লকডাউনে পুলিশকে ফাঁকি দিতে গাড়িতে বিদ্যুৎ দপ্তরের বোর্ড, আটক গাড়িসহ ১০

লাল্টু : রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূম জেলাতে দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানতে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বীরভূমের ৬টি পৌরসভা সিউড়ি, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া, বোলপুর, রামপুরহাট এবং নলহাটিতে ৩১শে জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত লকডাউন জারি করার। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুসারে দিন কয়েক ধরেই চলছে এই লকডাউন। আর এই লকডাউন চলাকালীন পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে বারংবার নানান পন্থা অবলম্বন করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। আর এই সকল পন্থা অবলম্বন করেও তারা রেহাই পাননি পুলিশের হাত থেকে, হয় আটক হয়েছেন অথবা গ্রেপ্তার। ঠিক একই ঘটনা ঘটলো বৃহস্পতিবার লকডাউন চলাকালীন দুবরাজপুরে।

বৃহস্পতিবার দুবরাজপুরে লকডাউনলনের সময়সীমা শুরু হতে দুবরাজপুর থানার ইন্সপেক্টর মাধব চন্দ্র মন্ডল এবং ডিএসপি হেডকোয়ার্টার কাশীনাথ মিস্ত্রির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী নজরদারি শুরু করে শহর জুড়ে। লকডাউন শুরু হতেই বেশ কয়েকজন আটক হন আইন লঙ্ঘন করার জন্য। এরই মাঝে দেখা যায় একটি বোলেরো গাড়ি রানীগঞ্জ মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে চলে আসছে। গাড়ির সামনে লাগানো রয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরের সতর্কতা বোর্ড। তবে এই গাড়ি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় এবং গাড়িটিকে পুলিশের তরফ থেকে আটকানো হয়। আর পুলিশের প্রশ্নের সামনে সদুত্তর দিতে না পারায় ওই বোলেরো গাড়িটি এবং ওই গাড়িতে থাকা প্রত্যেক যাত্রীকে আটক করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। গাড়িসহ আটক হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।

বোলেরো গাড়িতে থাকা যাত্রীরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “ধরপাকড়ের ভয়েই তারা গাড়িতে ওই বোর্ড লাগিয়েছিলেন। বোর্ডটি আগে থেকেই গাড়ির মধ্যে ছিল।”

জানা গিয়েছে ওই বোলেরো গাড়িতে থাকা যাত্রীরা প্রত্যেকেই রাজমিস্ত্রির কাজের সাথে যুক্ত। তারা আসানসোল থেকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর যাওয়ার জন্য ওই গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন। আর পুলিশের চোখে ফাঁকি দিতেই এমন পন্থা বেছে নিয়েছিলেন তারা। যদিও এই পন্থাই কোন কাজ হলো না!