দু চাকা হোক অথবা চারচাকা, গাড়ি নেই এমন পরিবারের সংখ্যা হাতে গোনা। আর এই যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স। আবার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষা, নানান ঝামেলা, কি না নেই! তবে এই সকল পরীক্ষা, ঝামেলা ইত্যাদিকে এড়িয়ে সহজেই মিলতে পারে ড্রাইভিং লাইসেন্স।

আসলে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে যা আগের তুলনায় অনেক সহজ। কারণ এবার নতুন নিয়ম অনুসারে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যেতে হবে না আরটিও অফিস। পাশাপাশি লম্বা লাইন দেওয়ার প্রয়োজনও নেই। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম জারি হচ্ছে আগামী ১ জুলাই।

নতুন নিয়ম অনুসারে এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে ট্রেনিং সেন্টারগুলি। ট্রেনিং সেন্টারগুলিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। প্রতিটি ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারের পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি পাবে। তবে এর ফলে ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারগুলির রমরমা বাজার শুরু হতে চলেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

বেসরকারি এই ট্রেনিং সেন্টারগুলির লাইসেন্স পাঁচ বছর অন্তর অন্তর রিনিউ করা হবে। এই সকল ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারগুলিতে ড্রাইভিং ট্রেনিং নেওয়ার পর সরাসরি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন চালকরা। দু’চাকা, চারচাকা সহ অন্যান্য যানবাহনের ক্ষেত্রে এই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে।

বেসরকারি ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারগুলি থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম রাখা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে যাত্রীবাহী গাড়ির ট্রেনিং অন্তত ২৯ ঘণ্টা হতে হবে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই ট্রেনিং শেষ করতে হবে। এর মধ্যে ৮ ঘণ্টা থিওরি ও ২১ ঘণ্টা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস থাকবে। ভারি গাড়ির ক্ষেত্রে অন্তত ৩৮ ঘণ্টা ট্রেনিং প্রয়োজন। ৬ সপ্তাহ এই ট্রেনিং চলবে। এর মধ্যে ৮ ঘণ্টা থিওরি ও ৩১ ঘণ্টা প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস থাকতে হবে। এছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি দিতে হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়ার সময়।